<p>বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতাকে অভিনন্দন জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। আর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা ও বিজয় দুটি এককথা না। মানুষের জন্ম-মৃত্যুর মতো স্বাধীনতা একবারই হয়। কিন্তু বিজয় বারবারই আসে। তেমনিভাবে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান দেশে একটা ঐতিহাসিক বিজয় এনেছে। এই দেশ, মানুষের দেশ, সেই দেশকে মানুষের চাহিদামতো পরিচালিত করা হয়নি।’</p> <p>সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।</p> <p>এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল নির্বাচনের রায়কে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে। সেটা বারবার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে। ২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতা- এই দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ। খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচনে না গেলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনার প্রতি যেমন বিক্ষুব্ধ হয়েছিল, তার চাইতেও হয়ত বেশি বিক্ষুব্ধ হবে। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করলে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি রোষানলে পড়বে অন্তর্বর্তী সরকার।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় সব সময় ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করি এবং করি। যখন যে ক্ষমতায় থাকে সে ইতিহাসের মহানায়ক সাজতে চায়। কিন্তু সেটা সত্য নয়। অতীতকে ভুলে গেলে বর্তমান যেমন নিপতিত হবে, ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের মূল্য দিতে হবে, শহীদদের মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার নেতৃবৃন্দের মূল্য দিতে হবে। তাদের অস্বীকার করে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।’</p> <p>এ সময় কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।</p>