ঐতিহ্য ও ইতিহাসবাহী পাবনা ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৩ সাল। প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে কলেজটি ৬৩ বছর পার করছে। প্রতিষ্ঠার সময় নাম দেওয়া হয় জিন্নাহ কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হয় ১৯৮৬ সালে।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের উন্নয়নের রূপকার অধ্যক্ষের অবসর
শেখ মেহেদী হাসান, ঈশ্বরদী

৫ আগস্টের পর থেকে শান্তিপূর্ণ মনোরম পরিবেশ ও রাজনৈতিক বাধা ও চাপমুক্ত হয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন দ্রুতগতিতে। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে কলেজটি আজ দর্শনীয় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপ পেয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নিজে ও সবাইকে অশ্রুসিক্ত করে বর্ণাঢ্যকর্মময় শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন এসএম রবিউল ইসলাম। এ উপলক্ষে কলেজ মিলনায়তন কক্ষে সাজানো সংবর্ধনা মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে ও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজটিতে শিক্ষার গুনগত মান ভালো থাকলেও ছিল না ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশ।
রবিউল ইসলাম কলেজটিতে চালু করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি। কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য করেছেন সুব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক অডিটোরিয়াম, উন্মুক্ত দেয়ালিকা, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কমনরুম, কলেজের পেছনের বড় মাঠের সংস্কারসহ ফুটবল টুর্নামেন্টের সুব্যবস্থা, এসএস রেলিং দিয়ে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে অব্যবহৃত স্থানে করেছেন নানা রকম ফুলের বাগান, কলেজ অভ্যন্তরে প্রতিটি রাস্তায় পার্কিং টাইস স্থাপন, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটের কক্ষ আধুনিকীকরণ, নতুন করে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট চালু করণ, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক পরিষদ কক্ষ আধুনিক সাজে সজ্জিতকরণ, রসায়ন ল্যাব ও পদার্থ ল্যাব আধুনিকীকরণ, শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সাজে ১৪টি ওয়াশরুম নতুন করে নির্মাণ। গৌরব ও ঐতিহ্যের হিরক জয়ন্তি ফলক নির্মাণ, শহীদ মিনার ও গার্ড মঞ্চ সংস্কার, পুরো ক্যাম্পাসে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু, মেয়েদের জন্য নামাজ ঘরের ব্যবস্থা, প্রত্যেক শিক্ষককে ল্যাপটপ প্রদান প্রতি বছর কলেজ ডাইরি, কলেজ ক্যালেন্ডার ও ম্যাগাজিন প্রকাশের ব্যবস্থা।
তিনি পুরো কলেজ ক্যাম্পাস ও বিভাগকে এনেছেন সিসি ক্যামেরার আওতায়। ফলে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে এই কলেজটি। একই সঙ্গে প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলাম অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য প্রতি বছর কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান, বার্ষিক ক্রীড়া সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ করেছেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চাকরির জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজন করেছেন চাকরি মেলা, বিজ্ঞান বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিজ্ঞান মেলা, ২১ শে বই মেলা, পিঠা উৎসবসহ নানা শিক্ষা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচির চালু করেছেন।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার তৃষা, বোটানি বিভাগের জয়া রানি দেবনাথ, দ্বিতীয় বর্ষের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মাহমুদুল ইসলাম শাওনসহ কয়েকজন বলেন, ‘অধ্যক্ষ এসএম রবিউল ইসলাম একজন ডাইনামিক শিক্ষক। সবসময় কলেজের উন্নয়নে কাজ করেছেন। কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়নে নানামুখি কর্মকাণ্ড চালু করেছেন। শিক্ষার্থীদের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের থেকে নিরাপত্তা প্রদানে পুরো ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছেন।
তারা আরো জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি কলেজে যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তা অবিশ্বাস্য। আজ তার যদি অবসরে যেতে না হত, তবে তিনি কলেজে আরো কাজ করার সুযোগ পেতেন।
কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান, সামাজিক সংগঠন মাদককে না বলুন (মানাব) সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোল বলেন, ‘অনেক বছর পর আজ কলেজ ক্যাম্পাসে এসেছি। কলেজের যে উন্নয়ন অধ্যক্ষ এসএম রবিউল ইসলাম করেছেন তাতে আমি খুবই বিস্মিত। তিনি সত্যিই একজন উন্নয়নের রূপকার।’
কর্মময় জীবন থেকে অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ এসএম রবিউল ইসলাম আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজে এখনো অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। সেগুলো সময় স্বল্পতার জন্য করে যেতে পারলাম না। কলেজের জমি সংক্রান্ত জটিলতার জন্য ক্যাম্পাসটি অরক্ষিত রয়েছে। বাউন্ডারি দেওয়াল না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটছে।’
নিজের সম্পর্কে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি ছোট বেলায় বাবার সাইকেলে বসে বাবার প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করি। ১৯৮৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করি। প্রথমে একটা কনসালন্টিং ফার্মে চাকরি করি। এরপর ১৪ তম বিসিএস পাশ করে ১৯৯৩ সালের ১৮ নভেম্বর ঝিনাইদহের সরকারি কেএমএইচ কলেজ কোটচাদপুরে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অধ্যক্ষ হিসেবে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে যোগদান করি। আর আজ শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসর নিয়ে চলে যাচ্ছি।’
সম্পর্কিত খবর

