কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফুটবল খেলার সময় পদ্মা নদীতে ডুবে ইউসুফ আলী (১৯) ও সামিরুল ইসলাম (১৮) নামে দু’জন কলেজছাত্র মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলতে গিয়ে তারা নিখোঁজ হন। তারা স্থানীয় ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ইউসুফ ফিলিপনগর কবিরাজপাড়া গ্রামের বাবুল কবিরাজ ও সামিরুল কুমির উদ্দিনের ছেলে।
ফুটবল তুলতে গিয়ে পদ্মায় দুই কলেজছাত্রের সলিল সমাধি
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ইউসুফ আলী ও সামিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বন্ধু পদ্মার চরে ফুটবল খেলছিল। এ সময় ফুটবল পদ্মায় পড়লে ইউসুফ ও সামিরুল তুলতে নদী নামে। পরে তারা পদ্মার স্রোতে ভেসে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক কবিরাজ জানান, পদ্মা নদীতে ডুবে ইউসুফ ও সামিরুল নামে দুজন কলেজছাত্র নিখোঁজ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।

কূপ সংস্কারে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কূপ সংস্কার গিয়ে দুই শ্রমিক মারা গেছেন। রবিবার (১৩ এপ্রিল) নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন রাংটিয়া এলাকার নীপুরায় কোচের ছেলে নারায়ণ কোচ (৩৮) এবং শালচুড়া এলাকার মৃত নীল মহন কোচের ছেলে নিরাঞ্জন কোচ (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, দমকল বিভাগের কর্মীরা কূপের নীচ থেকে নিহত শ্রমিকদের মরদেহ উদ্ধার করেন।

আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে : সালাহউদ্দিন আহমেদ
ঝিনাইগাতী দমকল বিভাগের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান জানান, গভীর কূপের ভেতর অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে প্রথম জনের সমস্যা হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে যান আরেকজন। সেখানে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

মাদরাসাছাত্র আল-ইয়াসিন হত্যা মামলায় শিক্ষক রায়হান গ্রেপ্তার
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসাছাত্র আল-ইয়াসিন (১৪) হত্যা মামলার আসামি শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদারকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে বানারীপাড়া থানা থেকে তাকে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর শাহ-আলী এলাকা থেকে থেকে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৭ মাস পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন কুমার রায় জানান।
ইয়াসিন সৈয়দকাঠির আউয়ার দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একই উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বড় চাউলাকাঠি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। হেফজ বিভাগের ২৪ পারা পর্যন্ত কোরআন আয়ত্ত করেছিল ইয়াসিন। ৩০ পারা শেষ করে মাথায় পাগড়ি নিয়ে হাফেজ হয়ে ফিরে আসবে ছেলে, এ আশায় বুক বেঁধেছিলেন তার মা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে মাদরাসা থেকে ইয়াসিন নিখোঁজ হয়। তার মাকে ফোন করে অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া জানান, ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির ইয়াসিন কাউকে না জানিয়ে কোথাও যায় না।
মামলার বাদী ইয়াসিনের বড় ভাই রুম্মানের অভিযোগ, অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া মাদরাসার আশপাশে খুঁজতে না দিয়ে তাদের ভিন্ন পথে নিয়ে খোঁজার চেষ্টা করেন।
মৃত্যুর ৯ দিন পর তার বড় ভাই আল-রুম্মান (২১) বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া (৫৫), তার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৪), শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদার (২৬), আহমাদুল্লাহ আহম্মদ (২৫) ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলমগীর হাওলাদার (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ইয়াসিনকে হত্যা ও মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।

গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝুলন্ত অবস্থায় ঝর্না (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. শারফিনকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জ মর্গে রয়েছে।
ওসি জানান, নিহতের পরিবারের দাবি ওই নারীকে তার স্বামী হত্যা করেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তার স্বামী শারফিনকে আটক করেছি। তদন্তসাপেক্ষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং দোষী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, আত্মহত্যার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিভাবে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সালিসে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সালিসের সময় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন নাওগাঁও গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আ. গফুর (৪০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)।

বিদ্যুতের মিটার চুরির হিড়িক, টাকা দাবি করে চোরের চিরকুট
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরি ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে গ্রামে সালিশ বসার কথা ছিল। দুপুরে গফুরের বাড়িসংলগ্ন নাওগাঁও হোসেনীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষ সালিস বসে। সালিসে গফুর ও মেহিদী উপস্থিত না হয়ে নিজ ঘরে রাম দা নিয়ে বসে থাকে।
এ সময় সালিসে উপস্থিত লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গফুর ও মেহেদীকে হত্যা করে। বাবা-ছেলেকে হত্যা করার পর শত শত মানুষ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন অর রশিদ নামের একজনের বাসা, দোকানঘর ও একটি মাজার ভাঙচুর করে।

সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে কাজ করছে : তথ্য উপদেষ্টা
গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, ‘স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শত শত মানুষ সালিসের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। যত অপরাধই করে থাকুন দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিস বসেছিল, সালিস থেকে গিয়ে তাদের কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সেন্ট মার্টিনের পর্যটননির্ভর জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ : রিজওয়ানা