শামীম ওসমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে : অধ্যাপক মামুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
শামীম ওসমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে : অধ্যাপক মামুন
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছিলেন অবৈধ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তাকে দেশে এনে বিচার করা হবে। এটা নারায়ণগঞ্জের সব মানুষের প্রত্যাশা। 

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বদরুন্নেচ্ছা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্ভয়ে কথা বলা, পথ চলা যায় এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মামুন মাহমুদ বলেন, রাজনীতিবিদদের দেখলে কারো বুকের পানি শুকিয়ে যেন না যায়।

সভাপতির বক্তব্যে বদরুন্নেছা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আবু তাহের বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার। কাজেই শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ অপরিহার্য। কারণ সঠিক পরিচর্যা না হলে তারা হবে অপরিপূর্ণ, অপরিপক্ব।

তিনি আরো বলেন, 'খেলাধুলা ও শরীরচর্চা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুর চিন্তার সৃজনশীল বিকাশ ঘটে, নেতৃত্বের দক্ষতা অর্জিত হয়, জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার সাহস বাড়ে, দেশপ্রেম জাগ্রত হয় এবং নৈতিক চরিত্রের বিকাশ ঘটে। তাই বদরুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে আমরা খেলাধুলাকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তাদের মনে সবসময় উৎসাহ ও উদ্দীপনা যেন সৃষ্টি হয় সেদিকে আমরা সবসয়ই লক্ষ রাখি।

'

তিনি বলেন, 'মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করতে যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল তাদের কারণেই আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি কখনোই ভুলবো না।' 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভালো কাজের বি‌নিময় দেওয়া হয় খাবার

আঞ্চ‌লিক প্রতি‌নি‌ধি, কু‌ড়িগ্রাম
আঞ্চ‌লিক প্রতি‌নি‌ধি, কু‌ড়িগ্রাম
শেয়ার
ভালো কাজের বি‌নিময় দেওয়া হয় খাবার
ছবি: কালের কণ্ঠ

খাবার খেতে আসলেই দিতে হবে ভালো কাজের বর্ণনা। তা‌দের ভা‌লো কা‌জের কথা শু‌নে খাতায় লিখে রাখেন সংগঠনের স্বেচ্ছা‌সে‌বীরা। এরপর তা‌দের‌ এক‌বেলার খাবার খে‌তে দেওয়া হয়। আর এভা‌বেই প্রতি‌দিন প্রায় ৪শ মানুষ‌কে খাবার খাওয়ান ‘ইয়ুথ ফর বাংলাদেশ’ না‌মের এক‌টি স্বেচ্ছা‌সে‌বী সংগঠন।

২০১৯ সাল থেকে ভালো কাজের বিনিময়ে খাদ্য বিতরণ ক‌রে আস‌ছে সংগঠন‌টি। যার নাম দেওয়া হয় ‘ভা‌লো কা‌জের হো‌টেল’।

সংগঠন‌টির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক নুর আলম বলেন, খাবার খেতে আসা ব্যক্তিদের প্রথমেই আমরা জিজ্ঞেস করি, কে কি ভালো কাজ করে‌ছেন। তাদের করা ভালো কাজের কথা শুনে আমরা খাতায় লিখে রাখি।

এরপর তা‌দের‌কে খাবার দেওয়া হয়। 

খাবার খে‌তে আসা ম‌ন্জিলা বেগম (৪৫), আবেদ আলী (৫২), মু‌কিত আলী (৩০) ব‌লেন, এখা‌নে এক‌টি ভা‌লো কা‌জের বি‌নিময় এক‌বেলার খাবার খে‌তে দেওয়া হয়। এক‌টি নয় আমরা প্রতি‌দিন একা‌ধিক ভা‌লো কাজ ক‌রার চেষ্টা ক‌রি, এতে ক‌রে খাবার খাওয়ার পাশাপা‌শি ভা‌লো কাজগু‌লো কর‌তে উদ্বুদ্ধ হ‌চ্ছি।

স্থ‌ানীয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ফয়জার আল‌ী ব‌লেন, এটা খুবই ভা‌লো উদ্যোগ।

খাবার খাওয়ার জন‌্য হ‌লেও মানুষজন ধী‌রে ধ‌ী‌রে ভা‌লো কা‌জের দি‌কে ঝুঁ‌কে পড়‌বে। এভা‌বেই এক‌দিন সমাজ থে‌কে খারাপ কাজগু‌লো দূ‌র হ‌বে।

সংগঠনের সদস্য লিমন আহম্মেদ বলেন, রমজানের আগে দুপুরে একবেলার খাবার দেওয়া হতো। এখন ইফতারের সময় খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ইফতারের মেনুতে থাকছে খিচুড়ি, মুরগির রোস্ট এবং শরবত।

