ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুজনের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুজনের

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চারঘাট-বাঘা মহাসড়কের মনি গ্রামের মীরগঞ্জ সাজির বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- নাটোরের লালপুর উপজেলার মোমিনপুর বাগনা গ্রামের বাবর আলীর ছেলে ফয়সাল হোসেন (১৫) ও একই এলাকার মানিক হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন (২০)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রামের মীরগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে পারিবারিক কাজ শেষে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি লালপুরের দিকে যাচ্ছিল তারা।

এ সময় মীরগঞ্জ সাজির বটতলায় পৌঁছলে অপর দিকে থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান তারা। এ সময় আখ বোঝায় ট্রলির চাকায় স্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন দুজন। 

পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর ট্রাক ও আখ বহন করা ট্রলি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বাঘা থানা পুলিশের (ওসি তদন্ত) সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এর আগে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চুরির অপবাদে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের পর আগুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
চুরির অপবাদে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের পর আগুন
সংগৃহীত ছবি

মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের পরে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাণভিক্ষে চেয়েও রেহাই মিলেনি ছেলেটির। মধ্যযুগীয় কায়দার এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায়। নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে।

এই ঘটনার শিকার জাহেদ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) হবিগঞ্জ আদালতে নির্যাতনকারী ১৩ জনের নামে মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আলী মামলাটি আমলে নিয়ে বাহুবল থানার ওসিকে এফআইআর করার আদেশ দিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার জাহেদ মিয়া (২৮) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনদক্ষিণ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।

এরপর সন্দেভাজন হিসেবে একই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের কিম্মত আলীর ছেলে শহীদুল মিয়াকে (৩০) আটক করে পেটানো হয়। পরে বনদক্ষিণ গ্রামের জাহেদ মিয়াকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে গাছের সাথে বেঁধে তার শরীরে পেট্রোল দিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এ সময় চুরির দায় স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হলে জাহেদ তা অস্বীকার করেন।

নির্যাতন বন্ধের জন্য বার বার আকুতি জানান জাহেদ। দীর্ঘক্ষণ নির্যাতনের পর তার পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনের মূল্য পরিশোধের শর্তে তাকে ছাড়িয়ে নেন। পরে ভর্তি করা হয়েছে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, জাহেদের শরীরের প্রায় ১৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজন পড়তে পারে অস্ত্রোপচারের।

আদালতে জাহেদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘আমারে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে মেহগনি গাছের সাথে বাইন্দ্যা (বেঁধে) মারছে। শরীরে আগুন লাগাইয়া দেওয়া হইয়াছে। পরে আমার দাদা সব টাকা দেওয়ার কথা বলে ছাড়িয়ে নিয়েছে।’

জাহেদ মিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল বলেন, জাহেদ মিয়া পেশায় দর্জি। মোবাইল ফোন চুরি করার মত অবস্থা তার নয়। যেভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। বিজ্ঞ বিচারক ভিকটিমকে দেখে এবং ঘটনার গুরুত্ব বুঝে মামলাটি এফআআইআর এর আদেশ প্রদান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এই মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হল বনদক্ষিণ গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ, আ. মালিক, ছালিক মিয়া, মোজাহিদ মিয়া, আমীর আলী, আলমগীর, যমুনাবাগ গ্রামের রুয়েল মিয়া, সোহেল মিয়া, কবির মিয়া, কাজল মিয়া, তাজল মিয়া, সুমন মিয়া ও জামাল মিয়া।

এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে ঘটনাটি দেখেছি। পরে জানতে পেরেছি মামলা হয়েছে। থানায় আসলেই মামলাটি রেকর্ড করা হবে এবং আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

মন্তব্য

চিকিৎসক নেই, সেবা দিচ্ছেন অ্যানেস্থেসিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডিএমএফ

উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
শেয়ার
চিকিৎসক নেই, সেবা দিচ্ছেন অ্যানেস্থেসিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডিএমএফ
ছবি : কালের কণ্ঠ

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিনিয়তই দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বদলে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পত্রে ওষুধ লিখে দিচ্ছেন এ্যানেসথিয়া অ্যানেস্থেশিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকরা (ডিএমএফ)। যা আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন বলেছেন খোদ চিকিৎসকরাই। 

তারা বলছেন, এ্যানেসথিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট কিংবা ডিএমএফরা চিকিৎসকদের সহযোগী। তারা কোনোভাবেই রোগীর চিকিৎসাপত্র দিতে পারেন না।

এটা বেআইনি। 

সরেজমিনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন বিল্ডিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর দীর্ঘ লাইন, তবে নেই তেমন কোনো চিকিৎসক। ওই ভবনের নিচ তালার ৬ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি রোগীর ব্যবস্থাপনা পত্র লিখছেন। তবে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক নন।

তার নাম আশরাফুজ্জামান রনি। তিনি এই হাসপাতালে একজন এ্যানেসথিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখানে মেডিক্যাল ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইমলাম স্যারের বসেন। তিনি আসেননি।

তত্ত্বাবধায়ক ও আরএমও স্যারের নির্দেশে আমি এখানে রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছি।’ 

আপনি আইনগত চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্যাররা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি বসেছি।’

তার কাছ থেকে সদ্য ওষুধ লিখে এনেছেন রহমত আলী (৪৫)। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কালীগঞ্জ থেকে আসিছি। কোমড় ব্যাথা নিয়া ডাক্তার ওষুধ লিখি দেইল।

