নেত্রকোনায় গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ

আঞ্চলিক (প্রতিনিধি) নেত্রকোনা
আঞ্চলিক (প্রতিনিধি) নেত্রকোনা
শেয়ার
নেত্রকোনায় গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে নেত্রকোনার আটপাড়ায় নূরজহান বেগম (৪৮) নামের এক গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহত নূরজাহানের স্বামী, সন্তান ও শাশুড়ি আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার অভয়পাশা ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নূরজাহান ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক দম্পতিকে আটক করেছে। আটক হওয়া দম্পতি হলেন ওই গ্রামের লাল মিয়া (৬৬) ও মঞ্জুরা বেগম (৫৮)। 

নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহতের স্বামী বাবুল মিয়ার সঙ্গে তার মামা লাল মিয়ার পরিবারের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারা পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন।

জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে লাল মিয়ার দুই ছেলে মাসুদ মিয়া (৪০) ও এরশাদ মিয়া (৩৮) বাবুল মিয়ার ঘরে ঢুকে হামলা চালান। এ সময় তারা সাহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হামলাকারীরা বাবুল মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার সময় বাবুল মিয়ার স্ত্রী নূরজাহান বাধা দেন। এ সময় তারা নূরজাহানকে জবাই করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ দৃশ্য দেখে পাশের কক্ষে থাকা বাবুল মিয়ার ছেলে মারুফ মিয়া (১৮) ও তার বৃদ্ধ মা এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। 

পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূরজাহানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাবুল মিয়া, তার ছেলে ও মা ভর্তি আছেন। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লাল মিয়া ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে।

নেত্রকোনা পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (প্রশাসন) দায়িত্বে থাকা সাহেব আলী পাঠান বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লাল মিয়া ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
শেয়ার
মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশ পাড়ায় নাবালক ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা কে এম রিন্টু (৫২) নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। নিহত রিন্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার মৃত কাজী নূর মোস্তফার ছেলে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, মোবাইল আসক্ত ছেলে কে এম রিফাতকে (১৭) মোবাইল ফোনে গেমস খেলতে বাধা দেওয়ায় রিফাত ক্ষুব্ধ হয় এবং শনিবার রাতে এশার নামাজরত অবস্থায় রিফাত তার বাবাকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহত রিন্টুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ পলাশ পাড়ায় রিন্টুর বাড়িতে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

 

মন্তব্য

‘জিএম কাদেরকে ফোন, আপনি ঢাকা গেলেই অ্যারেস্ট হবেন’

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
‘জিএম কাদেরকে ফোন, আপনি ঢাকা গেলেই অ্যারেস্ট হবেন’
ছবি: কালের কণ্ঠ

গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘আমাকে ঢাকা থেকে আজকে একজন বলেছে, আপনি ঢাকা গেলেই আপনাকে অ্যারেস্ট করা হবে। রংপুরে লোকের সামনে সরকার আপনাকে অ্যারেস্ট করতে পারবে না। এটাকে আমি আমার অন্তর থেকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছিলাম। আমি অ্যারেস্ট হওয়ার জন্য ভয় করিনা এবং আমার কাছে এটি ভালো লেগেছে যে রংপুরের লোক সব সময় সত্যের পথে থাকে।

শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

জিএম কাদের বলেন, সারা দেশ একদিকে, রংপুরের লোক আরেকদিকে গিয়ে এরশাদ সাহেবকে রক্ষা করেছেন। ওরা গতানুগতিক ধারায় গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয় না।

সত্যের পথে দাঁড়ায়। তারা দেখিয়েছে যখন এরশাদ সাহেবকে নিয়ে আন্দোলন করা হয়।

জিএম কাদের বলেন, উই ডোন্ট মাইন্ড। তোমরা জনসম্মুখে থাকো।

কারণ তোমাদের যেন মানুষ ভুলে যায়। এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তারা পাঁয়তারা করছে। এসব পাঁয়তারা আমরাও ওয়াকিফহাল আছি। এসব পাঁয়তারা মোকাবেলা আমরা জীবন দিয়ে হলেও করব। যেখানেই আমাদের বাধা দেওয়া হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
জীবন দিয়ে হলেও সেটা আমরা করব।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিকে বাদ দিলে অর্ধেক লোক নিয়ে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন কখনো অবাধ সুষ্ঠু বলা যাবে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দল, যেগুলো বৈধ রাজনৈতিক দল, তাদেরকে নিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন দিতে হবে।

মন্তব্য

গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের সালথায় ডাল কাটতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে মো. মিলন ফকির (৪৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. রেজাউল মাতুব্বর (৩৪) নামে আরো এক শ্রমিক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিলন ফকির একই উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় লক্ষনদিয়া গ্রামের মৃত মহের ফকিরের ছেলে। আহত রেজাউল একই গ্রামের রব মাতুব্বরের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানান, নিহত মিলন ও আহত রেজাউল দীর্ঘদিন ধরে গাছ কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছেন। শনিবার সকালে তারা মাঝারদিয়া চরপাড়া এলাকায় গাছ কাটতে যান।

বিকেলে মিলন একটি গাছে উঠে ডাল কাটতে ছিলেন। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে নিচে থাকা অপর শ্রমিক রেজাউলের মাথার ওপর পড়ে। এতে তারা দুজনই আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর আহত রেজাউল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ওসি তদন্ত মারুফ হাসান রাসেল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের নৌকাডুবি, ৪ মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের নৌকাডুবি, ৪ মরদেহ উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফের মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নৌকাডুবির ঘটনায় নাফ নদী থেকে চার রোহিঙ্গা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার (২২ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২৫ জন রোহিঙ্গা জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তবে নিখোঁজ রোহিঙ্গার সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, ‘রোহিঙ্গাদের একটি দল অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া সংলগ্ন সাগরে নৌকাডুবি হয়। নৌকা ডুবির খবর পেয়ে সৈকতের পাশ্ববর্তী স্থানে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তাৎক্ষণিক স্থানীয় জেলেদের নৌকা নিয়ে উদ্ধার করতে নেমে ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এতে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেওয়া এক বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হন।

শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আরমান বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে সৈকতের দিকে হাঁটতে যায়।

এসময় রোহিঙ্গাদের একটি দলকে সাঁতরে কূলের দিকে উঠে আসে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু ছিল। রোহিঙ্গাদের ওই নৌকাটি মিয়ানমার থেকে আসছিল। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের অনেকে বলতে শুনা গেছে তাদের ২০ থেকে ২৫ জন লোক ডুবে গেছে।
 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, অনুপ্রবেশের সময় সাগরে একটি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়ে বিজিবির এক সদস্য নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জেনেছি। সাগরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে নৌকা ডুবির ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকত এলাকায় চার জনের মৃতদেহ ভেসে আসে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন শিশু।

তবে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য এখনো উদ্ধার হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