এ ছাড়া ‌কোনো দিন থাকছে গরুর মাংসের তেহেরি।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক ব‌লেন, এক‌টি ভা‌লো কাজ কর‌লে সংগঠন‌টি এক বেলার খাবার দেন। আমি এক‌দিন তা‌দের স‌ঙ্গে ইফতার ক‌রে‌ছি। এটি ভা‌লো উদ্যোগ এবং প্রশংসনীয়।
 

মন্তব্য

তারেক রহমানের ঈদ উপহার পেল নারায়ণগঞ্জের ৫ শতাধিক শিশু

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
তারেক রহমানের ঈদ উপহার পেল নারায়ণগঞ্জের ৫ শতাধিক শিশু
ছবি : কালের কণ্ঠ

নারায়ণগঞ্জে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পাঁচ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা উপহার দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ উপহার দেন। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় খোরশেদের কার্যালয়ে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, কয়েক বছর ধরেই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুবিধাবঞ্চিত ও দুস্থ পরিবারের শিশুদের মাঝে নামমাত্র মূল্যে, কখনো বিনা মূল্যে ঈদের উপহার দিয়ে আসছেন বিএনপি নেতা খোরশেদ।

সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও দুস্থ ও গরিব শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে ঈদে নতুন জামা পেয়ে আনন্দিত শিশুরাও। বাচ্চারা ঈদের পোশাক পাওয়ায় খুশি তাদের সাথে আসা অভিভাবকরাও।

আরো পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধে আ. লীগের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন খায়রুল কবির খোকন

মুক্তিযুদ্ধে আ. লীগের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন খায়রুল কবির খোকন

 

নতুন জামা নিতে আসা ৪ বছরের শিশু ববির মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ।

ঈদের দিন একটু ভালোমন্দ খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। ঈদের কেনাকাটা করব কোথা থেকে? বাচ্চারা ঈদ এলে নতুন কাপড়ের বায়না ধরে, দিতে পারি না। তাই এখানে ছেলেটার জন্য একটা নতুন জামা নিতে এসেছি। আমাদের তারেক রহমানকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।

ঈদের নতুন জামা পেয়ে আনন্দিত ৬ বছরের শিশু মীম বলে, ‘ঈদের নতুন জামা দিয়েছে। ঈদের দিন এটা পরব।’

বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য। অসহায় ও দুস্থদের জন্য বিএনপি রাজনীতি করে। আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন সামর্থ্য অনুযায়ী দুস্থ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াই।

সেই বোধ থেকেই আমাদের আজকের এই আয়োজন।’ 

আরো পড়ুন
ইশরাককে মেয়র করায় ‘এমপি’ পদ দাবি করলেন হিরো আলম

ইশরাককে মেয়র করায় ‘এমপি’ পদ দাবি করলেন হিরো আলম

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই, সবাই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। আমরা চাই, ঈদের আনন্দ থেকে কোনো শিশু যেন বঞ্চিত না হয়। আমরা এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই। যাদের সামর্থ্য নেই তারাও যেন নতুন জামা পরে ঈদ করতে পারে। তাই আমাদের এই ক্ষুদ্র চেষ্টা।’

মন্তব্য

মুক্তিযুদ্ধে আ. লীগের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন খায়রুল কবির খোকন

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী প্রতিনিধি
শেয়ার
মুক্তিযুদ্ধে আ. লীগের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন খায়রুল কবির খোকন
ছবি : কালের কণ্ঠ

নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ঘরে বসে থাকেননি। রণাঙ্গনে তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আর আওয়ামী লীগের যে নেতাকর্মীরা ছিল তারা দিশাহারা হয়ে বর্ডার ক্রস করে ভারতে কলকাতায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা সেখানে বিরাট বড় বড় হোটেলে আরাম আয়েশ করেছে।

সেখানে তারা কোনো ট্রেনিংও নেয়নি। আমাদের বলা হয়, তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের দল; মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে। তারা কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছে আমি তা জানতে চাই? আমি যতদূর জানি তারা হচ্ছে শরণার্থী মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল।
বিএনপি হলো রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা। এই হলো বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য।’

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে শহরের চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
প্রভাবশালীদের কবল থেকে ৩ জলমহাল দখলমুক্ত, রাজস্ব পাবে সরকার

প্রভাবশালীদের কবল থেকে ৩ জলমহাল দখলমুক্ত, রাজস্ব পাবে সরকার

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি।

তারা মুক্তিযুদ্ধ না করে মুক্তিযুদ্ধের সব সুবিধা নিয়েছে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর দেশে এসে তিনি জাতীয় সরকার না করে দলীয় সরকার করেছেন। একদলীয় সরকার গঠন করে তিনি ৭৪-এ সংবিধান পরিবর্তন করে বাকশাল কায়েম করেছেন।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনজুর এলাহীর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযুদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।

