<p style="text-align:justify">তিন ভাই পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করেন বিভিন্ন থানায়। দুই ভাই একসঙ্গেই ছুটিতে অবস্থান করছেন বাড়িতে। আর এই খবরে ছোট ভাইও ডিউটি শেষ করে কর্মস্থল ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে রাতে রওনা হন গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। রাতের খাবার একসঙ্গে খাবেন-এমন কথাও হয় বড় ভাইয়ের সঙ্গে। কিন্তু পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ফাহিম জিদান (২০)। </p> <p style="text-align:justify">গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের কৃষ্টপুর পাচুয়া জব্বারের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">নিহত জিদানের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা খারুয়া ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমীনের ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছরখানেক আগে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মস্থল হয় ঢাকার ভাটারা থানায়। সেখান থেকে ভালুকা হয়ে কম সময়ে বাড়িতে আসার অনেক সহজ পথ রয়েছে। এ অবস্থায় সুযোগ বুঝে মা-বাবাকে দেখতে প্রায় সময়েই বাড়িতে চলে আসতেন জিদান। দুই ভাই ছুটিতে বাড়িতে আছেন এই খবরে বাড়িতে আসার সুযোগ খুঁজছিলেন জিদান। </p> <p style="text-align:justify">জিদানের বড় ভাই আনোয়ারুল আমীন সুমন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাই জিদানকে ফোন করে জানতে চান সে এখন কোথায়। ওই সময় জিদান জানান, বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন মিস করায় তিনি এখন সড়কপথে রওনা দিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে জিদান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">নিহতের ভাই সুমন বলেন, ‘ভাইকে বলছিলাম মা মাছ ভাজি করতাছেন, তুই আইলেই গরম গরম খাইয়াম। সাবধানে আইছ। কিন্তু আমার ভাই আইলো ঠিকই লাশ হয়ে।’</p> <p style="text-align:justify">মা মমতা বেগম আহাজারি করে বলছেন, ‘আমার জিদানরে আইন্যা দেও, হেরে আমি মাছের ভাজি দিয়া খাওয়াইবাম।’ এই বলে বারবার মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।</p>