ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা তালেব হত্যারহস্য উদঘাটন

  • ২ আসামী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
শেয়ার
বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা তালেব হত্যারহস্য উদঘাটন

অবশেষে বগুড়া শহর যুবলীগের সাবগ্রাম বন্দর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। সেই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের বারপুর এলাকা থেকে রক্তমাখা পোশাক পরা অবস্থায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

গত ১৪ জুন রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের আকাশতারা জুট মিলের সামনে আবু তালেবকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের বারপুর এলাকা থেকে রক্তমাখা পোশাক পরা অবস্থায় মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বগুড়া সদর থানার আকাশতারা মধ্যপাড়া এলকার আফছার প্রামাণিকের ছেলে চাঁন মিয়া (২১) ও একই এলাকার কাইয়ুম প্রামাণিকের ছেলে বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পা।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামীরা পালিয়ে বেড়ানোর কারণে রক্তমাখা পোশাক পরেই ঘুরছিল।

এমন অবস্থাতেই তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, মামলার তিন আসামিই অস্ত্রবাজ ও একসাথে চলাফেরা করতো। এর মধ্যে প্রধান আসামি ফিরোজ ওরফে ফোকরার সাথে তালেবের সম্প্রতি নানা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।

তাছাড়া চান ও বাপ্পার সাথেও তালেবের ভালো সম্পর্ক যাচ্ছিল না। তাছাড়া তালেবের 'বড় ভাই সুলভ' আচরণ তারা তিনজনই মেনে নিতে পারছিল না। ফলে তালেব বিভিন্ন সময়ে তাদের বিভিন্ন ইস্যুতে ডাকলেও তারা সাড়া দিত না।

এমন পরিস্থিতিতে ঘটনার দিন তিন আসামী ঘটনাস্থলের পাশে আইয়ুবের দোকানে পান খাচ্ছিলের। এমন সময় তালেব একটা মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে আসে।

মোটরসাইকেল থেকে নেমে তালেব চাঁনকে ডাক দিলে তিনজনই এগিয়ে আসে। এসময় তালেব চাঁনকে জিজ্ঞেস করে “কিরে,কথা শুনিস না কেন, বেশি সেয়ানা হয়ে গেছু? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাঁন চাকু বের করে তালেবের বুকে আঘাত করে। তালেব দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পিছন থেকে তিনজনই তালেবকে এলোপাথারি ছুরি মারতে থাকে। তালেব মাটিতে পড়ে যাবার পরেও তারা মারতে থাকে। 

এ সময় ফিরোজের চাকুর আঘাতে তালেবের শ্বাসনালী প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তাদের নিজেদের এলোপাথারি কোপে চাঁনের ডান হাতের কনে আংগুল এবং ফিরোজের ডান কনুই কেটে যায়। তাছাড়া আসামীদের দেয়া তথ্যমতে আকাশতারা-গাবতলী রোডে একটি বাগানের মধ্যে থেকে হত্যাকান্ডের সময় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঁঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপর আসামী ফিরোজ ওরফে ফোকরাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বৈশাখের অনুষ্ঠানে যাননি অসুস্থ বিএনপি নেতা, শোকজ পাঠাল দল!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
বৈশাখের অনুষ্ঠানে যাননি অসুস্থ বিএনপি নেতা, শোকজ পাঠাল দল!

অসুস্থতার কারণে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনগত ও জামিনে সহায়তাকারী হিসেবে অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জুকে এর জন্য ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জবাবও দিতে বলা হয়েছে। 

গত ১৩ এপ্রিল তারিখ দিয়ে কারণ দর্শানোর ওই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন বাজুবাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম বাবুল ও সদস্য সচিব আশরাফুল আলী মলিন।

তবে গত ১৪ এপ্রিল ওই নোটিশের একটি কপি কিছুক্ষণের জন্য ফেসবুকে শেয়ার করেন বাজুবাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম বাবুল। পরবর্তীতে তিনি সেটি ডিলিট করে দেন। 

বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ রঞ্জু বলেন, ‘আসল ঘটনা হলো পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বাঘার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সম্পাদককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি হার্ট ও ডায়াবেটিসের কারণে অসুস্থ থাকায় ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি কারণ দর্শানোর ওই নোটিশটি তার ফেসবুকে পোস্ট করলেও পরবর্তিতে তিনি সেটি রিমুভ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমি এখনও পর্যন্ত (মঙ্গলবার) এই ধরনের কোনো নোটিশ পাইনি।’

তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে ধরনের ঘটনার কোনো সত্যতা নেই।

কেও প্রমাণ দিতে পারলে তিনি স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকেই অবসরে যাবেন। তিনি বলেন, 'আমি রাজনীতি করতে গিয়ে জেল খাটা মানুষ। রাজনীতির জন্য অনেক ত্যাগ আছে আমার। আর সেই আমি এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জামিনে আইনী সহায়তা করব এটা কল্পনা করা যায় না। আমাকে মূলত সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে দেওয়া নোটিশে বলা হয়, 'আপনি দলের দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ থাকায় এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনী সহায়তাসহ জামিনে সহায়তা করায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আপনাকে বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদ ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে কেন অব্যাহতি প্রদান করা হবে না, তার উপযুক্ত জবাব ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাঘা থানা বিএনপির নিকট লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করা হলো।'

