<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নে তালিকা নিয়ে জটিলতার কারণে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দুই ডিলার ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।</p> <p>আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন পিষ্টন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রশাসনের সহযোগিতায় নতুন করে তালিকা তৈরির মাধ্যমে দ্রুত ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভোগ্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।’</p> <p>টিসিবির ডিলার সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় টিসিবির ফ্যামেলি কার্ডের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪২০টি। সুবিধাভোগীদের কাছে টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রির জন্য ৩৬জন ডিলার নিয়োজিত রয়েছে। এসব ডিলার পূর্বের তালিকা অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমাসে ইউনিয়ন ভিক্তিক কার্ডধারীদের মাঝে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করেছেন। কিন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শুরুতে পূর্বের তালিকা যাচাই-বাছাই সহ সংশোধনের জন্য জনপ্রতিনিধিদের তাগিদ দেওয়া হয়।  </p> <p>সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে তালিকা সংশোধন করে টিসিবির সুবিধাভোগীদের মাঝে সেপ্টেম্বর মাসের ভোগ্যপণ্য বিক্রি করেছেন ডিলাররা। কিন্ত এলাঙ্গী ইউনিয়নে তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ করতে না পারায় ২ জন ডিলার ১ হাজার ১৬৭ জন সুবিধাভোগীর কাছে সেপ্টেম্বর মাসের ভোগ্যপণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। এরমধ্যে ওই ইউনিয়নে নিয়োজিত মেসার্স মেঘা ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল আল মামুনের ৫৮৪টি এবং মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহ জামাল স্বপনের ৫৮৩টি টিসিবি কার্ড রয়েছে।</p> <p>টিসিবির ডিলার মেসার্স মেঘা ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসের ভোগ্যপণ্য উত্তোলন করে তা কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করতে পারছি না। নতুন তালিকা হাতে না পাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’</p> <p>ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, ‘তালিকা সংশোধনের কাজ বিলম্ব হওয়ায় ডিলাররা সুবিধাভোগীদের কাছে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। তবে এ সমস্যাটি সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’</p>