গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছাড়িয়েছে, ইজতেমা ময়দানে হামলা হতে পারে। আমরা এই হুমকিকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। ইজতেমায় লোক সমাগম কম হওয়ার জন্য কেউ গুজব ছড়িয়ে থাকতে পারে। আজ পবিত্র শবেবরাত ও বিশ্ব ইজতেমা হওয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিরাপদে যেন ইবাদত করতে পারেন সেজন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ২ নম্বর ফটকের ভেতরে বিদেশি খিত্তার সামনে স্থাপিত জিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এক প্রেসব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন
ড. ইউনূস-ইলন মাস্কের ফোনালাপ নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজ সাদপন্থীদের ইজতেমা শুরু হলো। আজ পবিত্র শবেবরাত। দুটি কারণে ইজতেমা ময়দানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বেশি আসবেন।
সেটা ভেবেই আমরা অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে, ইজতেমায় হামলা হতে পারে।’
আমরা গুজব উড়িয়ে দিচ্ছি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা রাস্তাগুলো খালি রাখতে চাই। কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা যেন তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি সেজন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।
’ তবে তিনি কোনো ঘটনা ঘটবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সবাইকে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে যা জানা গেল
ড. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘সাদপন্থীদের এবারের ইজতেমায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৩৬ টি সিসি ক্যামেরা, সার্ভিল্যান্স টিম, রুপটফ, ৩৫টি বাইনুকোলার, ২০টি চেকপোস্ট ও ৩৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে। হকার উচ্ছেদের জন্য পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে।’
বোম ডিস্পোজাল ইউনিটসহ সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া কেউ ড্রোন উড়াতে পরাবে না, ড্রোন সার্ভিল্যান্স কাজ চলছে।
পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও মোতায়েন আছে।’
ইজতেমার আয়োজক সাদপন্থীদের পক্ষে কাজরাইলের শূরা সদস্য মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে মাওলানা ওসামা ইসলাম, হাজী মনির ও মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
আ. লীগ নেতা হাসানসহ পরিবারের ৪ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আয়োজকদের পক্ষে মাওলানা ওসামা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আপনাদের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের কাছে একটি মেসেজ দিতে চাই, এই জায়গাটা নিরাপদ। এখানে কোনো সমস্যা নেই। সবাই যেন ইজতেমাকে নিরাপদ মনে করেন।’ বিশ্বে বাংলাদেশ যেন নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত থাকে সেজন্য তিনি সবার সহযেগিতা কামনা করেন।
এসময় জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, উপপুলিশ কমিশনার ( অপরাধ দক্ষিণ) এ এনএম নাসিরুদ্দিনসহ পুলিশ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
রায় শুনেই নারী বিচারককে জুতা ছুড়লেন আসামি!
গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি শুরায়ী নেজামের (জুবায়েরপন্থী) ইজতেমা সম্পন্ন হয়। এখন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রাথমিকভাবে ইজতেমা শুরু হলেও আজ শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব তথা বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর।