ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬
এনবিআরকে তিন সংগঠনের চিঠি

কাঁচামাল সংকটে তিন শতাধিক পোশাক কারখানা

এম সায়েম টিপু
এম সায়েম টিপু
শেয়ার
কাঁচামাল সংকটে তিন শতাধিক পোশাক কারখানা
ছবি : কালের কণ্ঠ

কাঁচামাল সংকটের কারণে তৈরি পোশাক খাতের প্রায় তিন শতাধিক কারখানার রপ্তানি হুমকির মুখে পড়েছে বলে বলে মনে করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলেন, এসব কারখানা স্থানীয় উৎস থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করলেও সম্প্রতি বন্ড কমিশনারেট অফিস ইউটিলিটি পারমিশন (ইউপি) বা কাঁচামালের প্রাপ্যতার অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়ায় তারা এমন সংকটে পড়েছে।

এই ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে গত রবিবার বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের তিন সংগঠন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেট অফিসে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী সব প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে বন্ড লাইসেন্সবিহীন শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত সব ধরনের পণ্য ও সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে আগের সুবিধা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, এনবিআরের মতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা কাঁচামাল কিংবা কাঁচামাল দিয়ে তৈরি পণ্য কেবল একই ধরনের সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করতে পারবে। কিন্তু রপ্তানিকারকরা বলছেন, ২০১২ সালের এক আদেশের মাধ্যমে বেশ কিছু অ্যাকসেসরিজ পণ্যসামগ্রী বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত নয়, এমন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা যেত। শুধু তাই নয়, এর আওতায় বিশেষায়িত কিছু সুতা কিংবা কাপড়ও সরবরাহ করা হতো বলে তাদের দাবি।

তবে শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্ড সুবিধার আওতায় আনা পণ্য নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হলে এর ফলে অনিয়ম তথা শুল্ক ফাঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

এ জন্যই বিদ্যমান বন্ড নীতিমালায়ও এ ধরনের সরবরাহের ক্ষেত্রে ইউপি জারি বন্ধ করা হয়েছে।

বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম কালের কণ্ঠকে বলেন, বন্ড কমিশনারেটের অফিসের এই সিদ্ধান্তের কারণে তিন শ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর ফলে রপ্তানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান তিনি। এ ছাড়া এর ফলে নতুন বন্ড লাইসেন্স দেওয়া হলে; তদারকির অভাবে দুর্নীতি বাড়ারও আশঙ্কা করছেন তিনি।

এদিকে চিঠিতে বলা হয়, হঠাৎ করে এই সুবিধা বন্ধ হওয়ার ফলে অনেক নন-বন্ডেড প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে দেশের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং বিশালসংখ্যক শ্রমিক বেকার হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের হাতে রপ্তানি আদেশ রয়েছে, কিন্তু কাঁচামালের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা রপ্তানির জন্য পণ্য উৎপাদনে যেতে পারছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১২ সালে এক আদেশের মাধ্যমে এনবিআর বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্যাকেজিং, হ্যাঙ্গার ও প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বন্ড লাইসেন্সবিহীন শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে অ্যাকসেসরিজ পণ্য (কার্টন, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক পণ্য) সরবরাহ করা যাবে। তবে বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এবং বিদেশি ক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে নতুন নতুন পণ্য যুক্ত হচ্ছে।

নন-বন্ড প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যাই বেশি। বিকেএমইএর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনটির সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশেরই বন্ড লাইসেন্স নেই। তারা দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে তৈরি পণ্য রপ্তানি করে।

অবশ্য ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অফিসে সদ্য যোগদান করা কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে নন-বন্ড প্রতিষ্ঠান পণ্য বা কাঁচামাল সরবরাহের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। কী উপায়ে তারা এত দিন এ সুবিধা পেয়ে আসছিল তা আমরা দেখব। তবে এসংক্রান্ত চিঠি এখনো পাননি বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৭ শতাংশের নিচে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৭ শতাংশের নিচে

চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে কমতে ৬ শতাংশে নেমেছে। যা গত মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে ছিল ৭ শতাংশের ঘরে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। 

এতে দেখা গেছে, গত ২১ বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন।

২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮২ শতাংশের নিচে নেমেছিল। 

এতে আরো দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি শেষে (ফেব্রুয়ারি’২৪-ফেব্রুয়ারি’২৫) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। যেখানে অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগের মাসেও (জানুয়ারি) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।

আরো পড়ুন
সাহু সিজদার আদায় পদ্ধতি কী?

সাহু সিজদার আদায় পদ্ধতি কী?

