স্বাস্থ্য ঠিক রাখার অন্যতম শর্তের মধ্যে পড়ে স্বাস্থ্যকর ঘুম। মানে গভীর ঘুম। বলা হয়, প্রতিরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে আসবে জীবনীশক্তি। ঘুম না হলে স্ট্রেস ভর করবে, শারীরিক গঠন নষ্ট হবে এবং অস্বস্তিবোধ হবে।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখার অন্যতম শর্তের মধ্যে পড়ে স্বাস্থ্যকর ঘুম। মানে গভীর ঘুম। বলা হয়, প্রতিরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে আসবে জীবনীশক্তি। ঘুম না হলে স্ট্রেস ভর করবে, শারীরিক গঠন নষ্ট হবে এবং অস্বস্তিবোধ হবে।
আজ বিশ্ব ঘুম দিবস। নিদ্রা সংক্রান্ত ব্যাধিগুলি এমন, যা ঘুমের গুণমান, সময় এবং স্থিতি প্রভাবিত করে, ফলে দিনের মধ্যে ক্লান্তি ও স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে প্রধান ঘুমজনিত ব্যাধি দেওয়া হলো:
১. অনিদ্রা (Insomnia)
ঘুম আসতে দেরি হওয়া, বারবার জেগে ওঠা বা খুব তাড়াতাড়ি জেগে ওঠা। এটি স্বল্পমেয়াদী (Acute) বা দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) হতে পারে।
২. স্লিপ অ্যাপনিয়া (Sleep Apnea)
ঘুমের সময় বারবার শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA): গলায় পেশি শিথিল হয়ে শ্বাসরোধ হওয়া। সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া (CSA): মস্তিষ্ক শ্বাস-প্রশ্বাসের সংকেত পাঠাতে ব্যর্থ হয়।
লক্ষণ: উচ্চস্বরে নাক ডাকা, হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, অতিরিক্ত দিনের ঘুমঘুম ভাব।
৩. নারকোলেপসি (Narcolepsy)
অতিরিক্ত দিনের ঘুমঘুম ভাব ও হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়া।
ক্যাটাপ্লেক্সি (Cataplexy): হঠাৎ পেশী দুর্বল হয়ে পড়া। এটি ঘুম ও জাগরণের চক্র নিয়ন্ত্রণে মস্তিষ্কের অক্ষমতার কারণে ঘটে।
৪. রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম (Restless Legs Syndrome - RLS)
বিশেষ করে রাতে, পায়ে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং তা নাড়িয়ে নেওয়ার প্রবণতা।
৫. সার্কাডিয়ান রিদম স্লিপ ডিসঅর্ডার (Circadian Rhythm Sleep Disorders)
শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি এবং বাইরের পরিবেশের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা।
প্রকারভেদ:
ডিলেইড স্লিপ ফেজ ডিসঅর্ডার (DSPD): খুব দেরিতে ঘুমানো এবং দেরিতে জাগা।
অ্যাডভান্সড স্লিপ ফেজ ডিসঅর্ডার (ASPD): খুব তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি জাগা।
শিফট ওয়ার্ক স্লিপ ডিসঅর্ডার: নাইট শিফট বা পরিবর্তিত শিফটের কারণে ঘুমের সমস্যা।
জেট ল্যাগ ডিসঅর্ডার: সময় অঞ্চলের পরিবর্তনের কারণে ঘুমের সমস্যা।
৬. প্যারাসমনিয়া (Parasomnias)
ঘুমের সময় অস্বাভাবিক আচরণ।
উদাহরণ:
স্লিপওয়াকিং (Sleepwalking): ঘুমের মধ্যে হাঁটা বা কাজ করা।
স্লিপ টকিং (Sleep Talking): ঘুমের মধ্যে কথা বলা।
নাইট টেরর (Night Terrors): ঘুমের মধ্যে আকস্মিক আতঙ্ক ও চিৎকার।
আরইএম স্লিপ বিহেভিয়ার ডিসঅর্ডার (RBD): স্বপ্ন অনুযায়ী বাস্তবে শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখানো।
৭. হাইপারসমনিয়া (Hypersomnia)
পর্যাপ্ত ঘুমের পরও অতিরিক্ত ঘুমঘুম ভাব। এটি বিভিন্ন চিকিৎসা সমস্যার কারণে হতে পারে।
৮. ব্রুক্সিজম (Bruxism - Teeth Grinding)
ঘুমের সময় অজান্তে দাঁত ঘষা। এটি চোয়ালের ব্যথা, মাথাব্যথা এবং দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।
৯. স্লিপ প্যারালাইসিস (Sleep Paralysis)
ঘুম থেকে জাগার সময় বা ঘুমাতে যাওয়ার সময় শরীর নাড়াতে না পারা। অনেক সময় এটি ভৌতিক অনুভূতি বা কল্পনার সাথে যুক্ত থাকে।
১০. নকটর্নাল এনুরেসিস (Nocturnal Enuresis - Bedwetting)
ঘুমের সময় অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব, যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসার উপায়:
জীবনযাত্রার পরিবর্তন: ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা, মানসিক চাপ কমানো।
চিকিৎসা: স্লিপ অ্যাপনিয়ার জন্য CPAP মেশিন, নারকোলেপসি বা RLS-এর জন্য ওষুধ।
সাইকোলজিক্যাল থেরাপি: বিশেষ করে অনিদ্রার জন্য সগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) কার্যকর।
লেখক : ড. এস এম আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর, রেসপিরেটরি মেডিসিন, এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা।
সম্পর্কিত খবর
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর উদ্যোগে ‘এআইইউবি বৈশাখী উৎসব ১৪৩২’ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হয়। বাঙালির প্রাণের এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ রঙে ও বাঙালি ঐতিহ্যে মেতে ওঠে।
পহেলা বৈশাখের এই আয়োজনে ছিল বাউল গান, লোকসংগীত, ব্যান্ড পারফরম্যান্স, নাগরদোলা, গ্রামীণ মেলা এবং এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৈশাখী উৎসব ১৪৩২ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, মিনার রহমান, তাহসান এবং প্রীতম হাসানের সংগীত পরিবেশনা।
