তোমরা কি কখনো ভেবেছ, কিভাবে রহস্যের পর্দা উন্মোচিত হয়? কারা অপরাধীদের শনাক্ত করে? কোথাও গোপন কোনো তথ্য থাকলে, কারা সেটি খুঁজে বের করে? উত্তর একটাই—গোয়েন্দা। গোয়েন্দারা যে শুধু বই বা সিনেমার চরিত্র তা নয়, বাস্তবেও এই পেশার অস্তিত্ব রয়েছে।
গোয়েন্দা হলো এমন ব্যক্তি বা সংস্থা, যারা গোপন তথ্য সংগ্রহ, তদন্ত ও বিশ্লেষণ করে থাকে। অপরাধমূলক, সামরিক, রাজনৈতিক বা করপোরেট বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটা হতে পারে।
অপরাধীদের খুঁজে বের করে, গোপন তথ্য উদ্ধার করে এবং নানা রহস্যের সমাধান করে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দার ইংরেজি প্রতিশব্দ Detective.
গোয়েন্দাদের কাজ কিন্তু মোটেই সহজ নয়। একজন গোয়েন্দাকে আশপাশের পরিবেশ ও মানুষের আচরণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়, সঙ্গে তথ্য সংগ্রহে অবলম্বন করতে হয় বিভিন্ন উপায়। প্রকৃত গোয়েন্দারা সিনেমার মতোই ছদ্মবেশ নিতে পারে।
কখনো তারা সাংবাদিক, কখনো ব্যবসায়ী বা পর্যটক সেজে গোপন তথ্য সংগ্রহ করে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬ এর অনেক এজেন্ট এতটাই দক্ষ যে তারা মিনিটের মধ্যেই এক ছদ্মবেশ থেকে আরেকটিতে রূপান্তরিত হতে পারে। কথিত আছে, বিখ্যাত কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র জেমস বন্ড বাস্তবের এক ব্রিটিশ গোয়েন্দা ফিটজরয় ম্যাকলিন থেকে অনুপ্রাণিত চরিত্র। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেশ কিছু দুঃসাহসিক মিশন পরিচালনা করেছিলেন।
একসময় সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) বিড়ালকে গুপ্তচর বানানোর চেষ্টা করেছিল। তারা বিড়ালের শরীরে ছোট মাইক্রোফোন লাগাত, যাতে এটি শত্রুদের কথোপকথন গোপনে শুনতে পারে।
গোয়েন্দাদের কাজ যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি রোমাঞ্চকরও। গোয়েন্দারা দেশ ও জাতির নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গল্প-উপন্যাস ও সিনেমায় অনেক বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র রয়েছে।
তারা মানুষের মাঝে রহস্যের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। শার্লক হোমস বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা, যার বিশ্লেষণী ক্ষমতা অসাধারণ। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি এক বুদ্ধিমান গোয়েন্দা ফেলুদা। শুধু বুদ্ধি দিয়েই রহস্যের জট খুলে ফেলে সে। এ ছাড়া শ কনারি, পিয়ার্স ব্রসনান, মাসুদ রানা, ব্যোমকেশ বকশী, কিরীটী রায়, কাকাবাবু প্রভৃতি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র।