ফরিদপুরে হুসাইন ব্যাপারী (১৪) নামে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি মহিলা মাদরাসার বাউন্ডারি ওয়ালের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে রিকশা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন হুসাইন।
নিহত হুসাইন শহরের চর টেপাখোলা ব্যাপারীপাড়া এলাকার মৃত খোকা ব্যাপারীর ছেলে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি মহিলা মাদরাসার বাউন্ডারি ওয়ালের পাশে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা একটি পুলিশের দলসহ সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হুসাইনের চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান (৩৫) বলেন, ‘তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল হুসাইন। বোনদের বিয়ে হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা যাওয়ার পর উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে হুসাইনকে একটি নতুন রিকশা কিনে দেন আত্মীয়-স্বজনেরা।
সেই রিকশা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে বাড়িতে না ফেরায় এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর আজ শুক্রবার সকালে লোক মারফত তার মরদেহ পাওয়া গেছে বলে আমরা জানতে পারি।’
জানা যায়, গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন উৎসুক জনতা। মাত্র একটি রিকশার জন্য এতিম কিশোরকে এভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মরদেহ উদ্ধারকারী কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক সনাতন বিশ্বাস জানান, স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে। আশা করছি ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা দ্রুতই ধরা পড়বে।