<p>বাবাকে উদ্দেশ্য করে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অনুপম রায় নামের এক শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে দিনাজপুর শহরের মীজাপুর বাসটার্মিনাল সংলগ্ন এলাকার বন্ধন ছাত্রাবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। </p> <p>অনুপম রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই অনুষদের ১৮ তম ব্যাচের নিয়মিত ছাত্র ছিলেন। তিনি নীলফামারী জেলার অধ্যাপক রতন রায় ছেলে। </p> <p>মেসের শিক্ষার্থীরা জানান, সারাদিন ধরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় আমাদের। এরপর রাতে জানালা খুলে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশে খবর দিলে রাতে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অনুপমের লাশ নামায়।</p> <p>অনুপমের লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে তিনি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘বাবা, আমায় ক্ষমা করে দিও। এমন একটা সম্পর্কে জড়িয়েছি। তার কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার। কারো প্রতি কোনো অভিযোগও নেই। তার দোষও দিচ্ছি না। আমার কাছে মানুষের পাওনা থাকতে পারে। মন্দির-মসজিদে পরিশোধ করে দিও বাবা। তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি বাবা। আই লাভ ইউ বাবা। আমার লাশের কাটাছেঁড়া না হোক। নগরে মার পাশে শায়িত হতে চাই। মা ছাড়া জীবনটায় মানসিক সমস্যা ছিল আগে থেকে। ইদানীং বেড়েছে, ঘুমাতে পারি না। দিদা, আমাকে বড় করে তুললা, বড় হয়েই ভুল করলাম। তোমার মেয়ের কাছেই যাচ্ছি...।’</p> <p>চিরকুটে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে আরো লেখেন, ‘আমার সৎ মা, ভাই তোমরা ভালো থেকো। বাবাকে দেখে রেখো। আমার কোনো ভুল হলে ক্ষমা করে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য বন্ধন ছাত্রাবাসের কেউ দায়ী না।’</p> <p>এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুরিশ গিয়ে লাশ নামায়। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের আপত্তি না থাকায় এবং চিরকুটের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সন্দেহ না থাকায় লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’</p>