নতুন জাতের টমেটো উদ্ভাবন বাকৃবির গবেষকদের
বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকরা সম্প্রতি ‘বাউ বিফস্টেক টমেটো-১’ নামে টমেটোর নতুন একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। এই টমেটো শুধু আকৃতিতে বড় নয়, স্বাদে ও পুষ্টিগুণে অনন্য বলে দাবি গবেষকদের।
বাউ বিফস্টেক টমেটো-১ উদ্ভাবনের গবেষণা পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান। গবেষণাটি ২০১৯ সালে শুরু হয়।
চার বছর জাতটি নিয়ে কাজ করার পর ২০২২ সালে অধিকতর কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. আরিফ হাসান খান রবিন ও অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান গবেষণার তত্ত্বাবধান করেন।
এ ছাড়া, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মেশকুল জান্নাত তাজ তার স্নাতকোত্তর গবেষণার অংশ হিসেবে এই জাতটি নিয়ে দীর্ঘ তিন বছর কাজ করেন।
অধ্যাপক ড. আরিফ হাসান খান রবিন বলেন, ‘বাউ বিফস্টেক টমেটো খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টতা যুক্ত।
‘কোষবিন্যাস দেখতে অনেকটা গরুর মাংসের মতো হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘বাউ বিফস্টেক’।
ফলন সম্পর্কে অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাউ বিফস্টেক টমেটো-১ গাছের উচ্চতা ৯০ থেকে ১২০ সেমি এবং এটি তুলনামূলকভাবে কম থোকা ধরে। তবে, প্রতিটি ফল আকারে বড় হওয়ায় গড়ে ৩-৪টি টমেটোতেই ১ কেজি ওজন হয়ে যায়। একটি গাছে সাধারণত ১৫ থেকে ২০টি টমেটো ধরে। ফলে প্রতি গাছ থেকে গড়ে ৫-৬ কেজি টমেটো উৎপাদিত হয়, যা সাধারণ টমেটো গাছের তুলনায় বেশি। জাতটি হেক্টরপ্রতি ৪০-৫০ টন ফলন দিতে সক্ষম এবং ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যায়।’
পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই টমেটোতে উচ্চ পরিমাণে গ্লুকোজ (১.২%), ফ্রুকটোজ (৩.৭%) ও সুক্রোজ (৩.৬%) থাকায় এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং স্বাদেও মিষ্টতা যুক্ত। এসব বৈশিষ্ট্য এই টমেটোকে ভোক্তাদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে।’
এই জাতটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাউ বিফস্টেক টমেটো-১ কম বীজযুক্ত, মাংসল ও উজ্জ্বল লাল রংয়ের হয়ে থাকে। এটি কোনো ধরনের সংরক্ষণ উপায় ছাড়াই সাধারণ তাপমাত্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন সংরক্ষণ করা যায়। পোকা মাকড় ও রোগ বালাই হয় না বললেই চলে। ফলে ক্ষতিকর কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না বলে উৎপাদন খরচ কম হয়। উৎপাদন কৌশল অন্যান্য জাতের তুলনায় অধিকতর পরিবেশবান্ধব। এ ছাড়া, এর পুষ্টি উপাদানের কার্যকর ব্যবহার অত্যন্ত ভালো। এই জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটির জন্য বেশ উপযোগী এবং এটি স্থানীয় কৃষি ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