উৎসবে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় বাহারি স্টল ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে। মেলায় স্থান পায় দেশীয় খাবার, হস্তশিল্প, মাটির খেলনা, পাটজাত পণ্য এবং লোকজ ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ষবরণ উপলক্ষে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ বর্ণিল করা হয় আলপনায় এবং তৈরি করা হয় পহেলা বৈশাখের বিভিন্ন মোটিফ।
বৈশাখী উৎসব ১৪৩২-এর শুভ উদ্বোধন করেন এআইইউবি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান মিসেস নাদিয়া আনোয়ার।
এনসিসি ব্যাংক সম্প্রতি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সঙ্গে সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এসএমই খাতের সরবরাহকারীরা সহজ শর্তে এনসিসি ব্যাংকের যেকোনো শাখা ও উপ-শাখা থেকে সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্সিং সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, সিপিএ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এ সময় এনসিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. খোরশেদ আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এফসিএ ও মো. মনিরুল আলম, এসইভিপি ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান, ইভিপি ও হেড অব ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ খান, ইভিপি ও হেড অব ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশন সাইফ উদ্দীন আহমেদ, ইভিপি ও চীফ অব ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন আবুল কাসেম মো. ছফিউল্লাহ, এসভিপি এবং হেড অব সাস্টেইনেবল ও উইমেনস ব্যাংকিং নিঘাত মমতাজ, এসভিপি ও হেড অব এসএমই শরীফ মোহাম্মদ মহসীন, এসভিপি ও হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন এএইচএম আবদুস সাদিক খান, এসভিপি ও হেড অব অপারেশন্স সৈয়দ তৌহিদ হোসেন এবং হেড অব ট্রানজেকশন ব্যাংকিং ও ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান শাহীন আক্তার নুহাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা, কল্যাণ ও নতুন জীবনের বাঙালির প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দেশের প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি রূপায়ণ সিটিতে উদযাপিত হয় নববর্ষ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত রূপায়ণ সিটি উত্তরার স্কাই ভিলা প্রাঙ্গণে সিটির বাসিন্দা ও রূপায়ণ সিটি উত্তরার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিনটি উদযাপন করেন একত্রে শতকণ্ঠে এসো হে বৈশাখ, এসো এসো গান গেয়ে। এ সময় বৈশাখ উপলক্ষে রূপায়ণ সিটির ভেতরে সাত দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করা হয়।
সিটির একাধিক বাসিন্দা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাঙালির সর্বজনীন লোকজ উৎসব পহেলা বৈশাখ। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে দেশ।
রূপায়ণ সিটি উত্তরা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এর মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আজকে রূপায়ণ সিটি উত্তরার সম্মানিত বাসিন্দা, গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ উদযাপন করেছে।
অন্যদিকে রূপায়ণ গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে উদযাপিত হলো বাংলার নববর্ষ। এই নগর জীবনে অন্তরের যে স্বত্বা সে সত্তাকে বারবার খুঁজে ফিরি। নগরের এই যান্ত্রিক জীবনে সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রূপায়ণ সিটি উত্তরা। রূপায়ণ সিটিতে শতকণ্ঠে আজকে আমরা বর্ষবরণ করেছি। সব বয়সী মানুষের অংশগ্রহণ, এটাই কমিউনিটি লিভিংয়ের সৌন্দর্য। যা কিনা সম্প্রীতির বার্তাকে বারবার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশ, জাতি রূপায়ণ সিটিসহ আবাসনশিল্পের সাথে যারা জড়িত আছে তারা সহ আমাদের শুভাকাঙ্খী যারা আছেন সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনটা চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে আজকের নববর্ষকে যেন আমরা বুকে ধারণ করতে পারি, সে কামনাই করছি।’
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘ফাউন্ডেশন ফর লার্নিং, টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ’ (এফএলটিআর)-এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কার্যকর শিক্ষণ কৌশল বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। কোর্স শেষে শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত চলা তিন দিনের এ প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষক অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে এফএলটিআরের চেয়ারম্যান এবং সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম হুমায়ুন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান।
এ ছাড়া ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. সুফিয়া ইসলাম এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নিজেদের শিক্ষকতার নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং শিক্ষকদের ক্রমাগত পেশাগত উন্নয়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ২৫ জন অংশগ্রহণকারীর হাতে তাদের সার্টিফিকেট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম আশিক মোসাদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।