ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামীপন্থী ৮ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছে খুলনার আদালত। ৪ আগস্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে এ সময় মামলার অপর ১৫ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়।
আরো পড়ুন
শীতে খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি দেবে আদার ড্রপ
কারাগারে পাঠানো আইনজীবীরা হলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট আল আমিন উকিল, অ্যাডভোকেট সোহেল পারভেজ, অ্যাডভোকেট সুমন্ত কুমার বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট তমাল কান্তি ঘোষ, অ্যাডভোকেট শেখ শামীম আহমেদ পলাশ, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান টুটুল ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রাক্কলে ৪ আগস্ট খুলনা বারের মেইন গেট থেকে বাদী মো. এমাম হোসেনসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী মিছিল নিয়ে বের হন। তারা জেলা স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছালে সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ আইনজীবী নামধারী ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন দমনে তাদের মুখোমুখি হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের উপর ককটেল নিক্ষেপ ও হকিস্টিক দিয়ে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান পপলু তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে। তাদের ভয়ে অন্যান্য আইনজীবীরা পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
আরো পড়ুন
পাকিস্তানিদের জন্য বাংলাদেশের ভিসার শর্ত শিথিল
এ ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. এমাম হোসেন বাদী হয়ে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলামসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে খুলনা সদর মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ২৩ জন গত ৩ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশেই তারা রবিবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
এদের মধ্যে ১৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। এছাড়া মামলার আসামি খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিক মাহমুদ তারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু ও অ্যাডভোকেট জেসমিন পারভীন জলি এ মামলায় পলাতক রয়েছেন।