ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাশিপুর বেদে পল্লীতে আবু তালেব হোসেন (৩২) নামের এক যুবক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামি বাদ দিয়ে এজাহার করায় এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে রাখে বেদে সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা।
এরপর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কও অবরোধ করে রাখেন তারা। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোর রাত ৩ টার দিকে তালেবকে পেটে রড ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত তালেব ওই এলাকার মৃত আয়ুব আলীর ছেলে।
তালেবের স্ত্রী জানে বেগম বলেন, আমার স্বামীকে যার হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।
নিহত তালেবের মামাতো ভাই হাসমত আলী বলেন, সেলিম, মনিরুল, ফজেল ও শ্যামল হুকুম দিয়ে আমার ভাইকে মারালো। আমরা আসামিদের ফাঁসি চাই।
অথচ ওসি মামলার এজাহারে এদের নাম দেননি। তার ইচ্ছামতো একজনকে আসামি করেছেন।
সাপুড়ে বেদে পল্লীর বাসিন্দার সুজাতুর রহমান বলেন, আমরা সেলিমকে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। এছাড়া থানার ঘুষখোর ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার টাকা খেয়ে সেলিমকে আসামির বাইরে রাখলো, এই ওসির প্রত্যাহার দেখতে চাই।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওসি আসামিদের না ধরলে বা ওসি প্রত্যাহার না হয়, তাহলে আমরা আরো বড় কর্মসূচি দিব।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মুঠোফোনে একাধিক ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে থানার ওসি (তদন্ত ) মোজাম্মেল হক বলেন, কয়েকদিন আগে কালীগঞ্জের কাশিপুর বেদে পল্লীতে আবু তালেব নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। এ সময় তালেবের শ্বশুরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সে ঘটনায় হত্যার মূল আসামি রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রুবেল স্বীকার করেছে যে, সে একাই হত্যা করেছে। তালেবের শ্বশুর বলেছেন হত্যার সময় রুবেল একাই ছিল। সেজন্য রুবেলকে আসামি করে মামলা নেয়া হয়েছে এবং তাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রবিবার সকালে বেদে সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা থানায় এসে বলেন, এই হত্যার পেছনে আরো অনেকে জড়িত আছে বলে দাবি করে। তারা এজাহারে অন্যান্যদের আসামি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে ওসির অপসারণ দাবি করেন এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বলে যোগ করেন ওসি।