ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

এক ভাইয়ের দেহ উদ্ধার, তিন ভাই থানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
শেয়ার
এক ভাইয়ের দেহ উদ্ধার, তিন ভাই থানায়
মশিউর রহমান সোনা মিয়া

বগুড়ায় দলিল লেখক মশিউর রহমান সোনা মিয়ার (৩০) মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তার তিন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। সোনা মিয়ার বাবা মকবুল হোসেন নান্নু মিয়া হত্যা মামলার বাদী ছিলেন তিনি। আর ওই মামলার একমাত্র আসামি ছিলেন সোনা মিয়ার ছোট ভাই তোতা মিয়া।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদেরকে থানায় নেওয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন- সোনা মিয়ার ছোট তিন ভাই যথাক্রমে তোতা মিয়া, তারা মিয়া ও মন্নু মিয়া।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে পারিবারিক কলহের জের ধরে সোনা মিয়ার বাবা মকবুল হোসেন নান্নু মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ছেলে তোতা মিয়া। লাঠির আঘাতে নান্নু মিয়া মারা যান। ওই সময় ছোট ভাই তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন সোনা মিয়া। পিতা হত্যার অভিযোগে তোতা মিয়া গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে থাকার পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তারা চার ভাই এক বাড়িতেই বসবাস করতেন।

নিহতের মা সামছুন্নাহার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সস্পর্ক ভালো ছিল। পিতা হত্যা নিয়ে ভাইদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। তোতা মিয়া নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছেন।

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, তোতা মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ২০১৭ সালে পিতাকে হত্যার পর তিনি নিজেই থানায় হাজির হয়েছিলেন।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোনা মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের বাবার বাড়ি ভোলা জেলায়। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। সোনা মিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

এ কারণে পুলিশ তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী বলেন, নিহতের তিন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। নিহত সোনা মিয়ার স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি নিয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

মন্তব্য

মির্জাপুরে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাপুরে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান রানাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগে জানা গেছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া রেল গেট বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আব্দুল মান্নানকে উদ্ধার করে জামুর্কীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

আহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, অনলাইন জুয়া, জমি দখল, দুর্নীতিও অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আব্দুল মান্নান রানা স্থানীয় একটি জনসভায় বক্তব্য দেন। সমাবেশের আগে ও পরে কয়েকটি স্থানে জমি দখলের চেষ্টা চালায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। আব্দুল মান্নান রানা নিরীহ মানুষের পক্ষ নিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদ করেন। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন মহলটির সদস্যরা।

মান্নানের ওপর হামলা চালাতে সুযোগ খুঁজতে থাকেন তারা। শনিবার দুপুরে আব্দুল মান্নান রেল ক্রসিং এলাকায় ব্যক্তিগত অফিসে বসেছিলেন। এসময় স্বল্প মহেড়া গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে পাপন মিয়া, আজমত মিয়ার ছেলে আলিফ মিয়া, আবু মিয়ার ছেলে যুবরাজ মিয়া ওই অফিসে গিয়ে মান্নানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লোহার পাইপ ও রড দিয়ে মান্নানকে পিটিয়ে আহত করে।
এসময় মান্নান দৌড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আব্দুল মান্নান রানা বলেন, জমি দখল ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। তিনি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অভিযুক্ত আলিফ মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান রানা ৫ আগস্টের পর থেকে মাটি কাটাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তিনি এলাকায় একজন অত্যাচারী মানুষ। এ ছাড়া তিনি আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এজন্য তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

কুমিল্লা ক্লাবের ফারুক আহমেদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
কুমিল্লা ক্লাবের ফারুক আহমেদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

ইসরাইলের বর্বর হামলায় পরিবার পরিজন হারানো ফিলিস্তিনের গাজার অভুক্ত ও অসহায় শতাধিক শিশু ও নারীকে উন্নত খাবার ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিলভার ডেভলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ। 

সম্প্রতি সশরীরে মিসরে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ মানবিক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে ইতিমধ্যেই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) এ মানবিক কর্মযজ্ঞের বিষয়টি নিয়ে কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়াতেও  অধ্যাপক ফারুক আহমেদের একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিলভার ডেভলাপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত কাজে ফিলিস্তিন ও মিসরে যান।

সেসময় তিনি গাজায় বর্বর ইসরায়েলিদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং নারকীয় তাণ্ডব ও হামলার দৃশ্য সচক্ষে অবলোকন করে রীতিমত হতচকিত হয়ে যান।

পরে ইসরাইলের নারকীয় বোমা হামলায় গাজার স্বজন হারানো অসহায়, অভুক্ত শতাধিক নারী ও শিশুর পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাবার ও সামর্থ অনুযায়ী অর্থ নিয়ে পাশে দাঁড়ান এই ফারুক আহমেদ।

এসময় তিনি মিসরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি তিন ছাত্রের। সার্বিক সহযোগিতায় মিসরের একটি অভিজাত হোটেলে বাড়িঘর ও পরিবার পরিজন হারা ওইসব শিশু ও নারীদেরকে তিনি নিয়ে আসেন।

