বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার বলেছেন, ‘ধর্ষকদের প্রকাশ্যে গুলি করে মারতে হবে। এই আইন পাশ হলে ধর্ষণকারীরা আর কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করতে সাহস পাবে না।’ ধর্ষণকারীদের শনাক্ত করে প্রকাশ্য দিবালোকে বিচার করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তিনি জোড় দাবি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আড়াইহাজার উপজেলা মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পারভীন আক্তার বলেন, ‘বিএনপির আমলে শারমিন রিমার হত্যাকাণ্ডে ঘাতক মনিরের ফাঁসি হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কুমিল্লায় একজন মারাও গেছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে ধর্ষণ ঘটনার বিচার না হওয়ায় এর বিস্তার ঘটেছে।
’
আরো পড়ুন
পুরুষকে বেঁধে নারী এনজিও কর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ওসি বদলি
তিনি বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম অবনতি হয়েছে। ফলে অপরাধের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে গণতন্ত্র। এদিকে, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান খুনি শেখ হাসিনা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেশীয় এবং বিদেশি চক্রান্তের ঝাল বুনছেন।
তার এই চক্রান্ত এ দেশের মানুষ কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করতে দিবে না।’
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। কতিপয় বিএনপির নামধারী নেতা দলের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে এলাকায় বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।’ এ সকল চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন অনু, উপজেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি শিরিন সুলতানা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শহিদুল্লাহ মিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।