ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলার
প্রতীকী ছবি

দেশে আইএমএফের হিসাবে অর্থাৎ প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩.৪৫০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৩৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯.৮৫০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৯৮৫ কোটি ডলার। আজ রবিবার সকালে এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৯.৯৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আর নিট রিজার্ভ ছিল ২৩.৫৬৯ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমল প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার।

আমদানি ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন সোর্স থেকে রিজার্ভ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে আসে।

এর মধ্যে রপ্তানি আয় ও প্রবাস আয়ের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়, যদি তা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তা কেনে। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের অর্থ সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আট মাসে ২৬.৭৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আট মাসে ২৬.৭৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি
সংগৃহীত ছবি

দেশের প্রধান  রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকে ধারাবাহিকভাবে সফলতা আসছে। একক বৃহত্তম বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় সফলতার পর এবার বিশ্ববাজারেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রধান প্রায় সব বাজারেই পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ের জন্য দেশভিত্তিক রপ্তানি যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

 

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে সারা বিশ্বে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৬৪ শতাংশ। একই সময়ে সারা বিশ্বে ২৬.৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে ভালো রপ্তানি আয় অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ৫০.১০ শতাংশ যায় ইইউতে, যার মোট মূল্য ১৩.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের প্রথম আট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট শেয়ারের ১৮.৯১ শতাংশ। অন্যান্য দেশের মধ্যে কানাডার বাজারে রপ্তানি হয়েছে ৮৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক এবং বাজার শেয়ার ৩.১৬ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারে পোশাক  রপ্তানি হয়েছে ২.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১০.৯৪ শতাংশ। 

আরো পড়ুন
ঈদ কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

ঈদ কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

 

এদিকে চলতি অর্থবছরের আট মাসে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.৫৩ শতাংশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবৃদ্ধি ১৬.৩৮ শতাংশ এবং কানাডায় প্রবৃদ্ধি ১৪.১২ শতাংশ। আর যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৩.৭৪ শতাংশ।

এ ছাড়া ইইউর অন্য দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৩.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এ ছাড়া স্পেনে ২.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ফ্রান্সে ১.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইতালিতে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, পোল্যান্ডে ১.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নেদারল্যান্ডসে ১.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে ১১.৩ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৫.৬ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১২.৬,  ডেনমার্কে ১৪.৫৮ শতাংশ এবং সুইডেনে ২১.১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। 

তবে প্রচলিত বাজারের চেয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের নতুন বাজার বা অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হয়েছে। নতুন বাজারে সামগ্রিকভাবে পোশাক  রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। যা মোট রপ্তানির ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। নতুন বাজারের মধ্যে জাপানে পোশাক  রপ্তানি হয়েছে ৮৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভারতে ৪৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পোশাক  রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে যথাক্রমে ৩০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নতুন বাজারের মধ্যে প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে ভারতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৫৮ শতংশ, মেক্সিকোতে ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং তুরস্কে ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও, রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। 

আরো পড়ুন
নির্বাচিত সরকার সংস্কার করবে বিশ্বাস হয় না : বরকত উল্লাহ

নির্বাচিত সরকার সংস্কার করবে বিশ্বাস হয় না : বরকত উল্লাহ

 

তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলেন, বড় বড় বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। এ জন্য দেশগুলো থেকে নতুন  রপ্তানি আদেশও বাড়ছে। এ মন্তব্য করে বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘রপ্তানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল, যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। বড় বাজারগুলোতে আরো ভালো করার সুযোগ তৈরি হয়েছে মূলত মার্কিন শুল্ক যুদ্ধের কারণে। দেশটি চীন ও মেক্সিকোর ওপর যে চড়া শুল্ক হার আরোপ করেছে তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।’ 

তিনি আরো বলেন, প্রচলিত বাজারের সঙ্গে নতুন বাজারেও মাঝারি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তবে নতুন বাজারে আরো ভালো করার সুযোগ আছে। কারণ এই বাজারে যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। চলমান বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলছে। তবে এতে বাংলাদেশের সামনে যে সুযোগ তৈরি করেছে তা আমাদের গহণ করতে হবে। আমাদের প্রয়োজনীয় উৎপাদনশীল সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একই সাথে আমাদের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিযোগিতামূলকতা এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে শক্তিশালী এবং উন্নত করার জন্য পোশাক শিল্পের সহযোগী শিল্পের দিকেও নজর দিতে হবে।’

