২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও মসজিদের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবে তড়িঘড়ি করে ইমাম, খাদেম ও মোয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা নিয়মিত সরকারি বেতন তুলছেন।
৫ বছরেও চালু হয়নি ঝিনাইদহের ৬ মডেল মসজিদ
অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ

শুধু সদর উপজেলা মডেল মসজিদ নয়, জেলায় নির্মাণাধীন আরো ৫টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। ঠিকাদারেরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মসজিদের নির্মাণ শেষ না করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে মডেল মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সকল ঠিকাদারই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিন আরাপপুর এলাকায় নির্মাণাধীন সদর উপজেলা মডেল মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে মসজিদের।
জেলা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ৭টি মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে জেলা সদরে দুইটি মসজিদ রয়েছে।
প্রতিটি মসজিদে ইসলামিক ট্রেনিং ও অটিজম সেন্টার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের জায়গা, কনফারেন্স ও গেস্ট রুমসহ ফুলের বাগান রয়েছে। চুক্তিপত্র মোতাবেক এ সকল মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৮৭ কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত কর্মরত ঠিকাদারদের পরিশোধ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর মসজিদগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে কোটচাঁদপুর উপজেলা মডেল মসজিদ বাদে বাকি ৬টি মসজিদের নির্মাণ কাজ এখন পর্যন্ত তা শেষ হয়নি।
সদর উপজেলা মডেল মসজিদের ঠিকাদার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক জানান, ‘কাজ শেষ পর্যায়ে। মার্বেল পাথর বসানো ও ইলেকট্রিকের কাজ শেষ হলে হস্তান্তর করা হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের এক কর্মকর্তা জানান, ‘নির্ধারিত সময়ে জেলার ৬টি মডেল মসজিদের কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা সরকারের ওপর মহলকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। তবে অধিকাংশ ঠিকাদার সে সময়ের ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।’
জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ শহর শাখার আমির মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের লোকজন সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে। তারা মসজিদ-মন্দির কোনো জায়গাতেই দুর্নীতি বাকি রাখেনি। আমাদের জেলার মসজিদগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড ওলিভার গুডা কালের কণ্ঠকে জানান, ‘মডেল মসজিদগুলোর সময়সীমা শেষ হলেও মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে সেসময় আতিবাহিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘন ঘন নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে ঠিকাদাররা কাজ শেষ করতে পারেনি। এজন্য কয়েকবার তাদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে সদ্য সরকার গঠিত হয়েছে। তাই নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। তাই নির্দেশনা পেলে খুব দ্রুতই এ সকল মসজিদের কাজ শেষ করে মুসল্লিদের নামাজের উপযোগী করা হবে।’
সম্পর্কিত খবর

ঠাকুরগাঁও
কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ধ্বংস কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে গত শনিবার দিবাগত রাতে (১৩ এপ্রিল) ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে এবং কৃষকদের মূল্যবান ফসল, বিশেষ করে পেঁয়াজের বীজ, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়।
এলাকাবাসী জানায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে আকস্মিকভাবে প্রবল বেগে বাতাস বইতে শুরু করে।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজের বীজ বপনের মৌসুম চলছে।
সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহমত আলী হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছিলাম।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়ন গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের শুধু পেঁয়াজবীজই নয়, সঙ্গে থাকা কিছু টমেটো ও মরিচগাছও ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এক রাতের ঝড় আমার অনেক দিনের কষ্টের ফসল কেড়ে নিল।’
এদিকে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।

নিজেদের সম্পত্তি বুঝে পেতে চায় শতাধিক জমির মালিক
খালিদ সাইফুল
মাথা গোঁজার স্বপ্নে সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি বাড়ি করতে চান অনেকেই। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কুষ্টিয়ার হাউজিং স্টেটের চতুর্থ পর্বে প্লটপ্রাপ্তরা ১০ বছরেও বুঝে পাননি বরাদ্দকৃত জমি।
বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে...
।

প্যারালাইজড স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর সংগ্রামী জীবন
এম সাইফুল ইসলাম
ঝুপড়ি ঘরে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বাস করছেন হতদরিদ্র ঝর্ণা বেগম। কখনও খেয়ে আবার কখনও না খেয়ে কোনো রকমে চলছে তাদের সংসার। শশুরবাড়িতে কোনো সম্পত্তি না থাকায় মাথা গোঁজার ঠায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডুমুরিয়া উপজেলার পৈত্রিক ভিটার ছোট একটি ঘর।
বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে...
।

নেত্রকোনা
ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১৮
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

নেত্রকোনার মদনে ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইমাম হোসেন (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আহত তৌহিদ মিয়া ও ক্বারী ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক থানায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আখাশ্রী গ্রামের কৃষক সোনাতন মিয়ার একটি বোরোক্ষেতের ধান খাচ্ছিল একই গ্রামের আকবর মিয়ার ছাগল।
মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘আখাশ্রী গ্রামে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ এখনো ময়মনসিংহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।