সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার মাহফিলে হট্টগোল হয়েছে। বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইফতার মাহফিলে এ হট্টগোল হয়ে। শনিবার (২২ মার্চ) সিলেট নগরের আমানউল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিকদের নিয়ে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ইফতারের ছয়-সাত মিনিট আগে যখন হট্টগোল শুরু হয় তখন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ট যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। বক্তব্যের মাঝামাঝি সময়ে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ মঞ্চে বক্তব্য দিতে চাইলে এই হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এসময় হট্টগোলের ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে বাঁধা দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের অনেকে ইফতারে অংশ না নিয়েই বেরিয়ে যান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সিলেট মহানগরের আমির মুহাম্মদ ফখরল ইসলাম এবং সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর।
এনসিপির পক্ষে বক্তব্য দেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, অনিক রায়, অর্পিতা শ্যামা দেব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
হট্টগোল নিয়ে এনসিপির বক্তব্য
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সিলেট জেলার গণ্যমান্য রাজনৈতিক বর্গ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত এনসিপি’র সমর্থকবৃন্দ, ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত হয়ে সিলেট জেলায় একটি সফল ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের নাম করে কিছু বিশৃঙ্খল দুষ্কৃতিকারী, এনসিপি সিলেট জেলা কর্তৃক আয়োজিত পবিত্র ইফতারে হট্টগোল করার চেষ্টা করে, এতে কিছু সম্মানিত সাংবাদিকের সঙ্গেও অপমানজনক আচরণ করে, এনসিপি সিলেট জেলার পক্ষ থেকে এহেন অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে জুলাই বিপ্লবকে কুক্ষিগত করে কোনো চাঁদাবাজ, বিশৃঙ্খলাকারী বা সুযোগ সন্ধানীকে এনসিপিতে সুযোগ দেওয়া হবে না।’