সেখানে তাদের সকলের জন্য উন্নত রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেন। খাবার শেষে ফারুক আহমেদ অসহায় ওইসব নারী ও শিশুদের হাতে তার সামর্থ অনুয়ায়ী নগদ অর্থও তুলে দেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দেশে ফিরে কুমিল্লা ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে অধ্যাপক ফারুক আহমেদ তার এ মানবিক সেবাদানের বিষয়টি তুলে ধরে তাদেরকেও গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

এসময় কুমিল্লা ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি আহমেদ শোয়েব সোহেল ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপুসহ কুমিল্লা ক্লাবের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি হলফ করে বলতে পারি, বিবেকবান কোন সুস্থ মানুষ বর্বর ইসরাইলের প্রায় প্রতিদিনের নারকীয় হামলায় পরিবার পরিজন হারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়া গাজাবাসীদের দুর্দশা স্বচক্ষে দেখলে কোনো মানুষ সুস্থ থাকতে পারবেন না। তাই আমি বিত্তবান ও হৃদয়বান বাংলাদেশিদেরকে সামর্থ অনুযায়ী ফিলিস্তিনের পাশে এখনই দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।’

এসময় কুমিল্লা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শোয়েব সোহেল তার সহকর্মী, ক্লাবটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদের এমন মানবিক কর্মযজ্ঞের ভূয়সী প্রশংসা করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি বৃহৎ মানবিক কাজ। বিশেষ করে মিসরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আমাদের বাংলাদেশি তিন ছাত্রের সহযোগিতায় ফারুক ভাই তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে সেখানকার বাবা মা হারা শতাধিক শিশু ও স্বামী হারা নারীদের জন্য যেই প্রশংসনীয় কাজটুকু করে এসেছেন সেটি সত্যিই অনুকরণীয়।’

তিনি আরো বলেন, একদিনের জন্য হলেও অভুক্ত অসহায় শিশু ও নারীদের উন্নত খাবারের ব্যবস্থাসহ কিছু নগদ অর্থও তাদের হাতে তুলে দিয়ে একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে গোটা দুনিয়ায় তিনি এসময়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসেছেন।

সেজন্য ফারুক ভাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

চা বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
চা বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা বাগান থেকে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছেন বন বিভাগের লোকজন। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নালুয়া চা বাগানের চা শ্রমিকের বাড়ি থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়।

সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালুয়া চা বাগানের একজন শ্রমিক শনিবার সকালে একটি লজ্জাবতী বানর দেখতে পান। বানরটি পথ হারিয়ে বন থেকে নালুয়া চা বাগানে ঢুকে পড়ে।

পরে ওই শ্রমিক কৌশলে বানরটি ধরে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাতছড়ি রেঞ্জ অফিসে এ খবর পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সাতছড়ি বন কর্মকর্তারা নালুয়া চা-বাগানে ওই শ্রমিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করেন।

উদ্ধার করা বানরটির বয়স ৬ থেকে ৭ বছর হবে।

একে একটি পূর্ণবয়স্ক বানর হিসেবে ধরা যায়। বন্যপ্রাণী গবেষকদের সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন লজ্জাবতী বানরকে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। লজ্জাবতী বানর লাজুক বানর নামেও পরিচিত। এটি দেশের ক্ষুদ্রতম বানর-জাতীয় প্রাণী।
ইংরেজিতে এটিকে বেঙ্গল স্লো লরিস বা নর্থান স্লো লরিস বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। নিশাচর এই প্রাণী বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনের বাসিন্দা।

মন্তব্য

ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় রুপিসহ যুবক আটক

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় রুপিসহ যুবক আটক
প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল‌‌‌ উপজেলায় ১ লাখ ভারতীয় রুপিসহ হোসেন আলী (৪০) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‍্যাব-১৩।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার নেকমরদ গন্ডগ্রাম এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক যুবক পার্শ্ববর্তী হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের মারাধার (মাঝপাড়া) গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে।

র‌্যাব-১৩ সূত্র জানায়, সারা দেশে হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২, নীলফামারী একটি আভিযানিক দল শনিবার দুপুরে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের গন্ডগ্রাম এলাকা থেকে অবৈধ ভারতীয় জাল নোটসহ জাল টাকার ব্যবসায়ী হোসেন আলীকে আটক করা হয়।

এসময় তার কাছে ১ লাখ ভারতীয় জাল রুপি, নগদ ৮ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১৩ আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হোসেন আলী জানায়, সে দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় জাল রুপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং অবৈধভাবে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ভারতীয় জাল রুপি ক্রয় করে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারনের মাঝে বিক্রয় করে আসছিল।

এ ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় মামলা দায়ের করে জব্দকৃত ভারতীয় জাল রুপিসহ আসামিকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীশংকৈল থানার ওসি মুহা. আরশেদুল হক বলেন, এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