<p style="text-align:justify">সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের দ্বিতীয় গোল রক্ষক মিলি আক্তারকে সংবর্ধনা দিয়েছে তার নিজ এলাকা নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারুই গ্রাম এলাকার কলা বিক্রেতা মো. সামছুল হক ও গৃহিণী মোছা.আনোয়ারার মেয়ে মিলি আক্তার। হত দরিদ্র এই পরিবারে নিজেদের কোনো জমিজমা নেই। সরকারের দেয়া আশ্রয়ণ ঘরে বসবাস করে তারা। মিলি আক্তার গত ৩০ অক্টোবর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল দলের গোল রক্ষক ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরে সরকারের দেয়া বেশ কয়েকটি সংবর্ধনা ছাড়াও ঢাকায় ব্যস্ততম দিন কাটানোর পর গত চারদিন আগে তিনি নিজ এলাকা নান্দাইলে আসেন। খোলা গাড়িতে করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নান্দাইলের লোকজন তাকে স্বাগত জানায়। পরে মঙ্গলবার নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে মিলিকে সংবর্ধিত করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলা প্রশাসন সভাকক্ষে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.দিবাকর ভাট, কৃষি কর্মকর্তা নাইমা সুলতানা, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আবুল সাদাত মো. সায়েম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভুইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। </p> <p style="text-align:justify">এছাড়াও মিলির স্থানীয় কোচ মো. দেলোয়ার হোসেন উজ্জলসহ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রীতি ও হালিমা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মিলির হাতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মিলির বাবা সামছুল হক ও মা আনোয়রা বেগম।</p> <p style="text-align:justify">সংবর্ধিত হয়ে মিলি আক্তার বলেন, আমাদের সাফল্যের পেছনে পুরো জাতির দোয়া ও এবং পরিবারের সমর্থন ছিল। নান্দাইলের মানুষ সব সময় আমার সঙ্গে ছিলেন। তাদের ভালোবাসা নিয়ে আরো বহু দূর এগিয়ে যেতে চাই।</p> <p style="text-align:justify">নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কৃষ্ণ পাল বলেন, আমরা চাই নান্দাইল থেকে আরো মিলি বের হয়ে আসুক। এজন্য খেলার মান উন্নয়নে এখন থেকে পদক্ষেপ নিবো। প্রতিটি ইউনিয়নে বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার করে মাঠ করা হবে। এজন্য যা করার দরকার, সবই করবো।</p>