৫ দফা দাবি আদায়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীরা। বন্ধ রয়েছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সকল একাডেমিক কার্যক্রম। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজসহ বেসরকারি আরো তিনটি মেডিক্যাল কলেজেই এর প্রভাব পড়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সারা দিন এ কর্মসূচির কারণে ওই মেডিক্যাল কলেজে সেবা প্রত্যাশীরা বিপাকে পড়েছে।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ১৬০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্ম বিরতিতে থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। বিপুল পরিমাণ রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকগণ।
বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহারের পাশাপাশি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। ৪৮ ঘণ্টায় তাদের দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার কথাও জানান তারা।
এদিকে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)-এর আগে মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিসে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম রাহী, ডা. শায়লা কায়সার এবং মেডিক্যাল শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনা চলছে। চিকিৎসাসেবায় গুণগতমান বজায় রাখার জন্য আমাদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন জরুরি। সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো দুর্বল করে তুলতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে।
আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন চলবে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা সারোয়ার বলেন, ‘চিকিৎসকদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। তারা আমার কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।