ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

কমেছে বৈদেশিক সহায়তার প্রবাহ, ছাড় হচ্ছে না তহবিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কমেছে বৈদেশিক সহায়তার প্রবাহ, ছাড় হচ্ছে না তহবিল
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য যখন ডলার প্রয়োজন ঠিক এমন সময়েই উন্নয়ন সহযোগীদের তহবিল ছাড় কমেছে। এশিয়ার কয়েকটি বৃহৎ অংশীদারের ধীরে চলো নীতির কারণে দেশে কমেছে বৈদেশিক সহায়তার প্রবাহ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে চীন, ভারত এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) তহবিল প্রদানে ধীরগতি রয়েছে। 

আরো পড়ুন
কক্সবাজার শহর : সড়কে নেই পর্যাপ্ত বাতি, চুরি-ছিনতাই আতঙ্ক

কক্সবাজার শহর : সড়কে নেই পর্যাপ্ত বাতি, চুরি-ছিনতাই আতঙ্ক

 

তাঁরা বলেছেন, এদের মধ্যে কেউই একটি পয়সারও প্রতিশ্রুতি দেয়নি এবং তাদের মধ্যে একটি দেশ চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম চার মাসে অতি সামান্য পরিমাণ তহবিল ছাড় করেছে।

তহবিল ছাড়ে অনীহার কারণে ইতোমধ্যে এক ডজনের বেশি চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

সূত্র জানিয়েছে, বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় দিপক্ষীয় দাতা জাপান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধান দিপক্ষীয় দাতা সংস্থা চীন, ভারত এবং চীনের নেতৃত্বাধীন এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল তখন প্রধান বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থাগুলো বর্তমান সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখছে।

 

আরো পড়ুন
আজ ২৯ ডিসেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

আজ ২৯ ডিসেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

 

তিনি বলেন, চীন ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে, তবে ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকে এখন দৃশ্যমান নয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার  আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম চার মাসে চীন এবং ভারত কোনো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। 

বেইজিংভিত্তিক এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক এই সময়ে কোনো তহবিলের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। যদিও ভারত সামান্য পরিমাণ সহায়তা ছাড় করেছে।

কিন্তু পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী এই অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে একটি পয়সাও ছাড় করেনি। ইআরডির পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাই-অক্টোবর সময়ে ৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার ঋণ বিতরণ করেছে এবং এআইআইবি মাত্র ৬৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে। এই সময়ে চীন কোনো অর্থ প্রদানের হিসাব খোলেনি।

অর্থায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে ইআরডির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা চীন, ভারত এবং এআইআইবির কাছ থেকে ২২৪ কোটি ডলার মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি ঋণ এবং অনুদান ছাড় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। এদিকে ইআরডি চলতি অর্থবছরে ১০৮২ কোটি ডলারের ঋণ এবং সাহায্য পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

কিন্তু এশিয়ার দাতা এবং ঋণদাতারা এই চার মাসে কোনো তহবিল নিশ্চিত করেনি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।  

তিনি বলেন, ‘আমরা এই অর্থবছরের দ্বিতায়ার্ধে (জানুয়ারি-জুন) সময়ে প্রধান উন্নয়ন সহযোগীদের (চীন, ভারত এবং এআইআইবি) কাছ থেকে বড় ধরনের অগ্রগতি প্রত্যাশা করছি।’

ইআরডির আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, বহুপক্ষীয় ঋণদাতারা (বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় দাতা জাপান) গত চার-পাঁচ মাসে বাংলাদেশ সরকারের জন্য বড় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার, এডিবি ২৬ কোটি ৬১ লাখ, জাপান ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং রাশিয়া ১৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ঋণ এবং সহায়তা ছাড় করেছে। 

আরো পড়ুন
সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

 

এদিকে জুলাই-অক্টোবর সময়ে বাংলাদেশের সব বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী এবং ঋণদাতারা ১২০ কোটি ডলারের মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি ঋণ এবং অনুদান ছাড় করেছে। 