খাই দেখি কী হয়। 

একই ভবনের ২৯ নং কক্ষে কে বসবেন তা নির্ধারিত নেই। তবে এখানে বসেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আলামিন মাসুদ। তিনিও উপস্থিত নেই। তবে সেখানে রোগী দেখনছেন মশিউর রহমান নামের একজন ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক। জানতে চাইলে তিনি চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে কালের কণ্ঠকে কোনো সদোত্তর দিতে পারেনি। 

৯ বছর বয়সি সোহগের মা চিকিৎসাপত্র নিয়েছেন মশিউর রহমানের কাছে। সোহাগের মা আম্বিয়া খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেটার কাশ, যাত্রাপুর থাকি আসছি ডাক্তারক দেখাইলং, ওষুধ তো লেখি দেইল এলা দেখি কী হয়।

তবে এভাবে হাসপাতালে রোগী দেখাকে পুরোপুরি নিয়ম-বহির্ভূত মনে করছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান মারুফ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এভাবে সরকারি হাসপাতালে এ্যানেসথিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডিএমএফ দিয়ে বহি:বিভাগে রোগী দেখা আইনবহির্ভূত কাজ। তারা এমবিবিএস চিকিৎসকের মত দক্ষ না, এতে করে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজ্য জ্যোতি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের সু-ব্যবস্থপনার জন্য তত্বাবধায়কে বলে আসছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনি দুই মাস সময় নিয়েছে কিন্তু ফলাফল শূন্য। যার কারণে আমরা তাকে সম্প্রতি তিরস্কারের মালা দিয়েছি। তিনি আবার ও ১ মাস সময় নিয়েছে। যদি তিনি হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়ন না করেন, তাহলে এর থেকে আরো বড় তিরস্কার তাকে করা হবে।’

সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শহিদুল্লাহকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন বলেন, ‘এ্যানেসথিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডিএমএফ কেন বহি:বিভাগে রোগীকে সেবা দিবে তারা তো চিকিৎসকের সহযোগী। আর আমরা কোনো নির্দেশনা দেই নি যে তারা রোগীদের সেবা দিবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’  

মন্তব্য

মানিকগঞ্জে কারখানা শ্রমিকদের মহাসড়ক অবোধ করে বিক্ষোভ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
শেয়ার
মানিকগঞ্জে কারখানা শ্রমিকদের মহাসড়ক অবোধ করে বিক্ষোভ
ছবি: কালের কণ্ঠ

অবৈধ ছাঁটাই বন্ধ ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে একটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় শ্রমিক ও কারখানার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় চায়না হার্ডওয়্যার বিডি কম্পানিতে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন
বাংলা সাহিত্যে রমজান মাস

বাংলা সাহিত্যে রমজান মাস

 

শ্রমিকরা জানান, মাসিক বেতনের কথা বলে তাদের নিয়োগ দিলেও দৈনিক চুক্তিতে টাকা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলেই নানা নির্যাতনসহ কর্মী ছাঁটাই করা হয়। গতকালও ১২ জন শ্রমিককে অবৈধভাবে ছাঁটাই করা হয়।

আজকে কম্পানির লোকজন শ্রমিকদের গায়ে হাত তোলেন। এ ঘটনার পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে বেতন কাঠামো ঠিক করাসহ অবৈধ ছাঁটাই বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

কম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ওবায়দুর রহমান শ্রমিকদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা ভয়ে তিন তলায় আশ্রয় নিয়েছিলাম।

কম্পানি নতুন হওয়ায় তাদের দৈনিক ৩০০ টাকা হাজিরা হিসাবে কাজ করাতাম। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি নিয়মের মধ্যে চলব।’

আরো পড়ুন
হাসিনাকে রক্ষায় টাকা প্রদানকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান বুলুর

হাসিনাকে রক্ষায় টাকা প্রদানকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান বুলুর

 

শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), এস এম ফয়েজ উদ্দিন জানান, আমরা শ্রমিক ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। কথা শুনে প্রাথমিকভাবে কারখানাটির শ্রুতি বিশ্রুতি পেয়েছি।

মালিক পক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যমান আইন মোতাবেক চলার জন্য। আজকের ঘটনায় যারা আহত হয়েছে সেই সব শ্রমিকদের মালিক পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ছাঁটাই শ্রমিকদের কাজে বহাল করার কথা বলে দিয়েছি।

মন্তব্য

রাজৈরে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান, ২ কিমি পাইপ ধ্বংস

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
রাজৈরে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান, ২ কিমি পাইপ ধ্বংস
ছবি: কালের কণ্ঠ

মাদারীপুরের রাজৈরে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই কিলোমিটার পাইপ ধ্বংস ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রইছ আল রেজুয়ানের নেতৃত্বে উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের শংকরদীর হাট সংলগ্ন কুমার নদে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

আরো পড়ুন
ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন-নাবিকের মুক্তি নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন-নাবিকের মুক্তি নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ শংকরদী হাট পাড়ে কুমার নদে ড্রেজার বসিয়ে পুকুর, দীঘি ও জলাশয়সহ বিভিন্ন স্থানে বালু সরবরাহ করে আসছিলেন। এমন অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় দুই কিলোমিটার পাইপ ধ্বংস করা হয়। পাশে আরেকটি ড্রেজারের পাইপও ধ্বংস করা হয়েছে এবং দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