<p>কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোহেল নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিজয়স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম শাহিন সিকদার সমর্থক এবং জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে সকাল ও দুপুরের দিকে উপজেলার কলেজ মোড়ে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অন্তত ৯ জন।</p> <p>আহতরা হলেন দেয়ানের খামার গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে মাইদুল ইসলাম, মমতাজ আলীর ছেলে উমর ফারুক, গোলাম কিবরিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী, পাইকেরছড়ার গ্রামের শাহা আলমের ছেলে আলম মিয়া, দক্ষিণ ছাট গোপালপুর মমিনুল সিকদারের ছেলে স্বদেশ সিকদার, কামাত আঙ্গারিয়ার সুলতান মিয়ার ছেলে সোহেল, আ. মজিদের ছেলে লিমন, আ. জব্বার ইয়াকুব, বাগভান্ডারের আহাম্মদ আলীর ছেলে আ. রহমান।</p> <p>শাহিন সিকদার বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৫-৬ জন নেতাকর্মী ফুল নিয়ে যান। কিন্তু রানার সমর্থকরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিজয়স্মম্ভে উপস্থিত হয়ে বাধা দেন। পরে তারা আরো সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ মোড়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় এবং আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় আমাদের ৫-৭ জন আহত হন।</p> <p>তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>রানা বলেন, 'আমি কিছু জানি না। আমি অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। শাহিন সিকদার বহিষ্কৃত। তিনি বিএনপির কোনো পদেই নেই।'</p> <p>উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মুস্তফা বলেন, 'আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।'</p> <p>ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম সায়েম বলেন, মারামারির ঘটনায় হাসপাতালে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন গুরতর আহত হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।</p>