<p>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পিরোজপুরের (বশেমুরবিপ্রবিপি) প্রক্টর ও শিক্ষার্থীদের ওপর দুই দফা হামলা করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফেস্টুন-ব্যানারসহ পুষ্পমাল্য অর্পণের আগে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p>ফেস্টুন-ব্যানার রেখে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহরের একটি হোটেলে নাশতা খেতে গেলে আবারও প্রক্টরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রক্টরসহ দুই ছাত্র আহত হন। আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুসা খান, ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ ও তাওহীদ খলিফা।</p> <p>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুশাহিদ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘প্রক্টরসহ আমাদের শিক্ষার্থীরা মহান বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পুরাতন খেয়াঘাটের শহীদ বেদিতে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেখে কিছু লোকজন গালাগাল করে। তারা আমাদের ওপর তেড়ে এসে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলতে চাইলে আমরা নিজেরাই তা খুলে ফেলি।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামে থাকা সব ব্যানার ও ফেস্টুন খুলে শহীদ বেদিতে ফুল দিই। পরে স্থানীয় একটি হোটেলে নাশতার জন্য গেলে সেখানে আমাদের ওপর অকর্কিত হামলা করে ওই সব লোকজন। এ ঘটনায় আমাদের প্রক্টরসহ দুজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।’ </p> <p>তিনি জানান, আহতরা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ হামলার ঘটনায় উপাচার্য (ভিসি) স্যার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যানার ও ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম থাকায় সন্ত্রাসীরা এ হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষার্থীদের ওপর রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই হামলা করেছে বলে দাবি করেন তারা।</p> <p>পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার ড. মো. শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনার জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য মাঠে কাজ করছে পুলিশ।</p>