এবার ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচিতে যোগ দিলেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা

চুয়েট প্রতিনিধি
চুয়েট প্রতিনিধি
শেয়ার
এবার ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচিতে যোগ দিলেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা

‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বর গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে চুয়েটে ক্লাস, ল্যাবসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নির্বিচারে বিমান হামলা, খাদ্য ও চিকিৎসার ঘাটতি সৃষ্টি করে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। গাজার মানুষ যখন ধ্বংসের মুখে, তখন আমরা কেবল নিজেদের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারি না। গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

চুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদিল রায়হান বলেন, ‘গাজাবাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমরা চুয়েটিয়ানরাও আগামীকাল ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

পাশাপাশি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন, বয়কট সচেতনতা, গ্রাফিতি, দেয়াল লিখনসহ আরো বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিনের লড়াই তাদের একার নয় বরং আমাদের সবার। আমরা সেই দাবি থেকেই তাদের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেছি।’

আদিল আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পরিসরের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসহ বিশ্ববাসীকে গাজায় সংঘটিত গণহত্যার ব্যাপারে নিন্দা জ্ঞাপন, গণহত্যা বন্ধসহ, ফিলিস্তিনবাসীর প্রতি ত্রাণ ও সহযোগিতার জন্য অবিলম্বে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২২ আবর্তের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে মান্নান উক্ত গণহত্যার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে শুধু মানুষ হিসেবে আমাদের ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছু করা উচিত। এভাবে নির্মম গণহত্যা চালাবে আর পুরো পৃথিবী চুপ করে বসে থাকবে, তা তো হতে পারে না। আমরা এই কর্মসূচির পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ আন্দোলনটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং সামাজিক আন্দোলনের দ্বারা শুরু হয়েছে। এটি বিশ্বজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে।

শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন যে এই আন্দোলন বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে সহায়ক হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

শেকৃবি প্রতিনিধি
শেকৃবি প্রতিনিধি
শেয়ার
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সংগঠনের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মো. আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে কেন শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

 

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নেতা আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমি এখনও অফিসিয়ালি কোনো নোটিশ পাইনি।

তবে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে শোকজের বিষয়টি জানতে পেরেছি। কেন্দ্রের সাথের যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

এ বিষয়ে ছাত্রদল শেকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, তার কারণ দর্শানোর নোটিশটি আমরাও পেয়েছি। মূলত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কেন্দ্রে অভিযোগ গিয়ে থাকতে পারে।

কেন্দ্র তার নিজস্ব উইং দিয়ে তদন্ত করে হয়তো তার কিছু সত্যতা পেয়েছে। তাই তাকে নোটিশটি দেয়া হয়েছে৷
 

মন্তব্য

রাজশাহীসহ পাঁচ আঞ্চলিক কেন্দ্রে রাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

রাবি প্রতিনিধি
রাবি প্রতিনিধি
শেয়ার
রাজশাহীসহ পাঁচ আঞ্চলিক কেন্দ্রে রাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল
সংগৃহীত ছবি

প্রথমবারের মতো দেশের ৫টি বিভাগীয় শহরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল শনিবার। এদিন বেলা ১১টায় বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এ ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। তিনটি ইউনিট মিলিয়ে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫৫ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। আগামী ১৯ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা এবং ২৬ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক এসব তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রথমবারের মতো রাজশাহীসহ দেশের ৫টি বিভাগের শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর অঞ্চলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবার তিনটি ইউনিটে ৪ হাজার ৩২৩টি আসনের বিপরীতে মোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৫জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

এ হিসেবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫৫ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যেই লাগানো হয়েছে সিট প্ল্যান। পরীক্ষা চলাকালে অভিভাবকদের অপেক্ষার জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ১১টি টেন্ট স্থাপন করা হয়েছে।

ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ছয়টি হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে তৈরি করেছে কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনী।

এছাড়াও প্রক্সি জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জালিয়াত চক্রের অপতৎপরতা রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগামীকাল থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।

ইতোমধ্যেই আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। আর জালিয়াতি ঠেকাতেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরেও যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় বিকেন্দ্রিকরণের ফলে অভিভাবকদের চাপ অনেকটা কমে আসবে। ফলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়বে না বলে আশা করছি।
 

মন্তব্য

রাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে চার সদস্যের কমিটি গঠন

রাবি প্রতিনিধি
রাবি প্রতিনিধি
শেয়ার
রাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে চার সদস্যের কমিটি গঠন
ছবি: কালের কণ্ঠ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রক্সিকাণ্ড রোধে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস এ কমিটি গঠন করেছে। 

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার মজুমদার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. হাসনাত আলী।

প্রসঙ্গত, বি (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এরপর ১৯ এপ্রিল এ (মানবিক) ইউনিট ও ২৬ এপ্রিল সি (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 
 

মন্তব্য

পবিপ্রবিতে গুচ্ছ পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
শেয়ার
পবিপ্রবিতে গুচ্ছ পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা

কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা অনুষ্ঠিত হবে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)-তে এবার অংশ নিচ্ছেন চার হাজার পরীক্ষার্থী।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক নিরাপত্তা সভায় এসব কথা জানান ভাইস চ্যান্সেলর। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, সভাপতিত্ব করেন প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার।

বক্তব্য রাখেন ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা জাহান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুকিত মিয়াসহ অনেকে।

পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি হেল্প ডেস্ক, ওয়াশরুম সুবিধা, মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার দিন দুপুর ১২টার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

পাশাপাশি আগের রাত থেকেই পুরো ক্যাম্পাসে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি নিশ্চিত করতে আনসার, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয় থাকবে।

নিরাপত্তা বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলর আরো বলেন, ভর্তি পরীক্ষা একটি বিশাল আয়োজন। প্রশাসনের একার পক্ষে এটি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল টিমসহ সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।

ঢাকায় একই দিনে ‘মার্চ টু গাজা’ কর্মসূচির কারণে যানজটের আশঙ্কা থাকায় পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছাতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সকাল ৮টার পর প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনমুখী সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। শুধু পরীক্ষাসংক্রান্ত যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে থাকছে কঠোর নজরদারি।

প্রশ্নপত্র বিতরণে জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যাতে নির্ধারিত কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছানো নিশ্চিত করা যায়। পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে পরীক্ষার্থীদের পুরো দেহ তল্লাশি করা হবে এবং কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনের সুযোগ থাকবে না। 

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৮৬৩ (পবিপ্রবিতে ৪২৩ জন)। আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ছাত্র ৪৬ হাজার ৯৩২ জন এবং ছাত্রী ৪৭ হাজার ৮৮ জন। গড়ে প্রতিটি আসনের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন ২৫ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৯টি কেন্দ্রে ও ১৩টি উপকেন্দ্রে। সম্ভাব্য ফল প্রকাশের তারিখ ১৫ এপ্রিল। 

উল্লেখ্য, কৃষি গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