মন্তব্য

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ফাইল ছবি

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘বাজারমূল্যের ওপর নির্ভর করে ৭০ থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিপরীতে দেশে রপ্তানি সাধারণত বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উদার বাণিজ্যের দিকে যেতে চাই কারণ, আমরা শুধু রপ্তানিকে সমর্থন করতে চাই না, আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আমদানি করতে চাই। কারণ আমাদের আমদানি একটি বাস্তবতা।’

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘দেশে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের পরিমাণ এত বেশি যে সরকার কিভাবে এটি অব্যাহত রাখবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমাদের শুল্ক কাঠামো, কাস্টমস ডিউটি ঢেলে সাজাতে হবে এবং বিনিয়োগ সহজতর করতে হবে। কারণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের অফুরন্ত সুযোগ সৃষ্টির একমাত্র উপায় হচ্ছে স্থানীয় বিনিয়োগ ও এফডিআই।’

তিনি আরো বলেন, ‘এফটিএ, পিটিএ, ইপিএ এবং সিইপিএ-তে সব সমস্যা মোকাবেলা করার সময় আমরা কিভাবে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারি তা নিয়ে কাজ করছি।

এই বিষয়গুলোকে তাত্ত্বিকভাবে উপলব্ধি করে এবং অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে পূর্ণ মাত্রায় উপলব্ধি করে এবং একই সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্যের পথ ও প্রবণতার পরিবর্তনকে উপলব্ধি করে বশির বলেন, ‘সরকার পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।’

‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক বছরে কোনো চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা ছিল না। এমনকি ন্যূনতম দায়িত্বের কোনো জায়গাও ছিল না। কিন্তু এখন যখন আমরা ২০২৬ সালে উদার অর্থনীতির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, তখন স্থানীয় বিনিয়োগ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের এলডিসি উত্তরণের ক্ষেত্রে বাণিজ্য উদ্যোগে যাতে ঘাটতি দেখা না দেয় সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি আমাদের পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে আমাদের মসৃণ উত্তরণ কৌশল (এসটিএস) বাণিজ্য উদ্যোগ ও সক্ষমতায় ঘাটতি না হয়। সার্বিকভাবে সংশ্লিষ্ট সব দিক সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ উইং, ডব্লিউটিও উইং এবং রপ্তানি উইং সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয় বোঝার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, অর্থনীতিবিদ ও থিংক ট্যাংকের সঙ্গে আলোচনা, কোরিয়া ও জাপান সফর এবং তাদের বাণিজ্য উপদেষ্টাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এফটিএ এবং পিটিএর মতো চুক্তির বিষয়ে আলোচনা খুব সহজ নয়, কারণ এগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ জড়িত।’

শেখ বশিরউদ্দীন অবশ্য বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল, তা তারা করছেন। কিন্তু সেই সময় একেবারেই নষ্ট হয়েছে এবং অর্থনীতি সংকটে পড়তে বাধ্য হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বাণিজ্য উদারীকরণ করি, তাহলে আমাদের সংবেদনশীলভাবে স্থানীয় বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার পাশাপাশি পরিণতির কথা বিবেচনা না করে কিছু না করার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘২০২৬ সালের নভেম্বরে দেশের এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা হারাবে।’

তিনি বলেন, ‘আগে আমরা পাঁচ বছর সময় পেয়েছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সেই সময়টা নষ্ট করেছি।’

২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)। যা ১ জুলাই ২০২২ তারিখে কার্যকর হয়। বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ কেবল কাগজে-কলমে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি এটা একেবারেই ভুয়া ছিল, তাহলে ভুল হবে না। কারণ এরপর ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ কমে গিয়েছিল এবং পিটিএ শিরোনাম ছাড়া তাতে নতুন কিছু ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘এটি একই শুল্ক কাঠামোতে একটি পিটিএ শিরোনাম দিয়ে করা হয়েছিল।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পরবর্তীকালে তারা যখন সরকারের দায়িত্ব নেয়, তখন পিটিএ এবং এফটিএ মোকাবেলা করা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মন্তব্য

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরকে বিজিবিএর ৫ প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরকে বিজিবিএর ৫ প্রস্তাব
বিজিবিএর সহ-সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান। সংগৃহীত ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বেশ কয়েকটি নীতি সহায়তা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এ আলোচনায় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

বিজিবিএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান এ সহায়তা চেয়ে পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছেন। সেগুলো হলো অগ্রিম আয়কর (এআইটি) সাড়ে ৭ শতাংশ করা, নমুনার জন্য একটি পৃথক পাস বই চালু, লোকাল সোর্স ফ্যাব্রিক ও ট্রিমস ব্যবহার করে রপ্তানির অনুমতি, রপ্তানির পর শুল্ক প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড মেলার জন্য ভর্তুকি।

 

