<p>রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট গত বছরের চেয়ে এবার বেশিসংখ্যক পোড়া রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে সব চেয়ে বেশি বেড়েছে তরল বার্ন। আগে শুধু শীতকালে পোড়া রোগী বাড়লেও এখন তরল বার্ন বেড়ে যাওয়ার করণে মূলত সারা বছরই রোগী থাকছে। তরল বার্নে সবচেয়ে বেশি আত্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামনে আসছে শীত। এই শীতে বাড়বে রোগী। সচেতনতার আভাবেই বাড়ছে তরল বার্ন। সচেতন হলেই এসব বার্ন কমে আসবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিএনপি নেতা ইশরাকের সঙ্গে ‘সহমত’ নাহিদ-সারজিস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732789730-ab6b1e9846dca7275ac13f76e4e8221f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিএনপি নেতা ইশরাকের সঙ্গে ‘সহমত’ নাহিদ-সারজিস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/28/1451611" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তথ্য মতে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তরবঙ্গের শুধু রংপুর ও বগুড়া বাদে সব জেলার চিকিৎসা হয়। উত্তরে পোড়া রোগীর জন্য এক মাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে রামেক হাসপাতল। ৫০ শয্যার ইউনিটটিতে এসব সবই আধুনিক চিকিৎসা হলেও নেই আইসিইউ সাপোর্ট। গত বছর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক হাজার ১৮০ জন। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া রোগী ভর্তি হয়েছে ৫৬৩ জন। তরল বার্ন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৪৭ জন। এ ছাড়া কেমিক্যাল ও অনান্য বার্নের ভর্তি হয়েছে ১৭০ জন। তরল বার্ন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৯৯ জন, নারী ১১৩ জন ও শিশু ২৩৫ জন।</p> <p>চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ২২২ জন। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া রোগী ভর্তি হয়েছে ৫৩৩ জন। তরল বার্ন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫১৯ জন। এ ছাড়া কেমিক্যাল ও অন্যান্য বার্নের ভর্তি হয়েছে ১৭০ জন। তরল বার্ন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫১৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৬ জন, নারী ৯৬ জন ও শিশু ৩১৭ জন। শুধু তরল বার্ন রোগী ১০ মাসে বেড়েছে ৭২ জন। এদের মধ্যে শিশু বেড়েছে ৮২ জন ও পুরুষ বেড়েছে ৭ জন। তবে নারীর সংখ্যা কমেছে ১৭ জন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি, শূন্য পদ ৩৬৮৮" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732788964-66ad25617fefa1c96ee01e8976c548c3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি, শূন্য পদ ৩৬৮৮</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/28/1451605" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা নাসির আলী এনেছেন তার ছেলেকে। ৫ বছর বয়সী ছেলে দুই হাত পুড়ে গেছে। তিনি জানান, গরম পানি রেখে কাজ করছিল তার মা। এরই মধ্যে ছেলে গিয়ে পানির মধ্যে হাত ডুবিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই এখানে আনা হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।</p> <p>একই অবস্থা নওগাঁ জেলা থেকে আসা রোগী সিফাতের। সিফাতের বয়স মাত্র ৩ বছর। সে আক্রান্ত হয়েছে গরম পানিতে। তারা বাবা মঞ্জুর হোসেন বলেন, মা কাজ করছিল। ছেলেকে গোসলের জন্য পানি নামিয়ে রেখেছে। ছেলে গিয়ে পানিতে পড়ে গেছে। এখন তার বুকে ও হাতে পোড়া আছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন সুস্থতার দিকে।</p> <p>রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটরে প্রধান ডা. অফরোজা নাজনিন বলেন, আগে শুধু শীতকালে রোগী হতো। এখন সরা বছরই রোগী হচ্ছে। বিশেষ করে ইলেট্রিক ও তরল বার্নের কারণে সারা বছরই এটিতে রোগী থাকছে। তরল বার্ন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সচেতনতার ভাবেই এটি বাড়ছে। আগামী শীতে এই সংখ্যা আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। </p> <p>তিনি বলেন, তরল বার্ন মূলত গরম পানি, দুধ ও অন্যন্য জিনিস হয়। গরম জিনিস পড়েই মূলত এগুলো পোড়ে। এই বার্নগুলো সাধারণ বেশি হয়ে থাকে। অনেক সময় হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়। একটু সচেতন হলেই এসব জিনিস বন্ধ হয়ে যাবে।</p>