রাজশাহীতে ইটবোঝাই ট্রলির নিচে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজশাহী নগরীর বিমানবন্দর থানা বায়া বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা হলেন মেম জান (৬০)। তিনি এয়ারপোর্ট থানার বায়া বটতলা এলাকার মফিজ উদ্দিন (পচার) স্ত্রী।
রাজশাহীতে ইটবোঝাই ট্রলির নিচে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজশাহী নগরীর বিমানবন্দর থানা বায়া বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা হলেন মেম জান (৬০)। তিনি এয়ারপোর্ট থানার বায়া বটতলা এলাকার মফিজ উদ্দিন (পচার) স্ত্রী।
ওসি ফারুক হোসেন বলেন, বায়া বটতলা সরকার কোল্ড স্টোরের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় মেম জান ইটের ট্রলির নিচে পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সরকারি একটি বিলের মাছ ধরা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিনভর দফায় দফায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়িসহ মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষই অস্ত্রের মহড়া দেখিয়েছেন।
দুপুর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় পাল্টাপাল্টি অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তালতলা এলাকায় সরকারি একটি বিলের মাছ ধরা নিয়ে জেলা বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ও মহাদান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল ও মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের (লিটন) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল আউয়ালের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই বিলে মাছ ধরতে যান।
এরপর থেকে থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে মহড়া চলে। এরপর উভয় পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের কয়েকটি দোকানপাট, বসতবাড়ি ও মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুর করেন।
বিএনপি নেতা আনোয়ার উস সাদাত লাঞ্জু, ইসহাক মেম্বার, ইসমাইল হোসেন লিটনসহ অনেকেই অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা বিএনপির জলাবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল ও তার ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আনোয়ার উস সাদাত লাঞ্জু, ইসমাইল হোসেন লিটন, ইসাহাক আলীর একটি পক্ষ সরকারি তালতলার বিল থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিএনপি সর্মথিত জেলে হাসমত আলী, মিজানুর রহমান মিজানসহ অনেক জেলে বঞ্চিত হচ্ছে।’ বঞ্চিত জেলেরা মাছ ধরতে গেলে উল্টো তাদের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি তার।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকেই ওই ইউনিয়ন দুইটি পক্ষের মধ্যে পারিবারিক রেষারেষি হয়ে আসছিল।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরিষাবাড়ী ও সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতিটি কৃষকের আবাদ করা বোরো ধানক্ষেত রক্ষায় পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে মারা গেছে।
শেরপুর বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন বন বিভাগের লোকজন। সেই সঙ্গে ইআরটি (এলিফেন্ট রেসপন্স টিম) সদস্যরাও গেছেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মধুটিলা রেঞ্জে গত কয়েকদিন ধরে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। স্থানীয় কৃষকরা আবাদ করা ফসল রক্ষার জন্য জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বৈদুুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখেন। এতে ভয়ে বন্য হাতির দল ধানক্ষেতে আসে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধার পর প্রায় ২০টি বন্যহাতির একটি দল পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগর এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুলের বোরো ধানের ক্ষেতে খাবারের সন্ধানে হানা দেয়। একপর্যায়ে ক্ষেতের পাশে থাকা বৈদ্যুুতিক লাইনের স্পর্শে এলে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন যখন দক্ষিণের জনপদ বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় ঠিক সেই সময়ে বরগুনার বেতাগীর বুকে জেগে ওঠা নতুন নতুন চর।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের বিষখালী নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি চর; স্থানীয়দের কাছে ‘ঝোপখালীর চর’ নামেই এটি পরিচিত। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার জীববৈচিত্র্য। রয়েছে পাখির অভয়ারণ্য।
নদীর মাঝে জেগে ওঠায় জোয়ারের সময় চরটি পানিতে প্রায় পরিপূর্ণ থাকে। নৌকায় করে উপভোগ করা যায় এখানকার পাখির কলতান ও চরের সবুজের সমারোহ।
বিষখালী নদীর বুক চিরে আগামী দশকে এখানে আরো ভূমি জেগে ওঠার আশা করছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। নদীর অব্যাহত ভাঙনে এখনকার ব্যাপক পরিমাণ ভূমি যেভাবে বিলীন হচ্ছে, তেমনিভাবে চারপাশে যেভাবে চর জেগে উঠছে তা আশাই জাগাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এই চরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা অনেকের কাছেই অজানা।
এসব চরের অধিকাংশই বেদখলে রয়েছে। তবে এসব চরের সমভূমিতে জনবসতি গড়ে ওঠার পাশাপাশি চাষাবাদ, নতুন নতুন বনায়ন করতে পারলে নদীর ভাঙন কিছুটা রোধ পাবে। স্থানীয়দের দাবি, এজন্য প্রশাসনের উদ্যোগ জরুরি।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের জেলা সন্বয়কারী হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি ঘেষেই প্রচুর সম্ভবনাময় এ স্পটটি এখনো উন্মোচিত হয়নি।
বেতাগী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোরঞ্জন বড়াল বলেন, ‘মানুষকে সচেতন এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে উদ্যোগী করে তুলতে পারলে এখানে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে উঠবে। এ থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে পারে।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, ‘পাখিদের আশ্রয়স্থল ঝোপখালী চরকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া অবৈধ দখলে থাকা খাস জমিগুলো উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জাফর হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সামন্তা গ্রামের জীবননগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাফর হোসেন ওই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। জাফর স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জাফরকে হত্যার পেছনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছেন।
কাজীড়বেড় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা সাইদুর রহমান জাফরকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন।
যদিও অভিযোগের বিষয়ে জানতে জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।