বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সম্মেলন ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে সহিংস ঘটনায় এমপি পুত্রসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) সকালের দিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতা বাদী হয়ে ধুনট থানায় পৃথকভাবে এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এক পক্ষের বাদি হয়েছেন উপজেলার ধুনট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পাকুড়িহাটা গ্রামের গাজিউর রহমান। ওই মামলায় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আসিফ ইকবাল সনি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মহসীন আলমসহ ৪১ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
অপর পক্ষের মামলায় বাদি হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ধুনট সদরপাড়ার মাইদুল ইসলাম রনি। ওই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনসহ ২৯ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকনের পক্ষের দলীয় নেতাকর্মীরা ৯ মার্চ সকালের দিকে ধুনট ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে ধুনট ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন উপলক্ষে সম্মেলনের আয়োজন করে।
কিন্তু সম্মেলন অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের অপর পক্ষের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম সোবহান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলমের পক্ষের দলীয় নেতাকর্মীরা সম্মেলন অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় সম্মেলনবিরোধী ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সেখানে চেয়ার, টেবিলসহ ডেকোরেটরের আসবাব ভাংচুর করেন।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষই ১০ মার্চ ধুনট থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। পুলিশ পৃথক দুটি অভিযোগ তদন্ত করে সোমবার নিয়মিত মামলা হিসেবে থানায় রেকর্ডভুক্ত করেছে।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক বলেন, থানায় মামলা দায়ের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে দায়ের করা মামলাটির আরজির কোনো সত্যতা নেই।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আসিফ ইকবাল সনি বলেন, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্ত ওই ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। তারপরও রাজনৈতিক প্রতিহিসংসা পরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা আরজি দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, পৃথক দুই মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।