ইআরডির কর্মকর্তারা বলেন, ‘রেলওয়ে, সড়ক পরিবহন এবং সেতু এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তাদের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় বরাদ্দ করা কিছু তহবিল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে ভারত, চীন এবং এআইআইবির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে, যাতে তারা বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ সহায়তায় এগিয়ে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা তার ফলাফলও পাচ্ছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আ. লীগের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
ফাইল ছবি

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য যথাসম্ভব সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা সম্প্রতি সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অভিমত সম্পর্কে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, বেসরকারি খাত কেন বছরের পর বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিল এবং জোরালো কোনো আওয়াজ তোলেনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা সত্য যে, আমি বেসরকারি খাতের দাবির সাথে একমত বা দ্বিমত পোষণ করতে পারছি না।

সুতরাং, এটি একটি দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি।’

বশিরউদ্দীন আরো বলেন, ‘আমরা যদি তাদের সাথে একমত হই, তাহলে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো আবার ঘুমিয়ে পড়বে। উত্তরণ বিলম্বিত করা মোটেও সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। তাদের (বেসরকারি খাত) এটি মেনে নিতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়েছে। যদিও এটি একটি ভিন্ন যুক্তি যে, সেগুলো সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে নাকি ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আমাদের টিমের সদস্যরা আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং ইনশাআল্লাহ, আশা করি আমরা দেশের জন্য একটি কল্যাণকর পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে সক্ষম হব।


 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদিও সকল সংস্কার করা সম্ভব নয়, তবে অবশ্যই কিছু বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে।’

এদিকে, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশসহ অনেকেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া কয়েক বছর পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে।

তারা যুক্তি দিচ্ছেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে মহামারীর তীব্র প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যমান উচ্চ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘উত্তরণের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সময়সূচী মেনে জাতিসংঘের মর্যাদা অর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া শিল্পের ওপর প্রভাব ফেলবে কিনা সে বিষয়ে সরকার বিশেষজ্ঞদের মতামত বিবেচনা করে তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
 
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব আরো উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে দেয়া সুবিধাগুলো উত্তরণের পরও তিন বছর ধরে বহাল থাকবে।’

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উত্তরণ লাভের জন্য তিনটি পূর্বশর্তই পূরণ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের পর অর্থনীতির ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে শূন্য-শুল্ক ও কোটা সুবিধার মতো বিভিন্ন সুবিধা পেতে দেশটি ১৯৭৫ সালে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

এই সুবিধাগুলো বাংলাদেশকে বর্তমানে চীনের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম করেছে।

এলডিসি-পরবর্তী অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশ বার্ষিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের বাণিজ্য হারাতে পারে। এ পর্যায়ে বাংলাদেশকে পণ্য সরবরাহের উপর কমপক্ষে ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। বর্তমানে, বাংলাদেশের ৭৮ শতাংশ রপ্তানি ৩৮টি দেশে স্বল্পোন্নত বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইতোমধ্যেই আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা ২০২৯ সাল পর্যন্ত আরও তিন বছর ধরে বাংলাদেশের জন্য এলডিসি বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে, যা একটি মসৃণ উত্তরণের ক্ষেত্রে সক্ষম করার জন্য একটি গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে বিবেচিত হবে। যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া কিছু শর্ত ছাড়া একই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মন্তব্য

বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া
ছবি: কালের কণ্ঠ

একই ছাদের নিচে সকল সেবা মেলায় দুই সপ্তাহেই ক্রেতাদের নজর কেড়েছে বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটটি। বিশেষ করে ফ্রেশ বড় মাছ থেকে, গরুর মাংস ও জীবিত মুরগি মেলায় খুশি ক্রেতারা । অন্যান্য সুপারশপে জীবিত মুরগি না মিললেও আপন ফ্যামিলি মার্টের এই আউটলেটে ক্রেতারা জীবিত মুরগি কিনতে পারছেন। এই বিষয়টির প্রশংসা করছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘সি’ ব্লকের উম্মে কুলসুম রোডের (প্লট: ৫৬/এ) আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা নিজের ইচ্ছেমতো দেশি, ব্রয়লার, পাকিস্তানি জীবিত মুরগি কেনার জন্য ভিড় করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দর পরিবেশে তা সরবরাহ করছেন আউটলেটের বিক্রয়কর্মীরা। এ ছাড়াও জীবিত হাঁস, কবুতর ও কোয়েল পাখিও মিলছে। মুরগির পাশাপাশি হাঁসেও আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের।