মন্তব্য

প্রভাবশালীদের কবল থেকে ৩ জলমহাল দখলমুক্ত, রাজস্ব পাবে সরকার

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
প্রভাবশালীদের কবল থেকে ৩ জলমহাল দখলমুক্ত, রাজস্ব পাবে সরকার
ছবি : কালের কণ্ঠ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দীর্ঘদিন থেকে প্রভাবশালী মহলের কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র সরকারি তিনটি জলমহালে মাছ লুট করে খেয়েছিল। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছিল সরকার। গত ৫ আগস্টের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিন্দারাণির দিঘি, হ্যালিপ্যাড পুকুর ও কাটুয়া বিল প্রভাবশালীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করেন। যার ফলে অনেক রাজস্ব পাবে সরকার।

বিন্দারাণির দিঘি : 

উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ৭ একরের পুকুরটি গত ২০১৪ সাল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পক্ষ বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার নামে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ভোগ করে আসছিল। এমনকি বিগত সময়ে বিন্দারাণির দিঘি নিয়ে দুই পক্ষের মামলা থাকলেও রাতের আধারে মিলেমিশে দুই পক্ষই মাছ লুট করেছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই দিঘিতে রাতের আধারে মাছ চুরি করতো। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত ছিল।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন দিঘিটি সরকারের দখলে এনে পুনরায় ইজারা দেওয়ার কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিনের মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ডিসেম্বর মাসে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২ লাখ ৫ শত টাকা মূল্যে বছরের বাকি ৩ মাসের জন্য খাস আদায়ের ইজারা দেওয়া হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ বৈশাখ ১৪৩২ বাংলা থেকে পুনরায় ইজারা দেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে এই পুকুরটি দীর্ঘ ১১ বছর পর আবার সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসলো।

হ্যালিপ্যাড পুকুর :

উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত হ্যালিপ্যাড পুকুরটি ২ একর আয়তনের।

ফানাই নদীর একটি মুখ এই পুকুরের সীমানা ঘিরে বয়ে যাওয়ায় সারাবছর বিপুল পরিমাণ মাছের আনাগোনা হয়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক একটা মহলের যোগসাজশে এই পুকুরটিকে কখনোই সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এই পুকুরটি মাছ আহরণের বিপুল সম্ভাবনাময় হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন পুকুরটিকে সায়রাত রেজিস্ট্রারভুক্ত করার জন্যে পদক্ষেপ নেন। গত ৫ মার্চ কাদিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুস শহীদ ওই হ্যালিপ্যাডে সরকারি একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাখেন। প্রথমে অবৈধ দখলের কবল হতে উদ্ধার করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাছ ধরে নিলাম-বিক্রির মাধ্যমে সরকারের দখল ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে সরকারের সায়রাত রেজিস্ট্রারভুক্ত করা হয়েছে এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

কাটুয়া বিল : 

উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি মৌজায় অবস্থিত কাটুয়া বিলের আয়তন ২৬ একর। বিলটি হাকালুকি হাওরের চকিয়া বিলের পার্শ্ববর্তী একটি বিল। সরকারের অগোচরে এই বিলটি স্থানীয় প্রভাবশালী মৎস্যজীবী মহল প্রতিবছর মাছ ধরার হরিলুটে ব্যস্ত থাকেন। চকিয়া বিলের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা হতো কাটুয়া বিল থেকে। কিন্তু নিয়মিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত ছিল সরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিনের নজরে আসলে তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়কে অবগত করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন ও ভূকশিমইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন, রেকর্ডপত্র যাচাই করে কাটুয়া বিলটিকে সরকারের ৬ নম্বর রেজিস্ট্রারভুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কয়েক দফা নথি আদান প্রদান, সংশোধনের পর গত ২৫ মার্চ সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে উক্ত বিলটি সরকারি জলমহাল হিসেবে অনুমোদন করা হয়। বর্তমানে বিলটি ইজারার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন স্যারের স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল, সরকারি পুকুর, বিল, জলাশয়সহ বিভিন্ন সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে যেকোনো উপায়ে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করতে হবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সরকারি কাজটি বাস্তবায়ন করেছি। 

তিনি আরো বলেন, বিন্দারাণি দিঘি ও হ্যালিপেড পুকুর ইজারার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং কাটুয়া বিল ইজারার কার্যক্রম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু করা হবে। অবৈধ দখলমুক্ত করায় এখন থেকে সরকারের কোষাগারে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব জমা হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