থানায় বসেই সমন্বয়ক পরিচয়ে ওসিকে বদলির হুমকি
অনলাইন ডেস্ক

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসানকে সাত দিনের মধ্যে বদলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাব্বির হোসেন নামে একজনের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় থানার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই সময় তিনি থানার ভেতর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা সমাধান করতে থানায় আসেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা থানায় সমাধানের জন্য একমত হলেও বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাব্বির নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। থানার ভেতর দাঁড়িয়ে এসপি ও ডিআইজিকে কল করে সাত দিনের মধ্যে ওসিকে বদলির হুমকি দেন সাব্বির হোসেন।
ইবি থানার ওসি শেখ মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইবি থানাধীন সুগ্রীবপুর জমিসংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে থানায় মীমাংসা হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘সাব্বির মাঝেমধ্যেই থানার অফিসারদের হুমকি-ধমকি দেন।
সাব্বির হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবিথানাধীন আব্দালপুর ইউনিয়নের সুগ্রীবপুর গ্রামের আবুল হোসেন পুন্টুর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারী সাব্বির হোসেন বলেন, ঘটনাটি গ্রাম্যভাবে সমাধান হয়েছে।

ক্যাম্পাসেই ঈদ, চাকরির স্বপ্নে উৎসবে ভিন্ন রং
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বাংলাদেশের তরুণদের বড় একটি অংশের স্বপ্ন সরকারি চাকরি। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণের পথটা সহজ নয়—প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং নিয়মিত পড়াশোনা। চাকরির প্রস্তুতির এই চাপে উৎসবের দিনগুলোতেও পড়ার টেবিল ছাড়ার সুযোগ মেলে না। ঈদের মতো আনন্দঘন মুহূর্তগুলো যখন পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়, তখন সেই উৎসবের রংও হয় অন্যরকম।
নিয়নের মতো অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যারা চাকরির প্রস্তুতির জন্য ঈদের ছুটিতেও ক্যাম্পাসে থেকে যান। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির তাগিদে নিজেকে পড়ার টেবিলে আবদ্ধ রাখতে হয়। নিয়ন বললেন, 'অনেকেই মনে করেন, উৎসবের দিনে পড়াশোনা করতে কষ্ট হয়।
ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপনও এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
চাকরির প্রস্তুতির তাগিদে পরিবার থেকে দূরে থাকা নিঃসন্দেহে কষ্টকর। তবে নিয়নের মতে, এই কষ্টই ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়। ‘আমরা যারা ক্যাম্পাসেই ঈদ করি, তাদের উৎসবটা হয়তো একটু ভিন্ন; কিন্তু স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলার শক্তি জোগায়। এই সাময়িক কষ্টের পর একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারব—এই বিশ্বাসই আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে, বললেন নিয়ন।
নিজের স্বপ্ন পূরণ করে পরিবারের হাল ধরার জন্য যারা নিরলস পরিশ্রম করছেন, তাদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে নিয়ন বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিটি তরুণের ত্যাগ যেন তাদের সাফল্যের পথকে সুগম করে, সেই প্রত্যাশা করি। সবার কাছে দোয়া চাই যেন একদিন এই পরিশ্রমের ফল মেলে এবং আমরা আমাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।’
পরিবার থেকে দূরে থাকলেও স্বপ্নের পথচলায় অনুপ্রাণিত নিয়নদের মতো হাজারো তরুণ। তাদের এই ত্যাগ আর পরিশ্রমই হয়তো বদলে দেবে আগামীর বাংলাদেশ।

বাকৃবিতে ছিনতাইয়ের সময় ছিনতাইকারী ও অটোচালক আটক
বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় এক ছিনতাইকারী ও তার সহযোগী অটোচালককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৩০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান। এর আগে শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—ময়মনসিংহের ফকিরাকান্দা এলাকার মো. আসিফ (১৯) এবং একই এলাকার অটোচালক মো. ইয়াসিন মিয়া (জিয়াদ)।
উপপরিদর্শত মোখলেছুর রহমান জানান, শিকারাকান্দা থেকে ব্রিজের মোড়ে যাওয়ার জন্য এক যাত্রী মো. ইয়াসিন মিয়ার অটোতে উঠেছিলেন। পথে ছিনতাইয়ের শিকার হয় ওই যাত্রী। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে অটো থেকে নামিয়ে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে পৌঁছালে ছিনতাইকারীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।
এসআই মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে ছিনতাইকারীরা তাদের অপরাধ অস্বীকার করলেও পরে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয়। এরপর তাদের বাকৃবি পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয়।