এ ছাড়াও পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এমন কিছু সহায়তা চেয়েছেন সাইফুর রহমান। 

আলোচনায় বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন উৎসে কর্তনের হার হ্রাস, নগদ প্রণোদনা থেকে উৎসে কর কর্তনের হার কমানো এবং ১০ কাউন্ট ও ২০ কাউন্ট সুতায় শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারের নীতি সহায়তা চায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর অর্ধেক কমানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি আগামী ৫ বছরের জন্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫০ শতাংশ করার, ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার, কোম্পানির ক্ষেত্রে সঞ্চয়ী আমানত, স্থায়ী আমানত ইত্যাদির সুদ/মুনাফার ওপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে।

তথ্য প্রযুক্তিখাতে কর অব্যাহতি ২০৩১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে বেসিস। পাশাপাশি ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠার আগে ক্যাশলেস ট্রানজেকশনের শর্ত শিথিল করার, দেশি সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, সফটওয়্যার রপ্তানিতে প্রণোদনা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

প্লাস্টিকের খেলনা প্রস্তুতে ২৪ ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে করছাড় চেয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

আমদানি করা ১৪টি কাঁচামালে কর ছাড় চেয়েছে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি। রপ্তানির উদ্দেশে উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাঁচামাল বাবদ আরোপযোগ্য শুল্ক ও করের বিপরীতে শতভাগ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে বন্ড সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এলপিজি অটোগ্যাস সেক্টরকে ট্যাক্স হলিডে সুবিধা প্রদান, এলপিজি কনভারসন কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে। পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সংযোজিত মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে।

বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা প্রদান, নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)।

বাংলাদেশ বিস্কুট, ব্রেড ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি কেক, বিস্কুট ও কনফেকশনারি পণ্যে শুল্ক অব্যাহতি চেয়েছে।

দি বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হিরা আমদানির রপ্তানিতে মূসকের ওপর ২০ শতাংশ ভর্তুকি ও স্বর্ণের গহনার ক্ষেত্রে তিন বছরের জন্য মূসকের ওপর ৫০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদানের প্রস্তাব করেছে। আর বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এআইটি ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএম) ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দেওয়ার দাবি জানায়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রমজানে বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজে ৪০ শতাংশ ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রমজানে বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজে ৪০ শতাংশ ছাড়
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের চলছে বিশেষ মেলা। বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের উদ্বোধনী অফার হিসেবে রমজান মাসজুড়ে প্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ সব পণ্যের ওপর মিলছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড়। গ্রাহকরা প্রতি শুক্রবার মসজিদ এবং বাজার এলাকায় চলমান বিশেষ মেলা থেকে এই ছাড়ের সুবিধা নিতে পারবেন। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে মসজিদ ও ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের সামনেসহ সারাদেশের জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদের সামনে এই ছাড়ে পণ্য বিক্রি শুরু হয়।

এদিকে বিশেষ ছাড়ে পণ্য পেয়ে ক্রেতারাও ব্যাপক খুশি। 

আজ জুমার নামাজের পর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের সামনে সরেজমিনে দেখা যায়, বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের হোম কেয়ার, পার্সোনাল কেয়ার বিভিন্ন আইটেমর পণ্য নিতে ক্রেতা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকারের টিস্যু, মশার কয়েল ও স্প্রে, ডিটারজেন্ট, এয়ার ফ্রেসনার, টুথপেস্টসহ বিভিন্ন প্রকার আইটেম নিচ্ছেন তারা। 

আরো পড়ুন
আ‌ছিয়ার মৃত্যুতে হবিগঞ্জে গা‌য়েবানা জানাজা ও কফিন মি‌ছিল অনুষ্ঠিত

আ‌ছিয়ার মৃত্যুতে হবিগঞ্জে গা‌য়েবানা জানাজা ও কফিন মি‌ছিল অনুষ্ঠিত

 

এদের একজন আব্দুর রহমান।

তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, রমজানে যেখানে অনেকে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, সেখানে ৪০ শতাংশ ছাড়ে পণ্য বিক্রি, এটা নিঃসন্দেহে ভালো ও কল্যাণকর উদ্যোগ। আমি এখান থেকে বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়েছি। আশা করব এ ধরনের উদ্যোগ বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজ অব্যাহত রাখবে।

বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং) শোয়েব মাহমুদ বলেন,  চলমান মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পবিত্র এই মাসে সবার হাইজিন সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের এই বিশেষ উদ্যোগ।

গ্রাহকরা এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ পণ্যগুলো ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে সংগ্রহ করতে পারবেন। যা তাদের নিত্যদিনের ব্যহারের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