<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে আমরা দেশের সমতল এবং পাহাড়ে বৈষম্য দেখতে চাই না। ঢাকায় বসে একজন নাগরিক যে ধরনের সুবিধা পাবেন, বান্দরবানে বসবাসকারী একজন সাধারণ মানুষও যাতে সে সুবিধা পেতে পারেন- সে জন্যই আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশের পাহাড় ও সমতলে বিশ্বমানের শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চাই।’<br />  <br /> পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (কেএসআই) মিলনায়তনে আয়োজিত ছাত্র-জনতার এক সমাবেশে বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।<br />  <br /> সমাবেশকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা এখনো ওত পেতে আছে। সুযোগ পেলেই তারা বহু জীবনের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানতে পারে।’</p> <p>এমন অবস্থায় জুলাই-আগস্টে যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, জনগণের অধিকার রক্ষায় সবাইকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকার আহ্বান তিনি।<br />  <br /> স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আহতদের দেখতে এবং ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় করতে বুধবার তিনি বান্দরবান সফরে আসেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও চট্টগ্রামের সমন্বয়কসহ স্থানীয় সমন্বয়করা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।</p> <p>হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের সরাতে শত শত ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। তারা তো কোনো পদ-পদবি চাননি। আন্দোলন শেষে আমরা যখন রাষ্ট্র ও সরকার মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি, তখন অনেকেই পদ-পদবির জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।’ দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এমন মানসিকতা বদলানোর আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।</p>