কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, ভয়ে স্ত্রীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
শেয়ার
কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, ভয়ে স্ত্রীর মৃত্যু
ছবি : কালের কণ্ঠ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে স্ট্রোক করে মারা গেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৭০)। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের দাবি, এটি অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তের কাজ।

তবে পুলিশ বলছে অন্য কথা।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার রাতে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বাড়ির পাশে অবস্থিত নিজেদের পোল্ট্রি ফার্ম দেখাশোনার কাজে যান। ওই সময় তাদের বসতঘরের পেছনের কক্ষের এসি বিস্ফোরিত হয়।

সূত্রগুলো জানায়, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ও আগুনের শিখা দেখে আকলিমা বেগম ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।

পরে রাতেই তাকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে আওয়ামী লীগ নেতার ভাই অ্যাডভোকেট আরকান মিয়া দাবি করেন, তাদের বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভয়ে তার ভাবি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর এ আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে এক দফা আগুন লাগানো হয়।

একাধিক মামলা থাকায় ওই নেতা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। 

ফায়ার সার্ভিসের বাজিতপুর স্টেশন অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, আগুন খুব একটা ছড়ায়নি। এসি বিস্ফোরণের পর প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। 

তিনি আরো জানান, আগুনে এসি পুড়ে গেছে। বসতঘরের ফলস্ সিলিং ধসে পড়েছে ও একটি আলমিরা ও সোফার একাংশের ক্ষতি হয়েছে।

বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এখনই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের বাজিতপুর স্টেশন অফিসারকে নিয়ে তিনি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেছেন। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবির অভিযানে ১০টি ভারতীয় গরু জব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবির অভিযানে ১০টি ভারতীয় গরু জব্দ
ছবি: কালের কণ্ঠ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা সীমান্তে ১০টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিজিবি এ তথ্য জানায়। এর আগে ওই দিন ভোররাতে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চর পাঁকা সেতারপাড়া গ্রাম থেকে গরুগুলো জব্দ করা হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সেতারপাড়া গ্রামে অভিযান চালায় বিজিবি।

এ সময় সীমান্তের ৯০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি আমবাগানে বেঁধে রাখা ১০টি মালিকবিহীন গরু দেখতে পায় তারা। পরে তারা গরুগুলো আটক করে।

৫৩ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বলেন, ‘গরুগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আটকের কাজ শুরু করেছে বিজিবি।

মন্তব্য

দিনাজপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৩৪১ পরীক্ষার্থী

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
দিনাজপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৩৪১ পরীক্ষার্থী
ছবি: কালের কণ্ঠ

দিনাজপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৪১ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। দিনাজপুরের মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তিনি এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ২৮০টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬০৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৫ জন। অনুপস্থিত থাকে ১ হাজার ৩৪১ জন পরীক্ষার্থী।

আরো পড়ুন
গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি দূতাবাসে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি দূতাবাসে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

 

এর মধ্যে রংপুর জেলায় ২০৬ জন, গাইবান্ধা জেলায় ২০৩ জন, নীলফামারী জেলায় ১৪৩ জন, তুড়িগ্রাম জেরায় ১৫২ জন, লালমনিরহাট জেলায় ৯৯ জন, দিনাজপুর জেরায় ২৭০ জন, ঠাকুরগাঁও জেলায় ১৫৮ জন ও পঞ্চগড় জেলায় ১১০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। শতকরা অনুপস্থিতির হার ০.৮০ শতাংশ।

কোনো বহিষ্কার নেই।

মন্তব্য

শিক্ষার আলোয় হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা

নিয়ামুল কবীর সজল, ময়মনসিংহ
নিয়ামুল কবীর সজল, ময়মনসিংহ
শেয়ার
শিক্ষার আলোয় হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা
ময়মনসিংহের নতুন বাজার হরিজন কমিউনিটির শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছবি : কালের কণ্ঠ

আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগেও হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়ার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারত না। দারিদ্রতা, অশিক্ষা, পৃষ্টপোষকতার অভাব ইত্যাদি কারণে হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় আগ্রহী ছিল না। আগ্রহ ছিল না তাদের অভিভাবকদেরও। নিজ সম্প্রদায়ের বাইরে এসে সমাজের অন্য দশ জনের সঙ্গে মিলেমিশে পড়াশোনা করাটাও তাদের অনুকূলে ছিল না।

তবে দিন বদলেছে। সময়ের সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে সমাজের, সমাজের মানুষদের। তেমনি চিন্তা চেতনায় পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে হরিজন সমাজেও। দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ বৈষম্যের মধ্যেও শিক্ষার আলোয় একটি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে হরিজন ও বাঁশফোর সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরীরা।

 

ময়মনসিংহের নতুনবাজার রেলক্রসিং সংলগ্ন হরিজনপল্লী এলাকায় হরিজন ও বাঁশফোর সম্প্রদায়ের বসবাস। হেলা পঞ্চায়েত প্রধান বিজয় হরিজনের দেওয়া তথ্যমতে, এই এলাকায় হরিজন ও বাঁশফোর মিলে প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস এবং জনসংখ্যা প্রায় দুই হাজার জন। এ কমিউনিটির বেশিরভাগ মানুষ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করে থাকেন।

