পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়য় সৎ মায়ের মারধরে হানযালা নামে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে অভিযুক্ত বাবা ওয়ার্কশপ শ্রমিক জুয়েল মুন্সি ও সৎ মা শাহানা বেগম মিলে শিশুটির লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
সন্তানকে হত্যার পর হাসপাতালের সামনে রেখে পালাল বাবা-মা!
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, পিরোজপুর

শিশুটির আপন মা সুবর্ণার বেগম অভিযোগ, গত দেড় বছর আগে তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এসময় তার সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু হানযালাকে তার বাবা জোর পূর্বক নিয়ে যান। পরে তার স্বামী বিয়ে করেন। এরপর থেকে হানযালা সৎ মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি হানযালাকে শহরের দক্ষিণ বন্দর ভাড়া বাসায় সৎ মায়ের কাছে নিয়ে আসেন জুয়েল। এ নিয়ে তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বুধবার রাতে শিশুটি সৎ মা মারধর করে।
শিশুটির নানি বৃদ্ধা হাসি বেগম এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, শিশু হানযালা আমার কাছে ছিলো। গত শবেরাতের রাতে তার বাবা ওকে সুস্থ অবস্থায় নিয়ে যায়। এখন শুনি সৎ মায়ের মারধরে হানযালা মারা গেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, মৃত শিশুরটির আপন মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা ও সৎ মা পলাতক। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

নদের পাড় ভেঙে মাটি চাপা পড়ে বিআইডব্লিউটি কর্মচারী নিহত
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোণা

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে ধনু নদের পাড় ভেঙে মাটির নিচে চাপা পড়ে নৌকায় ঘুমিয়ে থাকা আলখাছ মিয়া (৪৩) নামের বিআইডব্লিউটি কর্মচারী নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার ধনু নদের ফেরি ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলখাছ মিয়া উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে। তিনি বিআইডব্লিউটিয়ে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলখাছ মিয়া বিআইডব্লিউটিয়ে আউটসোর্সিংয়ের কর্মী হিসেবে ধনু নদে গভীরতা অনুযায়ী কার্গো-বাল্কহেড চলাচলে সহায়তার জন্য সংকেত দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। রবিবার দুপুরে ছোট নৌকা নিয়ে তার কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে জগন্নাথপুর ফেরি ঘাটে নৌকায় ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ নদের পাড় ভেঙে বিশাল মাটির খণ্ড তার নৌকার ওপর পড়ে যায়।
লেপসিয়া নৌপুলিশ আলখাছ মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নৌপুলিশ নিহতের মরদেহ খালিয়াজুরী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই।

কূপ সংস্কারে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কূপ সংস্কার গিয়ে দুই শ্রমিক মারা গেছেন। রবিবার (১৩ এপ্রিল) নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন রাংটিয়া এলাকার নীপুরায় কোচের ছেলে নারায়ণ কোচ (৩৮) এবং শালচুড়া এলাকার মৃত নীল মহন কোচের ছেলে নিরাঞ্জন কোচ (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, দমকল বিভাগের কর্মীরা কূপের নিচ থেকে নিহত শ্রমিকদের মরদেহ উদ্ধার করেন।

আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে : সালাহউদ্দিন আহমেদ
ঝিনাইগাতী দমকল বিভাগের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান জানান, গভীর কূপের ভেতর অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে প্রথম জনের সমস্যা হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে যান আরেকজন। সেখানে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

মাদরাসাছাত্র আল-ইয়াসিন হত্যা মামলায় শিক্ষক রায়হান গ্রেপ্তার
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসাছাত্র আল-ইয়াসিন (১৪) হত্যা মামলার আসামি শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদারকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে বানারীপাড়া থানা থেকে তাকে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর শাহ-আলী এলাকা থেকে থেকে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৭ মাস পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন কুমার রায় জানান।
ইয়াসিন সৈয়দকাঠির আউয়ার দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একই উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বড় চাউলাকাঠি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। হেফজ বিভাগের ২৪ পারা পর্যন্ত কোরআন আয়ত্ত করেছিল ইয়াসিন। ৩০ পারা শেষ করে মাথায় পাগড়ি নিয়ে হাফেজ হয়ে ফিরে আসবে ছেলে, এ আশায় বুক বেঁধেছিলেন তার মা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে মাদরাসা থেকে ইয়াসিন নিখোঁজ হয়। তার মাকে ফোন করে অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া জানান, ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির ইয়াসিন কাউকে না জানিয়ে কোথাও যায় না।
মামলার বাদী ইয়াসিনের বড় ভাই রুম্মানের অভিযোগ, অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া মাদরাসার আশপাশে খুঁজতে না দিয়ে তাদের ভিন্ন পথে নিয়ে খোঁজার চেষ্টা করেন।
মৃত্যুর ৯ দিন পর তার বড় ভাই আল-রুম্মান (২১) বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া (৫৫), তার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৪), শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদার (২৬), আহমাদুল্লাহ আহম্মদ (২৫) ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলমগীর হাওলাদার (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ইয়াসিনকে হত্যা ও মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।

গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝুলন্ত অবস্থায় ঝর্না (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. শারফিনকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জ মর্গে রয়েছে।
ওসি জানান, নিহতের পরিবারের দাবি ওই নারীকে তার স্বামী হত্যা করেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তার স্বামী শারফিনকে আটক করেছি। তদন্তসাপেক্ষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং দোষী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, আত্মহত্যার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিভাবে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।