স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত রাজশাহীর পবা উপজেলার ভূমি অফিস ফের দুর্নীতি ও অনিয়েমের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালে ‘মাটির মায়া’ নামের এক অনন্য উদ্যোগের মাধ্যমে দেশব্যাপী সাড়া ফেলে পবা উপজেলা ভূমি অফিস। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই সুনাম হারিয়েছে পবা ভূমি অফিস। সম্প্রতি ওই ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ ‘ভুল’ রায় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পবা উপজেলা
এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ ‘ভুল’ রায় দেওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবা উপজেলার ভালুকপুকুর গ্রামের এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ভূমি অফিস। সেবাগ্রহীতারা এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) পর্যন্ত যেতেই পারেন না। তার আগেই দালালের খপ্পরে পড়ে টাকা-পয়সা খুইয়ে বছরের পর বছর ঘুরতে থাকেন। অতিরিক্ত টাকা (ঘুষ) না দিলে একটি রেকর্ড খুঁজে বের করতে বছরের পর বছর পার হয়ে যায়।
এই ভুক্তভোগী বলেন, ভালুকপুকুর মৌজায় আমার ক্রয় করা সম্পত্তিতে বিক্রেতার ওয়ারিশরা জাল খতিয়ান তৈরি করে ১৯৮৭ সালে করা আমাদের নামজারি ভূমি অফিসের মাধ্যমে কর্তন করে বিক্রেতার ওয়ারিশদের নামে করা হয়েছে। ঠুনকো অজুহাতে বুজারত খতিয়ানের সঙ্গে আরএস খতিয়ানের অমিল দেখানো হচ্ছে। বুজারত পর্যায়ে যে খতিয়ান করা হয়, তার সঙ্গে ফাইনাল খতিয়ানের অমিল হতেই পারে। বুজারত খতিয়ানের মতো একটি আন-অফিশিয়াল দলিল দিতে না পারায় নামজারি কর্তন বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে কি না আমার জানা নাই।
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু সরকারের কাছেই সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু এই অজুহাতে বাকি সব কাগজপত্র ও দলিলাদি ঠিক থাকা সত্ত্বেও আমার খারিজ বাতিল করেছেন সহকারী কমিশনার। সবচেয়ে বড় যে জালিয়াতি করা হয়েছে তা হলো- ৯৭ নম্বর এসএ খতিয়ান থেকে ৩৮১ নম্বর দাগ পরিবর্তন করে সেখানে ৩০১ লিখে প্রিন্ট করা হয়েছে। অথচ ৩০১ একটি আলাদা দাগ এবং এর মালিকও আলাদা, যার খতিয়ান নম্বর মূলত ৪৬। আমি মনে করি, এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি)-এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আইন অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি জমি বিক্রি করে এবং হস্তান্তর দলিল করে, তাহলে তার ওয়ারিশদের সেই জমির মালিকানা দাবি করার কোনো সুযোগ নেই। ২০২৩ সালের ভূমি অপরাধ প্রতিকার ও প্রতিরোধ আইনের ৭-এর গ ধারা অনুযায়ী, ‘সম্পাদিত দলিলের মাধ্যমে অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি জমি দখলে রাখতে পারবেন’। ৭-এর ঘ ধারা অনুযায়ী, ‘আদালতের আদেশে মালিকানা ও দখল অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি জমি দখলে রাখতে পারবেন’।
অন্যদিকে ‘কেউ যদি কেনা জমির সম্পূর্ণ মূল্য বুঝে পাওয়া সত্ত্বেও ক্রেতা বরাবর জমি হস্তান্তর না করেন, তবে তাকে এই আইনের ধারা ৯ অনুসারে দুই বছরের কারাদণ্ডে ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।’
অভিযোগের বিবরণ থেকে আরো জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর পবা উপজেলার ভালুক পুকুর গ্রামের মো. আবু তালেব তার পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। যে সম্পত্তিটি (দাগ নম্বর সিএস ৩৮১, আরএস ৪৪৮) এখন মো. আজিজুল হক ভোগ-দখল করছেন। ওই জমি ১৯৭৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ৩৭২৭ নম্বর সাফ কবলা দলিলের মাধ্যমে আহম্মদ আলী (আজিজুল হকের পিতা) হাবুল মণ্ডলের (আবু তালেবের পিতা) কাছ থেকে খরিদ করে ৩০৩৫/৮২-৮৩ নম্বর কেইস মূলে নিজের নামে ১৭২নং নামজারি খতিয়ান তৈরি করে খাজনাদি পরিশোধ করেন। পরে সেই জমি আহাম্মদ আলী ১৯৮৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ৩৫০৬ নম্বর হেবা বিল এওয়াজনামা দলিলের মাধ্যমে তার ছেলে মো. আজিজুলের কাছে হস্তান্তর করে জমির দখল তাকে বুঝিয়ে দেন। আজিজুল হক সেই অনুযায়ী মালিক হয়ে ২০৪২/৮৬-৮৭ নং কেইস মূলে নিজের নামে নামজারি করেন। সর্বশেষ তিনি গত বছরের ১৬ জুন এই নামজারির খাজনা পরিশোধ করেন। খাজনা প্রদানের এই রসিদসহ তার মালিকানার পক্ষে সব দলিলের একটি কপি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। কিন্তু আবু তালেবের দাবি, তার বাবা সে সময় ওই জমি বিক্রিই করেননি। গত ৫০ বছর জেনেশুনে হাবুল মণ্ডলের সব ওয়ারিশ জমিটি অপরপক্ষকে স্বেচ্ছায় ভোগ দখল করতে দিয়েছেন।
তামাদি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ১২ বছরের অধিককাল পর্যন্ত বিরোধ ছাড়া, আপত্তি ছাড়া, মামলা ছাড়া, প্রকাশ্যে, দাবিহীনভাবে ভোগ দখলে থাকে তাহলে সেই জমির মালিকানা অন্য কেউ দাবি করতে পারবে না।’
সব দলিল ঠিক থাকার পরও কেন অভিযোগের ভিত্তিতে জমির খারিজ বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে মো. জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। মিথ্যা দলিল ও পর্চার ভিত্তিতে গত ৫০ বছর জমিটি ভোগ দখল করছেন আজিজুল হক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ৯৭ নম্বর এসএ খতিয়ান থেকে ৩৮১ নম্বর দাগ পরিবর্তন করে সেখানে ৩০১ লিখে প্রিন্ট করা হয়েছে। অথচ ৩০১ একটি আলাদা দাগ এবং এর মালিকও আলাদা, যার খতিয়ান নম্বর মূলত ৪৬। এই জমির বৈধ মালিক আজিজুল হক হওয়া সত্ত্বেও তার খারিজ বাতিল করার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এসি ল্যান্ডসহ আবু তালেব সিন্ডিকেট ঘুষ আদান-প্রদানের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এই ধরনের কাজ করে থাকতে পারে।’
ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর আজিজুল হকের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘জমি বিক্রির ৫০ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। কিন্তু এত দিন হাবুল মণ্ডলের কোনো ওয়ারিশ অভিযোগ করেনি। কিন্তু ৫০ বছর পর লোভের বশবর্তী হয়ে সহকারী কমিশনার-ভূমি বরাবর এই অভিযোগ করেছেন। টাকা দিয়ে ভূমি অফিস নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন আবু তালেব। কিন্তু প্রতারণার আশ্রয় নিতে গিয়ে রেখে গেছেন অপরাধীর পায়ের ছাপ। কারণ সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর উপস্থাপন করা এসএ খতিয়ানটি ত্রুটিপূর্ণ। এসএ খতিয়ানের ১৯৯৩ সালের কপিতে দেখা যায়, আলোচ্য জমির দাগ নম্বর ছিল ৩৮১। কিন্তু ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই দাগ নাম্বার হয়ে গেছে ৩০১। এই কাজটি আবু তালেব ভূমি অফিসের লোকদের ঘুষ দিয়ে করিয়েছে। কারণ আমার কাছে আগের ও বর্তমান খতিয়ান এখনো সংরক্ষিত আছে।
আজিজুল হক বলেন, ‘গত বছর পবা উপজেলার ৯ নম্বর পারিলা ইউনিয়ন পরিষদে একই অভিযোগ করেছিলেন আবু তালেব। কিন্তু সেখানে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। কারণ সব কাগজপত্র দেখে আমার পক্ষে রায় দেয় ইউনিয়ন পরিষদ।’
সম্পর্কিত খবর

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটি কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক বলেছেন, ‘যে আওয়ামী লীগের হাতে আমার হাজারো ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে সে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মানুষ দেখতে চায় না।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে সিলেট নগরের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
‘গণহত্যায় সরাসরি জড়িত আওয়ামী লীগকে নতুন মোড়কে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে’ দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
।
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পর হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন- লিটন হাওলাদার, হোসেন মাতাব্বর, কাশেম বেপারী, মোস্তফা, মো. হেলাল, মো. কাউছার, ইসারুল্লা, মুর্তজা মাহি, জয়নালসহ ১০ জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপির ৩ নেতা জানায়, ফেসবুকে একটি পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল বাছেদ হাওলাদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে ঘটনার সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দার বলেন, বিএনপির লোকজন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ এবং মাদকের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে।
তিনি বলেন, হাওলাদার পরিবার (বিএনপি নেতা বাছেদ হাওলাদার) আওয়ামী লীগের সময়ও সুবিধা নিতেন, এখন বিএনপির সময়ও সুবিধা নিচ্ছে- এ ধরনের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমাদের লোকজনের ওপর এ হামলা করেছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল বাছেদ হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি।
রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, হাওলাদার ও সরদার পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপির দলীয় বিরোধে ঘটেনি।
হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের শূন্যরেখা সীমান্ত সংলগ্ন ভাজাবুনিয়া গ্রামের চিতারখূমে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (২০), ঘুমধুম ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল কবিরের ছেলে। গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল। পুলিশের এই পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জানান, আহত যুবক বর্তমানে চিকিৎসাধীন, তার বাম পায়ে দুটি গুলি লেগেছে।
আহতের পরিবার বলছে, জাহাঙ্গীর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় চাষাবাদের জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন।
তবে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, যে এলাকায় জাহাঙ্গীর আহত হয়েছেন সেখানে সীমান্তের চোরাকারবারিদের আনাগোনা আছে।
অন্যদিকে মায়ানমার অংশের পুরো সীমান্ত এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে আসছে রাখাইনে জান্তার সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে থাকা জান্তার অধীনস্থ মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের দুটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট দখল করে।
এ ছাড়াও সীমান্তের মায়ানমার অংশে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতার তথ্যও পাওয়া যায়। কাদের ছোঁড়া গুলিতে ওই যুবক আহত হয়েছে সে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হেলিকপ্টারে পালানোর মতো লজ্জাজনক ঘটনা আর নেই : ফজলুল হক মিলন
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর

বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলন বলেছেন, আমরা বলেছিলাম, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা তা করলেন না। সর্বশেষ ২৪ সালে যে নির্বাচন করল, তারা ভেবেছিল, এই নির্বাচনে ৫/৬ বছর ক্ষমতায় থাকবে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় বাঘুন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় পবিত্র মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিলন এসব কথা বলেন।
কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক নয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মাষ্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আহসান মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান লাভলু, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাঠান মিঠু, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, জামালপুর কলেজের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন মোল্লাসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।