<p>বিজয় দিবস আর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে। এবারের ছুটিতে দেশীয় পর্যটকে টুইটম্বুর করছে সমুদ্র নগরী কক্সবাজার। শুধু কক্সবাজার নয়, সমুদ্র শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের পর্যটন স্পট পাথুরে বিচ ইনানিতেও মানুষের ভিড় লেগেছে। একই সাথে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনেও ভরপুর পর্যটক গেছেন এই ছুটিতে। </p> <p>জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, সঙ্গে শীতের মৌসুম। এই মৌসুমে কক্সবাজারে পর্যটকে ভরপুর থাকে কক্সবাজার। পর্যটন স্পট গুলোতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। এখানকার হোটেল, মোটেল, কিটকট, শামুক-ঝিনুক, ডাব ব্যবসায়ী নানা জাতের ব্যবসায়ীরা এই সময়ে নিজেদের ব্যবসায় দারুণ খুশিতে আছেন। কক্সবাজার শহরের হোটেল গুলোতে পর্যটকদের পদচারণা তাদের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গ্লোবাল সাউথে নেতৃত্বস্থানীয় কণ্ঠ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের : নাহিদ ইসলাম" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734352870-61f34dae94a0e8e5a46ebd74152539f3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গ্লোবাল সাউথে নেতৃত্বস্থানীয় কণ্ঠ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের : নাহিদ ইসলাম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/16/1458136" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত শুক্রবার থেকে সোমবার বিজয় দিবসের ছুটিতে লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও দেশীয় এই পর্যটকরা ছুটছেন ইনানী সৈকত, হিমছড়ি ঝর্ণা, পাটুয়ারটেক, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে ছুটছেন। এই সুযোগে পর্যটন ব্যবসায়ীরা কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখেও ফুটেছে শান্তির হাসি। </p> <p>চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন শাহ আলম। তিনি বলেন, কক্সবাজারে আসলেই আমি চলে যাই উখিয়ার ইনানী ও পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, পাথুরে সি-বিচের সৌন্দর্য আমাকে বেশ টানে। তাছাড়াও মেরিন ড্রাইভের একপাশে সমুদ্র আর অন্যপাশে বিশাল আকৃতির পাহাড় আমাকে দারুণ মুগ্ধ করে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ দুদুর" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734352983-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ দুদুর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/16/1458137" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রাজশাহী থেকে আসা সানজিদা খানম জানান, ছুটি পেলেই আমরা সপরিবারে কক্সবাজারে চলে আসি। এবারও ছুটি পেয়ে সমুদ্র দেখতে কক্সবাজার চলে এসেছি। তার অনুভূতি হলো, বইয়ের পাতার বর্ণনার চেয়েও সুন্দর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। </p> <p>সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলাম বলেন, দেশে ফিরলে আমি বারবারই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসি। এখানকার বিশাল সমুদ্র আমাকে হৃদয়কে শান্ত করে দেয়। সমুদ্রের হিমেল হাওয়া, একটু একটু শীতের ভাব চমৎকার লাগে। </p> <p>অন্যদিকে ইনানী সৈকত এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখর এখন ইনানী। এখানকার হোটেল, কটেজ, রিসোর্টগুলো পর্যটকে মুখরিত। এতে এই এলাকার অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করে তুলেছে। </p> <p>রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত এনজিও কর্মী হুরি জান্নাত বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ছুটি কাটাতে সকালে ইনানী হয়ে কক্সবাজার শহরে এসেছি। কক্সবাজারের প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র সৈকত। সকাল-বিকেল সমুদ্রতীরে বেড়াতে আর সৈকতে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা। সাগরের লোনা পানিতে গোসল করলে মন ও শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিডিআর বিদ্রোহ বলে কিছু নেই : হাসনাত" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734351855-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিডিআর বিদ্রোহ বলে কিছু নেই : হাসনাত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/16/1458133" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>কক্সবাজার ও ইনানীর ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, যেভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসা শুরু করেছে তাতে এখানকার পর্যটন মৌসুমটা এবার বেশ ভালো যাবে। সব হোটেল এখন পর্যটকে ভরপুর। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। </p> <p>কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ এবং বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকদের ভিড় ভাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হোটেল-মোটেলের ভাড়াও বেড়েছে কয়েক গুণ। তবুও পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের প্রায় সব রুমই বুকিং হয়ে আছে। </p> <p>তবে পর্যটকদের অভিযোগও কম নেই। রাজধানী থেকে আসা সাইফুল ইসলাম ও তমালিকা দম্পতির অভিযোগ, দুই হাজার টাকার রুম ভাড়া তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে রাখা হয়েছে। </p> <p>বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন ময়মনসিংহের রাহাদ, আরমান, শহিদ আর মামুন। তারা মনে করেন, এক সাথে বন্ধুরা ঘুরতে এসেছি। রুম ভাড়া একটু বেশি মনে হলেও সমুদ্রে গোসলে এসে তা ভুলে গেছি। তবে এখানকার সার্বিক অবস্থা অত্যন্ত সুন্দর বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা।</p> <p>এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা ৫ দিন কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টের সমুদ্র সৈকতের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে আছে। </p> <p>এছাড়াও মেরিন ড্রাইভের পাশে হিমছড়ি, রেজুখালের পাশে মিনি বান্দরবান খ্যাত গোয়ালিয়া, পাটুয়ারটেক, ইনানী, সেন্টমার্টিন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালীর আদিনাথ পাহাড়সহ জেলার সব পর্যটক স্পটে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। </p> <p>কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারেন তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের নারী-পুরুষ সদস্যদের মোতায়েন করেছে।</p>