 

এদিকে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। তারা বলছেন, নতুন বিনিয়োগ তেমন নেই। সুদহার বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এ ছাড়া ব্যাংক খাত থেকে ভুয়া কম্পানি তৈরি করে অর্থ লোপাটের প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়েছে।

এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি এত কম দেখাচ্ছে।

আরো পড়ুন
সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে দেশের বেসরকারি খাতে ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ স্থিতি ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা ছিল। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।

মন্তব্য

ভারতসহ ৩ দেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতসহ ৩ দেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে এনবিআরের কাস্টমস উইং।

কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮-এর উপধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভারত থেকে ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্স—এই পণ্যগুলো আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

একই সঙ্গে পূর্বে জারি করা এস.আর.ও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কয়েকটি ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। এতে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয় এবং ‘সকল রফতানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী মহল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা বলছেন, বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

মন্তব্য

যে কারণে লিটারে ১৪ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে কারণে লিটারে ১৪ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
সংগৃহীত ছবি

রাজস্ব আদায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য, এই দুটি বিষয়ে সমন্বয়ের কারণেই দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেছেন, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্য তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্য তেলের আমদানি, সরবরাহসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনাসংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন
ভারত থেকে এল ১০ হাজার টন সিদ্ধ চাল

ভারত থেকে এলো ১০ হাজার টন সিদ্ধ চাল

 

তিনি জানান, ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে মাসে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা অব্যাহতি ছিল।

সরকার পরিচালনা ব্যয়ের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অব্যাহতির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। এই সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে রমজানকেন্দ্রিক চিন্তা করে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা রাজস্ব অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজার এবং ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলার ভিত্তিতে আজ তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ফর্মুলা অনুযায়ী তেলের মূল্য লিটার প্রতি আসে প্রায় ১৯৭ টাকা।

কিন্তু শিল্পের সাথে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ১৮৯ টাকা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা। 

আরো পড়ুন
চল্লিশের পরেও থাকবে যৌবন, ছাড়তে হবে যে ৫ অভ্যাস

চল্লিশের পরেও থাকবে যৌবন, ছাড়তে হবে যে ৫ অভ্যাস

 

তিনি আরো বলেন, দেশে ৩০ লাখ টনের ভোজ্য তেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে ৭ লাখ টন স্থানীয় সয়াবিন থেকে আসে।

নতুন করে ৬ লাখ টন রাইস ব্রান তেল বাজারে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সেনা কল্যাণ সংস্থার অয়েল মিলকেও কার্যকর করার চেষ্টা হয়েছে। ৩ লাখ টনের উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে তারা মাত্র ২০ হাজার টন উৎপাদন করতো। এ ছাড়া আরো দুটো তেল কম্পানি ‘গ্লোবাল’ এবং চট্টগ্রামের একটি বড় কম্পানি নতুন করে আবার বাজারে এসেছে। আশা করি, সামনে তেলের দাম আবার কমাতে পারব।
সামনে প্রতিযোগিতার কারণে মূল্য কমবে বলে আশা করি।

শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, পাম অয়েলের ক্ষেত্রে সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, প্রতিযোগিতা সক্ষমতার কারণে নির্ধারিত মূল্যের থেকেও ১০ টাকা কমে তা বিক্রি হচ্ছে। আশা করি, আগামী ২-৩ মাসের আরো ২-৩টি উৎপাদনে আসবে এবং সরকার যে ১০-১২ লাখ টন তেলের স্থানীয় যোগান নিশ্চিত করতে পেরেছে এর ফলে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়বে, বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে এবং সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ভালো হবে। ভোক্তা পর্যায়ে আমরা যে দাম বাড়াতে বাধ্য হলাম, এই বাধ্যবাধকতা মনে করছি সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে এই মূল্য নামিয়ে আনতে সক্ষম হবো।

মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই তেলের দাম বাড়িয়ে রবিবার ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, এটা তারা করতে পারেন না। তারা ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করতে পারেন। তেল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। এটার দাম সরকার নির্দিষ্ট করে।

তিনি বলেন, ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ মার্চের পর থাকছে না। মূল্যস্ফীতি এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। তেলের এ দাম বৃদ্ধি জনগণের জন্য অসহনীয় হবে না।

মন্তব্য

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
ফাইল ছবি

প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে খোলা তেল লিটার ১৬৯ টাকা ও পাম অয়েল ১৪৯ টাকা লিটার বিক্রি করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে তেলের দাম নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

দেশের রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তবে এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

নতুন ঘোষণায় পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫২ টাকা। এসময় তিনি বলেন, সাড়ে ৫শ' কোটি টাকা রাজস্ব অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া রমজানে ২ হাজার কোটি টাকা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে তেলের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যে ৭ লাখ মেট্রিক টন সরিষার তেল আর ৬ লাখ মেট্রিক টন রাইস ব্রান তেল দেশে উৎপাদন হয়।

তিনি আরো বলেন, এখন মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, সিঙ্গেল ডিজিটে আছে। তাই তেলের দাম যেটুকু বাড়ানো হয়েছে তাতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না মানুষের জীবনে। তেলের এই দামের ফলে মাসে ৭০ টাকার মত বেশি খরচ বাড়বে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