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম বাবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একটা ছোট বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। তবে এটি নিয়ে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন না। আমরা চাই না দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা বাড়ুক।’

মন্তব্য

ববিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী আটক, পুলিশে দিল ছাত্রদল

ববি প্রতিনিধি
ববি প্রতিনিধি
শেয়ার
ববিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী আটক, পুলিশে দিল ছাত্রদল
সংগৃহীত ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী টিকলী শরীফসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের বন্দর থানার হেফাজতে রাখা হয়।

আটক টিকলী শরীফ খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর দাবি, টিকলী শরীফ পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন।

তবে বাকি দুইজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী একটি গোপন বৈঠক করছিলেন। সহপাঠীরা বিষয়টি জানালে আমি সেখানে যাই এবং পরে পুলিশে দেওয়া হয়।”

ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই, তাই সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন।

তবে টিকলী শরীফ ছাড়াও আটক তিনজনের একজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদের মাধ্যমে আটকের খবর পেয়েছি। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। বিস্তারিত যাচাই করা হচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, “কিছু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই।

পরে পুলিশ এসে আটক তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।”

মন্তব্য
আশুলিয়া

ফ্লাইওভারের পিয়ার ক্যাপ সাটার ভেঙে কাভার্ডভ্যানের ওপর

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফ্লাইওভারের পিয়ার ক্যাপ সাটার ভেঙে কাভার্ডভ্যানের ওপর
সংগৃহীত ছবি

সাভারের আশুলিয়ায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নির্মাণাধীন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিয়ার ক্যাপ সাটার ভেঙে ওই কাভার্ডভ্যানের ওপর পড়েছে। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বলিভদ্র বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের বলিবদ্র এলাকায় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছিল। এসময় রাত ৮টার দিকে চন্দ্রা থেকে নবীনগরগামী একটি কাভার্ডভ্যান এক্সপ্রেসওয়ের একটি পিলারে ধাক্কা দেয়ে। এতে পিলারের ওপর থাকা লোহার সাটার কাভার্ডভ্যানের ওপর ভেঙে পড়ে । তবে এ ঘটনায় কেও আহত হয়নি।

এ সময় সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করে যৌথবাহিনী ও সড়ক কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক্সপ্রেসওয়ের একজন ইন্জিনিয়ার বলেন, 'লরির উচ্চতা বেশি ছিল। তাই গার্ডারের সঙ্গে বেঁধে যায়।

এখানে ভেঙে পড়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।'

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি ফোনে শুনেছি আমাদের লোকজন সেখানে গেছে। একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সাটারের ওপর ধাক্কা দিয়েছে। এতে সেটি ভেঙে পড়েছে। তবে কেও আহত হয়নি।

'

তিনি আরো বলেন, 'ঈদের আগেই পিয়ার ক্যাপ ও পিলারের ঢালাই কাজ হয়েছে। সে পিলারের সাটার খুলে ফেলা হচ্ছে। যেহেতু সাটার গুলো পার্ট পার্ট থাকে তাই সব একটু লুজ রাখা হয়। এমন অবস্থায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আঘাত করছে। এতেই সব কাভার্ডভ্যানের ওপর পড়ে গেছে। আমাদের সব ঠিক আছে। কিছু সাটার ভেঙে গেছে। বাকী এক্সপ্রেসওয়ের সব ঠিক আছে।'

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, 'সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম রয়েছে, বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।'

মন্তব্য

বগুড়ায় হাজতখানায় আ. লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বগুড়ায় হাজতখানায় আ. লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

বগুড়ায় আদালতের হাজতখানায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার হাজিরা দিতে কারাগার থেকে আবু সুফিয়ান শফিককে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। হাজিরা শেষে তাকে রাখা হয় হাজতখানায়।

যেখানে আরো কয়েকজন আসামি অবস্থান করছিলেন। দুপুরে শফিকের হাতে থাকা বোতল থেকে পানি ছিটকে পড়ে হত্যা মামলার আসামি সাগরের শরীরে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সাগর, তার সহযোগী জলিলসহ কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করেন। তাৎক্ষণিক হাজতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং শফিককে সরিয়ে নেন।
 

আরো পড়ুন
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৭ শতাংশের নিচে

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৭ শতাংশের নিচে

 

হাতকড়া পরা অবস্থায় আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় শফিকের। এ সময় তিনি বলেন, ‘পুলিশের ইন্ধনে আমার ওপর হামলা হয়েছে। বাথরুমে আশ্রয় নিলে সেখানেও আমাকে মারধর করা হয়। পুলিশ হেফাজতে থেকেও আমি নিরাপত্তা পাইনি।

হামলার পর কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। আমি এ ঘটনায় মামলা করব।’

জানতে চাইলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ঘটনার পর পরই হাজতখানায় গিয়ে আবু সুফিয়ান শফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