অনেককেই দেশি হাঁস কিনতে দেখা গেছে।

ছবি: কালের কণ্ঠ

বিষয়টি সম্পর্কে নাজমুল হাসান নামের এক ক্রেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সুপারশপগুলোতে মুরগি মাংস মিললেও জীবিত মুরগি রাখা হয় না। এতে প্রসেস করা মাংস কিনতে হয়। কিন্তু এই আউটলেটে জীবিত মুরগি পাওয়া যাচ্ছে।

এটি আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। কারণ দেখে শুনে দেশি মুরগি কেনার মধ্যে এক ধরনের মানসিক শান্তি কাজ করে। সবকিছু মিলে আমার কাছে এই আউটলেটটি চমৎকার লেগেছে।’

জানা গেছে, এই আউটলেটে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) উদ্বোধন হচ্ছে একটি ক্যাফে বার। কেনাকাটার পর যেখানে ক্রেতারা বসে কফি, চাসহ বিভিন্ন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়াও চালু হচ্ছে একটি পোশাকের স্টল। এর পাশাপাশি আগে থেকেই মিলছে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ফল-মূল, চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় সকল নিত্যপণ্য। এ ছাড়া রয়েছে মেডিক্যাল কর্নার, যেখানে মিলছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। পাশাপাশি রয়েছে মোবাইল শপ, নারী-পুরুষের ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চায় প্রসাধনী, বিভিন্ন ডিনার সেটসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই। দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত এবং ইফতারের পরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে বাজার করার অভিজ্ঞতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নুসরাত বলেন, ‘এখানকার প্রসাধনী সামগ্রীর অনেকগুলো বিদেশ থেকে আনা। যা পেতে আগে দূরে যেতে হত। কিন্তু এখন তা হাতের কাছেই পাচ্ছি। কারণ আমি এই আউটলেটের পাশেই থাকি। সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে, একই সঙ্গে বাজার, ওষুধ, পোশাকসহ সব সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এই সেবাগুলো একসঙ্গে পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও আউটলেটটি অনেক জায়গাজুড়ে হওয়ায় কেনাকাটা করায় স্বস্তি মিলছে। সবমিলে পরিবেশ খুবই ভালো।’ 

সামগ্রিক বিষয়ে আউটলেটটির ফ্লোর অপারেশন ম্যানেজার এম ডি লোকমান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে জীবিত হাঁস-মুরগি রাখা হচ্ছে। বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং হওয়া সত্ত্বেও ক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরা এটি করতেছি। এতে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এ ছাড়া সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস আমরা নিজেরাই প্রসেসিং করি। গরু কিনে আমাদের তত্ত্বাবধানে জবাই করার পর আমরা তা সরবরাহ করছি। তাই ক্রেতাদের আগ্রহ এখন পর্যন্ত এই প্রোডাক্টগুলোতে বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

এর বাইরে প্রসাধনী সামগ্রী, মেডিক্যাল কর্নার, বিভিন্ন ডিনার সেটে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। যতই দিন যাচ্ছে ততই ক্রেতা সংখ্যা বাড়ছে, আমরা পজেটিভ সাড়া পাচ্ছি। অনেক জায়গাজুড়ে সুপারশপটি হওয়ায় ক্রেতারা প্রশংসা করছেন। কারণ অনেক স্বস্তি নিয়ে তারা কেনাকাটা করতে পারছেন। আমরা আরো কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ক্রেতাদের মানসম্মত সেবা দেওয়া।’

জানা গেছে, গত ৬ মার্চ আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এসময় মাশাল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজি জহির রায়হান অতিথিদের স্বাগত জানান।

