বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘ইসলাম যেখানে জোট ও সমঝোতা হবে সেখানে। ইসলাম ছাড়া জোটও নাই, সমঝোতাও নাই। আমরা ইসলামে জন্মগ্রহণ করেছি, ইসলামে বেঁচে আছি, ইসলাম নিয়েই মরব। ইসলাম ছাড়া আমাদের কোনো কাজ নাই।
কাদের সঙ্গে জোট করবে জামায়াত, জানালেন নায়েবে আমির
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকবাজার থানা জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীলদের বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশন প্রগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে জামায়াতের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। মানবজাতির কল্যাণ সাধনই জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য।
চকবাজার থানা আমির আহমেদ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি সাদুর রশিদের সঞ্চালনায় প্রগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
সম্পর্কিত খবর

বিএনপির সঙ্গে দ্রুত নির্বাচন চায় হেফাজতও
অনলাইন ডেস্ক

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ দেবেন, এটা বিএনপির জোরালো দাবি। তাদের সেই দাবির সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ একমত হয়েছে।
রাজধানীর গুলশানে শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে বৈঠক করেছে হেফাজতে ইসলাম। পরে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান, নায়েবে আমির আহমেদ আব্দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে হেফাজতে ইসলাম ও তার অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যথাযথ কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে কি না, এটা তারা (হেফাজত) চিন্তা করে দেখবে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি সংস্কার চায়, বিচার চায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার এমপি ও দোসরদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সমগ্র জাতি উদ্গ্রীব যে মামলাগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। সে জন্য বিএনপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করা হোক।
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হেফাজতে ইসলামও দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপিও এই দাবি প্রকাশ্যে করেছে, লিখিতভাবে করেছে, সরকারকে জানিয়েছে, জনগণের সামনে প্রস্তাব আকারে তুলে ধরেছে। হেফাজতে ইসলাম সেই দাবি বিএনপির কাছে পুনরায় উত্থাপন করেছে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি চায় আওয়ামী লীগকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের আওতায় আনা হোক। সে জন্য প্রয়োজনে সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন করা যায়, আইন সংশোধন করা যায়। বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারিত হয়, সেটা দেশের জনগণ মেনে নেবে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে এবং শহীদদের সঠিক সংখ্যাও এখনো নিরূপণ করা হয়নি। একইভাবে ২০২১ সালে বাংলাদেশে আলেম সমাজের ওপরে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। তাতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ জন আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছিলেন। দুই ঘটনাতেই মামলা করেছে হেফাজতে ইসলাম। তারা এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও দ্রুত নিষ্পত্তি চান। বিএনপিও হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে তাতে একমত প্রকাশ করেছে বলেও জানান সালাহ উদ্দিন আহমদ।
আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া সব ‘মিথ্যা’ মামলার প্রত্যাহার চেয়েছে হেফাজতে ইসলাম। বিএনপিও তাতে একমত প্রকাশ করেছে বলেও জানান দলটির এই নেতা।
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনী জোটের চিন্তা করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’

গণহত্যার দায়ে আ. লীগকে বিচারের আওতায় আনা হোক : সালাউদ্দিন আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে—সেই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা হোক। প্রয়োজনে দেশের প্রচলিত আইন সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের লোকবল বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি আমরা প্রকাশ্যে করেছি, লিখিতভাবে করেছি, সরকারকে জানিয়েছি।
আমরা চাই আওয়ামী লীগকে গণহত্যার ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের আওতায় আনা হোক। এজন্য সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন করা যায় এবং আইন সংশোধন করা যায়। বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যদি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারিত হয় তাহলে এদেশের জনগণ তা মেনে নেবে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যেমন সংস্কার চাই, বিচার চাই আওয়ামী লীগের তেমনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনা করতে চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন। জাতির সামনে অনেকবার তিনি বলেছেন। কিন্তু প্রায় সময় দেখা যাচ্ছে কিছুদিন পরপর বলা হচ্ছে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনে; আবার জুনে থেকে ডিসেম্বরে এরকম একটা শিফটিং দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করারও বিভিন্ন রকম পায়তারা আমরা লক্ষ্য করছি।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের উপর যে নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার, তার সঠিক সংখ্যা এখন পর্যন্ত নিরূপণ করা হয়নি। সেই হত্যাযজ্ঞের বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি ও বিচার চাওয়া হয়েছে। আমরাও তাদের সঙ্গে একমত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আলেম-ওলামাদের উপরে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলে ভরা হয়েছে এবং সীমাহীন নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে দায়ীকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
বৈঠকটি শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে শুরু হয় এবং শেষ হয় রাত পৌনে দশটায়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, তিনি ছাড়াও হেফাজতের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মূফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক
অনলাইন ডেস্ক

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লিয়াজোঁ কমিটি।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত আছেন।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন মানব না : আখতার
অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চাপিয়ে দিয়েছে, তাতে করে কোনোভাবেই এই দলের পুনর্বাসনকে তারা মেনে নেবেন না।’
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে রংপুর চেম্বার ভবনে এনসিপির সংগঠকদের নিয়ে আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কেউ যদি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন, তাদের আইনের কাছে সোপর্দ করার কথাও বলেন তিনি।
আখতার বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো প্রগ্রামে কোনোভাবেই যদি আওয়ামী লীগের কেউ যুক্ত হওয়ার মতো সাহসও দেখান, আমরা তাদের প্রতিহত করব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপির বর্তমানে সম্পর্ক কী, এ বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি—প্রতিটি আলাদা আলাদা স্বতন্ত্র সংগঠন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক প্রসঙ্গে কথা বলেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সঠিকভাবে কথা বলেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের মতো যোগ্য ও দক্ষ মানুষই এখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। তার যোগ্যতা ও দক্ষতা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রশংসিত।’
এ সময় এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফারজানা দিনা, রংপুরের সংগঠক আলমগীর নয়নসহ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।