অল্প সংখ্যক মানুষ অন্য পেশায় জড়িত হলেও তা সংখ্যায় খুবই সীমিত।

এদের অনেকেই নিজেদের পরিচয় দিতে দ্বিধান্বিত হন। দেশ কিংবা রাষ্ট্র উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে গেলেও তাদের জীবনযাত্রার মানে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। এ সম্প্রদায়ের অনেকেই মনে করে থাকেন, পড়াশোনা করে তাদের জীবন-মানে খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না। তাদের বংশধরদেরও পেশা হিসেবে ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেই বেছে নিতে হবে।

তবে হরিজন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় মূলত এগিয়ে এসেছে বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানেই ২০-২৫ বছর আগে হরিজন পল্লীতে হরিজন শিশুদের নিয়ে চলত প্রাথমিক পর্বের পাঠদান। কিন্তু মাধ্যমিকে বা কলেজে হরিজন শিশুদের যাতায়াত তখন ছিল না বললেই চলে। তবে এ সম্প্রদায়ের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে এবং এখনো করছে। প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার (পিসিসি)-এর প্রকল্প প্রমোটিং এডুকেশন এন্ড রাইটস অব মাইনরিটিস (পার্ম) অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও অধিকার উত্তরণে ২০১৭ সাল থেকে অদ্যাবধি কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থা।

প্রকল্পটি শুরু থেকেই হরিজন সম্প্রদায় এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৮০ শিক্ষার্থীকে তাদের শিক্ষার সুবিধায় মাসিক শিক্ষাবৃত্তি, ভর্তি ও অন্যান্য ফি ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কিশোর-কিশোরীদের জন্য ক্লাব গঠন, মানবাধিকার, নৈতিক মূল্যবোধ, জীবন দক্ষতা এবং বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কর্মশালা করে থাকে। এতে এ কমিউনিটিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরনো ধ্যান-ধারণা ভেঙে হরিজন সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। পারস্পারিক যোগাযোগ দক্ষতা ও নেতৃত্ব দক্ষতা বেড়েছে। বাল্যবিবাহ বিষয়ে অভিভাবক ও কমিউনিটি জনগণের সচেতনতা বেড়েছে।

বর্তমানে নতুন বাজার হরিজন কমিউনিটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২০ জন, উচ্চবিদ্যালয়ে ৫৭ জন এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন পড়াশোনা করছে। যা নতুন আশার সঞ্চার করে। এ কমিউনিটির শিশু-কিশোর-যুবরাও এখন স্বপ্ন দেখে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, পুলিশ-আর্মি অফিসার ও শিক্ষক হওয়ার।

এ সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী শাওন সরকার বর্তমানে এইচএসসি পাশ করে অনার্সে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, তার স্বপ্ন একজন ব্যাংকার হওয়া। 

হরিজন পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বিনোদ হরিজন বলেন, হরিজন পল্লীতে শিক্ষার হার খুব কম ছিল। হরিজন কমিউনিটির অনেক ছেলে-মেয়ে এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। স্বপ্ন দেখছে, ভবিষ্যতে ভালো অবস্থানে যাওয়ার।

হরিজন যুব সঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব হরিজন বলেন, হরিজন পল্লীর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিজ কমিউনিটির বাইরে স্কুলগুলোতে ভর্তির আগ্রহ কম ছিল। বর্তমানে শিক্ষার বিষয়ে সচেতনতার ফলে তারা নিজ কমিউনিটির বাইরেও অনান্য বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।

শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুবর্ণা পলি দ্রং বলেন, একটি ন্যায্য ও বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন আমরা সবাই দেখি। আমাদের কাজের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, নতুন বাজার হরিজন কমিউনিটির মানুষের মধ্যে শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছেলে শিশুর পাশাপাশি মেয়ে শিশুদের শিক্ষা ও অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্য বিবাহ হ্রাস পেয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোহসীনা খাতুন বলেন, হরিজন শিশুরা আজ পড়াশোনায় এগিয়ে আসছে। এঠি ইতিবাচক দিক। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দিনাজপুরে এলজিইডি ভবনে আগুনে পুড়েছে নথিপত্র, তদন্তে কমিটি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
দিনাজপুরে এলজিইডি ভবনে আগুনে পুড়েছে নথিপত্র, তদন্তে কমিটি
ছবি: কালের কণ্ঠ

দিনাজপুর এলজিইডি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোর ৫ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।  

এ সময় ভবনটিতে সরকারি দুই কর্মকর্তা আটকে পড়েন।

পরে তাদেরকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় একজনকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) যুগ্ম পরিচালক রবিউল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মুন্নাফ হোসেন। রবিউল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছ,ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কার্যালয় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে দপ্তরটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় চতুর্থ তলায় রেস্ট হাউসে আটকা পড়ে দুই সরকারি কর্মকর্তা আহত হন।

দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে আমরা এলজিইডি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই।

দ্রুত সেখানে পৌঁছে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। 

ওবায়দুল ইসলাম আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের দ্বিতীয় তলায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ সময় চতুর্থ তলায় দুই প্রান্তে দুটি কক্ষে দুজন আটকা পড়েছিলেন। তাদের একজনকে জানালার গ্রিল কেটে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরজনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ৫তত্বাবধায়ক প্রকৌশল কার্যালয় দিনাজপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামীম আখতারকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনে মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অফিসের কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে। চতুর্থ তলার আবাসিক কক্ষে দুজন অতিথি ছিলেন। একজন সামান্য আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আমরা কাজ করছি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