ফাঁসির আসামিরাও এখন সাধারণ ওয়ার্ডে

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
ফাঁসির আসামিরাও এখন সাধারণ ওয়ার্ডে
সংগৃহীত ছবি

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৮৫ আসামিকে কনডেমড সেল থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রায় এসেছে কিছুটা স্বস্তি। আগে ৬ ফুট বাই ৬ ফুটের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তিনজন করে গাদাগাদি করে থাকতে হতো এই আসামিদের। এখন তারা সাধারণ কয়েদিদের মতোই আলাদা কক্ষে থাকছেন।

কারাবিধি অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেমড সেলে রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি একটি রেওয়াজ হিসেবে চলে আসছিল। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডের সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কনডেমড সেলে রাখা যাবে না। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল কারাগারে ফাঁসির আসামিদের সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বরিশাল কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেমড সেল থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা এখন সাধারণ কয়েদি ও হাজতিদের মতোই থাকছেন। কারাগারে তাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

কারাগারে থাকা এক ফাঁসির আসামি বলেন, কনডেমড সেলে থাকা মানে মৃত্যুর আগে আরেক মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করা।

এখন সাধারণ ওয়ার্ডে থাকায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।

২০০১ সালে স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অলি উদ্দিন বাঘা বলেন, ২১ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পর গ্রেপ্তার হয়েছি। কনডেমড সেলে থাকার সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। এখন সাধারণ ওয়ার্ডে থাকায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।

হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স, আপিল, রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মতো সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কনডেমড সেলে রাখা যাবে না।

এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল কারাগারে ফাঁসির আসামিদের সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বরিশাল কারাগারে বর্তমানে ৪৩১ জন হাজতি ও ৪৩৮ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৩৫০ জন কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে ১২ মামলার আসামী রিয়াদ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনি
শেয়ার
কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে ১২ মামলার আসামী রিয়াদ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ১২টি মামলার আসামি মো. রাকিবুল হাসান রিয়াদ (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রবিবার (১৬ মার্চ ) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কুমিল্লা র‌্যাব- ১১।

এর আগে, শনিবার রাতে র‌্যাবের একটি অভিযানে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার আমতলী এলাকায় থেকে ৩ হাজার ৭৫০পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মাদক পরিবহণে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. রাকিবুল হাসান রিয়াদ কুমিল্লার বালুতুপা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাসহ ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব- ১১ এর উপ-পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম (বিপিএম) জানান, গ্রেপ্তার রাকিবুল হাসান রিয়াদ দীর্ঘদিন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের কাছে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। শনিবার দিবাগত রাতে র‌্যাবের নিয়মিত অভিযানে তাকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 

মন্তব্য

মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যা বললেন আবরারের মা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
শেয়ার
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যা বললেন আবরারের মা
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন। তিনি দ্রুত রায় কার্যকর ও পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে আজ রবিবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতকক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের রায় শোনার পরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন, দাদা আব্দুল গফুর বিশ্বাস, মেজ চাচি নিলুফা ইয়াসমিন ও সেজ চাচি মমতাজ বেগমও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন
ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৫, ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও

ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৫, ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও

 

শহীদ আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট আজ যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। শুধু আমরা না, সারা দেশের মানুষও সন্তুষ্ট।

২০২২ সালের রায় বহাল রয়েছে। প্রথম যখন রায় ঘোষণা করা হয়েছিল, সে রায়েও দেশবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছিল। আমি বর্তমান সরকার, বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্টরা, ছাত্রজনতা, সাংবাদিক ও দেশবাসীর সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মৃত্যুর চার বছর পরেও আমার সন্তানকে কেউ ভুলে যায়নি।
সবাই আমার আবরারকে মনে রেখেছে, কেউ ভুলে যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান র‍্যাগিং মুক্ত থাক। বর্তমানে যেমন জুলুম অত্যাচার নেই। তেমন যেন সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমসময় নিরাপদ থাকে। ভবিষ্যতে যেন আমার মতো কাউকে সন্তান হারাতে না হয়।

শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন লক্ষ্য যেন ধ্বংস না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যে রায় হয়েছে, সেটা দ্রুত কার্যকর করা হোক। যাতে আবরারের মতো কাউকে জুলুম অত্যাচার করতে না পারে কেউ। এরকম কাজ করার কেউ সাহস না পাই। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উচিৎ শিক্ষার্থীদেরকে ছেলের মতো করে দেখা। পিতামাতার মতো শাসন করতে হবে।’

আরো পড়ুন
মদন পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মদন পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)। 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

আরো পড়ুন
বইটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, সম্পূর্ণ গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস না : আসিফ মাহমুদ

বইটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, সম্পূর্ণ গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস না : আসিফ মাহমুদ

 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামা।  

আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন।

আবরার কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বর্তমানে বুয়েটে মেকানিক্যাল বিভাগে অধ্যায়নরত।

মন্তব্য

নরসিংদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী প্রতিনিধি
শেয়ার
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

নরসিংদীতে সাদ্দাম হোসেন (৩) নামের এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে সদর উপজেলার শীলমান্দি বিলপাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সাদ্দাম। সে বিলপাড় এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, নিহত শিশুটির বাবা একজন প্রবাসী। শিশুটির বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হওয়ার পর আরেক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তিনি বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি নিখোঁজ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

আজকে যেখান থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার হয়েছে। 

আরো পড়ুন
মসজিদের কার্নিশ ভেঙে যাওয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

মসজিদের কার্নিশ ভেঙে যাওয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

 

তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তরা লাশটি ফেলে গেছে। লাশটির শরীর ফুলে পচন ধরে গেছে। শিশুটির তো কোনো শত্রু থাকতে পারে না।

কেউ হয়তো নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শিশুটিকে বলির পাঠা বানিয়েছে। আমরা সবগুলো বিষয় আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।’

পুলিশ সুপার আরো জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ ডায়েরিটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য

লাকসামে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
লাকসামে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

কুমিল্লার লাকসামে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় এ উপলক্ষ্য উপজেলার পৌর শহরের বিএস টাওয়ারের স্ক্যান লাউঞ্জে কেক কাটা, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিদিনের লাকসাম প্রতিনিধি ফারুক আল শারাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, কালের কণ্ঠ'র লাকসাম প্রতিনিধি মো. মুজিবুর রহমান দুলাল, ইত্তেফাক সংবাদদাতা মো. আবদুল কুদ্দুস, লাকসাম প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক মনির আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফুর রহমান স্বপন, সদস্য মিজানুর রশীদ, ডিবিসি নিউজর কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মানবজমিন পত্রিকার লাকসাম প্রতিনিধি মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