<article> <p>বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে এবার ঝিকরগাছার গদখালী ফুলবাজারে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। কিছুদিন অবরোধ ও হরতালের কারণে ফুলের বাজার মন্দা থাকলেও এখন বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।</p> <p>বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে ঝিকরগাছার গদখালী বাজার বেশ প্রসিদ্ধ। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ফুল ক্রেতারা ফুল কিনে নিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন। এই বাজারে ফুলচাষিরা সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে ফুল বিক্রি করেন। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ফুল কেনাবেচা শেষ হয়ে যায়।</p> </article> <article> <p>গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ফুল চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অরেঞ্জ গ্লাডিউলাস ১৫ থেকে ১৮ টাকা, প্রিন্ট গ্লাডিউলাস ২৪ থেকে ৩০ টাকা প্রতি পিস ফুল বিক্রি হয়েছে।</p> <p>এ ছাড়া চায়না গোলাপ প্রতি পিস ১০ থেকে ১১ টাকা, সাধারণ গোলাপ সাত থেকে আট টাকা, রজনীগন্ধা সাত থেকে আট টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিস পাঁচ টাকা, রখস্টিক প্রতি তোড়া ২০ টাকা, জিপসি এক তোড়া ৫০ টাকা, কামিনীপাতা এক তোড়া ৫০ টাকা, গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ২০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।</p> </article> <article>পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি মীর ফয়েজ আহমেদ জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ফুলের দাম আগের চেয়ে বেশ ভালোই বেড়েছে। ফুলের পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজকের ফুলের বাজার বেশ চড়া। কৃষকরা এই দাম পেয়ে খুব খুশি, আমরাও মোটামুটি ব্যবসা করতে পারব।’ তিনি এখান থেকে ফুল কিনে সাতক্ষীরা, বোয়ালমারী, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।</article> <article> <p>দুই সপ্তাহ আগেও ফুলের তেমন একটা দাম ছিল না। এর একমাত্র কারণ ছিল হরতাল ও অবরোধ। এখন হরতাল ও অবরোধের শীথিলতার কারণে ফুলের দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন বলে জানান ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা। ফুলচাষিরা আরো জানান, এবারের বিজয় দিবস, বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে দেশে ফুলের বাজার দেশ চড়া থাকবে।</p> </article> <article> <p>ফুলচাষিরা যে দরে ফুল বিক্রি করে থাকেন, ভোক্তা পর্যায়ে সেই ফুলের দাম প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ একটি গোলাপ যদি চার টাকা দরে কৃষকরা বিক্রি করে থাকেন, সেই ফুল ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হয়ে থাকে ২০ টাকা দরে।</p> <p>যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম কালের কণ্ঠকে জানান, বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এ বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে ধারণা করছেন।</p> <p> </p> </article>