<p>বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল রশিদ মিয়াকে মারধর করেছেন জেলা বিএনপি সভাপতির ছেলে। (৮ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে ইফতেখার আলম শাওন মোল্লা বিরুদ্ধে এই মারধরের অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। একজন বৃদ্ধ মানুষকে মারধরের বিষয়টি কেমন জানি হলো।’ </p> <p>বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, ‘একজন বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে এমনটা না হলে ভালো হতো। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার জন্য আইন আছে। বিষয়টি দু:খজনক।’</p> <p>জেলা বিএনপির নেতারা জানান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এবং তার সুপারিশে কয়েকজন বিএনপির নেতার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। </p> <p>রশিদ জেলা ডায়াবেটিকস সমিতি সাধারণ সম্পাদক, বরগুনা ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক, সমবায় ব্যাংকের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন।</p> <p>সাবেক জেলা কমান্ডার আবদুর রশিদ বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ আরো অনেক উপস্থিত ছিল। আমাকে শাওন ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে গালাগালি করেন তারা। সেখানে অনেক লোক  ছিল। আমি এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপে যাব।’</p> <p>মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবল আলম ফারুক মোল্লার ছেলে ইফতেখার আলম শাওন মোল্লা বলেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। পরে তার সঙ্গে আমার বাগবিতান্ডা হয়। এক পর্যায় তাকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিনলাখ টাকা নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।</p>