আপন ফ্যামিলি মার্টের অপারেশন বিভাগের প্রধান রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সুপারশপে ৪৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গাজুড়ে ২২ হাজারেরও বেশি পণ্য পাওয়া যাবে।’

মন্তব্য

এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক
সংগৃহীত ছবি

ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন। গ্যাসের চাহিদা পূরণে বাড়ানো হচ্চে উচ্চমূল্যে আমদানীকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ। কিন্তু ডলারসংকটের কারণে সরকার চাইলেও বাড়তি এলএনজি আমদানি করতে পারছে না। এতে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে বড় ঘাটতি থাকছে।

এ অবস্থায় সরকার আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) এলএনজি কিনতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নিচ্ছে। ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার বা চার হাজার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আগ্রহপত্র আহ্বান করে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় ঋণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এতে গ্যারান্টার (নিশ্চয়তাদানকারী) হিসেবে থাকবে বিশ্বব্যাংক। আগ্রহী ব্যাংকগুলোর প্রস্তাব নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে জ্বালানি বিভাগ।

ডলারের সংকট থাকায় এলএনজি আমদানি বিল নিয়মিত পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এখনো এলএনজি বিল বকেয়া ২০ কোটি ডলারের বেশি।

বিল বকেয়া বাড়তে থাকায় এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছে না বিদেশি কম্পানি। ঋণসহায়তা পেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা। 

২০১৮ সালের পর থেকে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকে। ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। গত বছরও দিনে গ্যাস উৎপাদিত হতো ২০০ থেকে ২১০ কোটি ঘনফুট।

উৎপাদন কমে এখন ১৯০ কোটি ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছে। আর আমদানি করা এলএনজি থেকে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ৯৫ কোটি ঘনফুট।

এলএনজি আমদানি করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতারের রাস গ্যাস ও ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল থেকে এলএনজি আনছে আরপিজিসিএল। ২০১৮ সালের এপ্রিলে দেশে প্রথম এলএনজি কার্গো (জাহাজ) আসে কাতার থেকে।

আর ওমান থেকে প্রথম সরবরাহ আসে ২০১৯ সালে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এলএনজি আমদানির পেছনে খরচ হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। চড়া দামের এলএনজি কিনতে গিয়ে চাপে পড়েছে জ্বালানি খাত। এর আগে এলএনজি কিনতে বিভিন্ন সময় ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) থেকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নিয়েছে সরকার।

এদিকে এলএনজি বিলের মতো ডলারসংকটে দেশে সর্বোচ্চ গ্যাস উৎপাদনকারী মার্কিন কম্পানি শেভরনের বিলও নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না পেট্রোবাংলা। শেভরন গ্যাস বিল বাবদ পাবে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। গ্যাস বিলের মতো ডলারসংকটে বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এদিকে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চলতি অর্থবছরের বাকি চার মাসের জন্য চাহিদা আছে ৫০০ কোটি ডলারের। এটি এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খেয়ে এখন বহুজাতিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বকেয়া থাকার কারণে ভালো কম্পানি এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছে না। চাহিদা পূরণে আমদানি বাড়াতে হচ্ছে।

তাই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নেওয়া হচ্ছে। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঋণ নেওয়ায় সুদের হার বেশি হবে না। এ ছাড়া এলএনজি কেনার খরচ কমাতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাড়ানো হবে। ব্রুনেই ও সৌদি আরামকোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।

মন্তব্য

ব্যাংক কর্মকর্তাদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়ার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ব্যাংক কর্মকর্তাদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়ার নির্দেশ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত পেনশনধারীদের ভাতা একই দিনে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে, আগামী ৩১ মার্চ বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর পালিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ঈদ উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী (গেজেটেড ও নন-গেজেটেড), সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড ও নন-কমিশন্ড কর্মকর্তাদের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অবসরপ্রাপ্ত পেনশনাররাও একই দিনে তাঁদের অবসরের ভাতা পাবেন।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩ এপ্রিলও ছুটি থাকবে। ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় ব্যাংকও বন্ধ থাকবে, তবে কিছু শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা হতে পারে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