ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন

চট্টগ্রাম-২ আসনে আলোচনায় বিএনপির গনি জামায়াতের নুরুল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চট্টগ্রাম-২ আসনে আলোচনায় বিএনপির গনি জামায়াতের নুরুল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠিক কখন হবে তার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না থাকলেও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সংসদ-সদস্য পদে বিভিন্ন দলের আগ্রহী প্রার্থীরা মাঠে কাজ করছেন। এ আসনে সর্বশেষ সংসদ-সদস্য ছিলেন সাবেক এমপি প্রয়াত রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে কখনো বিনা ভোটে, কখনো ‘রাতের ভোটে’ জোটের প্রার্থী হিসাবে তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এ আসন থেকে দুই মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপির মনোনয়নেও একবার নির্বাচনি বৈতরণী পার হন বিতর্কিত নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

তবে বিগত তিন মেয়াদে সারা দেশের মতো এখানকার ভোটাররাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। আগামীতে ভোট হবে এবং এই ভোটে যোগ্য প্রার্থী তারা বেছে নিতে পারবেন-এমন প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছেন তারা।

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ফটিকছড়ি সর্ববৃহৎ। দুটি উপজেলা ফটিকছড়ি ও ভূজপুর নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত।

এক সময়ে সন্ত্রাসের জনপদ হিসাবে পরিচিত এই আসনে বেশির ভাগ সময়ই আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ-সদস্য ছিলেন। বিগত তিন মেয়াদে জোটের কথিত প্রার্থী হিসাবে বিতর্কিত নির্বাচনের এমপি ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি নিজেও এখানে পেশিশক্তি প্রয়োগ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট চালিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।

পাঁচ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নতুন বাংলাদেশের নতুন নির্বাচনে পতিত আওয়ামী লীগের কেউ অংশ নিতে পারবেন বলে মনে করেন না সাধারণ মানুষ ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।

তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ বিভিন্ন দলের আগ্রহী প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এই প্রস্তুতিতে এগিয়ে আছে বিএনপি ও জামায়াত।

বিএনপি থেকে এই আসনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী মনোনয়নপ্রত্যাশী। কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকলেও এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছেন দীর্ঘদিন থেকে। কেন্দ্রের সুদৃষ্টি, ক্লিন ইমেজসহ নানা কারণে এ আসন থেকে তিনিই বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আসন বিন্যাসে কোনো মেরুকরণ থাকলে এই আসন থেকে প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীও মনোনয়ন চাইতে পারেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার আলমগীর, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহার, সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়জী, বিএমএ নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরীও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আগামী সংসদ হবে শিক্ষিত ও জ্ঞানীদের। যারা আইন প্রণয়ন করতে পারবেন তাদের। ‘ইয়েস’ আর ‘নো’ বলার সংসদ হবে না। ফটিকছড়ি থেকে আমি আগেও বিএনপির নমিনেশন চেয়েছিলাম। এবারও দলের নমিনেশন চাইব। আমি মনে করি দল শিক্ষিত, মার্জিত ও ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেবে। 

জামায়াতে ইসলামী থেকে এ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা আছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিনকে দলটি প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী জামায়াতের এই নেতা এলাকায় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। ফটিকছড়িতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছিল জামায়াত। এই আসনে তাদের ভোটব্যাংকও বড়।

অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, আমার দল অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলে। দলের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। বিগত ২০-২২ বছর এলাকায় যেতে পারিনি। এখন এলাকায় যাচ্ছি, মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে। মানুষ অন্তর দিয়ে আমাকে গ্রহণ করছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সুন্নি মতাদর্শভিত্তিক ইসলামী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) এই আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানা গেছে। দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন বলেন, তার দল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচন হলে অবশ্যই তারা প্রার্থী দেবেন। ফটিকছড়িতে উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হামিদ উল্লাহ প্রার্থী হবেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে এসে নিবন্ধন পাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ আল হাসানি আল মাইজভান্ডারীর নিজ বাড়ি এখানেই। তিনিও তার দল থেকে নির্বাচন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফের একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ওই দরবারের হাজার হাজার ভক্ত রয়েছেন। মূলত ভক্তদের ওপর ভর করেই সাইফুদ্দিন হাসান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চান।

এই আসনে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে, আবার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জোটের প্রার্থী হিসাবে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের রফিকুল আনোয়ার (বর্তমানে প্রয়াত)। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সর্বশেষ ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি নির্বাচিত হন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিগত সরকারের সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি : তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিগত সরকারের সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি : তারেক রহমান
তারেক রহমান। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিএনপির যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, তার পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হত্যার শিকার হয়েছে, তার বিচার করা।’

আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

বিগত সময়ে হওয়া গুম-খুনের বিচারে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করবে বলেও এ সময় আশা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, দেশে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে। বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে বিগত সরকারের সময়ে হওয়া সব হত্যার বিচার করা হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ত্যাগে আজকের মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের হারানোর মূল কারণ এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক অধিকারকেও প্রতিষ্ঠিত করা।

এককথায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটি কথা আমি এত দিন বলিনি, আজকে বলছি, আজকে এখানে যারা রয়েছেন, আমি এবং আমার ছোট ভাই, যাকে আমরা হারিয়েছি আমরা তাদেরই সদস্য। আমি ও আমার ভাই গুমের শিকার হওয়াদের অংশ।’

তারেক রহমান বলেন, ‘হুম্মাম (হুম্মাম কাদের চৌধুরী) কিছুদিন আগে আমাকে বলেছেন, আমাকে যে রুমে রাখা হয়েছে, তাকেও একই রুমে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিচার না হলে দেশে আবারও অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ শহীদ পরিবারগুলোকে হতাশ না হয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বিগত ১৫-১৬ বছরে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, আর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি করবেন না।’

আরো পড়ুন
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

 

অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের সময় গুম-খুনের শিকার এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে তাঁদের ঈদ উপহার এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবারের কোষাধ্যক্ষ এ কে এম হাবিবুর রহমান মিল্লাতসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

‘দ্রুত নির্বাচন দিন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার’

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
‘দ্রুত নির্বাচন দিন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার’
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়ন না হলে স্থিতিশীলতা আসবে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনোভাবেই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।

রবিবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়ায় আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

দুলু বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি কমবে, কিন্তু হয়েছে তার উলটো। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এখানো রাষ্ট্রের দৃশ্যমান কোনো সংস্কার করতে পারেনি।

তাই দেশের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার দ্রুত করার জন্যই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে, দেশের মানুষের জীবনমান রক্ষার জন্য দ্রুত নির্বাচন দেওয়া জরুরি।’ 

দুলু আরো বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তাদের নেতাকর্মীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। যেকোনোভাবেই হোক তারা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে নানা ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। তারা যেকোনো মূল্যে দেশে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করে এ সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করে সুবিধা নিতে চায়। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। তাদের ১৬ বছরের জুলুম-দুঃশাসন ভুলে গেলে চলবে না।

আরো পড়ুন
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

 

দিঘাপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা লক্ষ করেছি, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে; নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বেশি আবার বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করার জন্য বিরুদ্ধ শক্তি, ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু তারা নয়, একই সঙ্গে যারা জঙ্গি ও উগ্র মনোভাব পোষণ করে থাকে, তারাও এই সুযোগগুলো নেওয়ার চেষ্টা করবে।’

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন যেটা চাইছি, অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাইছি যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব দিয়েছি; তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারগুলো করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিকে যাবেন।’

সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি, আমরা সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা অনেক আগে দিয়েছি, যখন এই সংস্কারের কথা কেউ ভাবেইনি। সেই সংস্কারগুলোর সঙ্গে আজকের যে প্রস্তাব উঠে আসছে, সেখানে খুব বেশি পার্থক্য দেখছি না।

সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজকে সেখানে আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

কিন্তু আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি যে আবার সেই হত্যা, খুন, জখম, ধর্ষণ। এগুলো এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে যা আমাদের সব পীড়িত করছে। অন্যদিকে আমরা দেখছি যে ইয়াং জেনারেশন, আমাদের ছাত্ররা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, অর্গানাইজেশনগুলো আছে, তাদের কর্মীরা দাবিদাওয়া নিয়ে মাঠে নেমে আসছে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান প্রমুখ।

মন্তব্য

ইসলাম নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে : আতাউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ইসলাম নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে : আতাউর রহমান
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘ইসলাম এই জাতীর রক্ষাকবজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ল মার্ক্স, লেনিনবাদ চর্চা হলে ইসলাম কেন চর্চা হতে পারবে না? ইসলাম নিয়ে ভুল আতঙ্ক তৈরি করা হয়। বরং ইসলামই নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে।’ 

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজী আতাউর রহমান বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এতটাই নির্মম ছিল, যে তাদের দেশ ছাড়তে হয়েছে। বাংলাদেশের অতীতের সব সরকারই বৈষম্য ও নিপীড়ন চালিয়েছে। পদ্ধতিগতভাবে স্বৈরতন্ত্র লালন করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পরিবর্তন চায়।

আরো পড়ুন
নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারকে জরিমানা

নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে জরিমানা

 

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার মান যত উন্নত, দেশ তত উন্নত হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখার কথা। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও জিডিপির বৃহৎ অংশ শিক্ষা খাতে খরচ করে মানবসম্পদ উন্নয়ন করছে।

কিন্তু আমাদের বিগত সরকারগুলো গড়ে ২ শতাংশের মতো বরাদ্দ রাখে। এর মধ্যে শিক্ষা খাতের অবকাঠামো উন্নয়নও অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে গবেষণা ও জ্ঞান তৈরিতে তেমন কোনো বিনিয়োগ থাকে না বললেই চলে। যার ফলে আন্তর্জাতিক দক্ষতাভিত্তিক কর্মবাজারে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।’ 

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাবারের মান নিয়ে কথা বলতে গেলে আক্ষেপ করতে হয়। এই রাষ্ট্র কত কিছু করে কিন্তু দেশের সেরা মেধাবী সন্তানদের জন্য উন্নত আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই দক্ষতা ও নৈতিকতাকে ভিত্তি ধরে অবকাঠামো, গবেষণা ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সামগ্রিক সংস্কার প্রয়োজন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ ইয়াসিন আরাফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুব নাহিয়ান ও বিশ্ববিদ্যালয় উইংয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমীন মুহাম্মাদ বাবুল প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