সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল

নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব
ছবি : ভিডিও থেকে সংগৃহীত

জনগণের নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। 

শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

এতে দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে নির্বাচন, জাতীয় ঐক্য ও সংস্কার ইস্যু নিয়ে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এই দেশ ও দেশের মানুষের মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য ও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

এই ঐক্যকে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। আমরা এমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না যাতে এই ঐক্য বিনষ্ট হয়। সুতারং অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা। 'নির্বাচন আগে সংস্কার পরে' কিংবা 'সংস্কার আগে নির্বাচন পরে' এমন অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি চার্টার অব রিফর্ম-সংস্কার সনদ তৈরি হতেই পারে।

নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করবে। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় হল একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করবে। জনগণের নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোন কোন উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা প্রকার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো যে বিষয়গুলো প্রস্তবাকারে আসতে পারতো তা প্রস্তাব না রেখে প্রশ্ন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন, প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না? হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কিনা? একইভাবে 'গণভোট', 'গণপরিষদ এবং আইন সভা' হিসাবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কিনা ইত্যাদি হ্যাঁ না বলুন। সংবিধানের 'প্রস্তাবনার' মত অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি। স্প্রেডশিটে ৭০টির মত প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশ সংখ্যা প্রায় ১২৩টির মত। একইভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে ১৫০টির মত সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশিটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই আমরা মনে করছি— স্প্রেডশিটের সাথে মূল সুপারিশমালার ওপর আমাদের মতামত সংযুক্ত করে দিলে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে।

তিনি আরো বলেন, সুপারিশমালা সমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে যা অনভিপ্রেত। সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব অবমূল্যায়ন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলশ্রুতিতে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ সমূহ পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাংতেয় এবং অনির্বাচিত লোকদেরই দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়। জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি ও ধর্মবোধ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে সমুন্নত রেখে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সকল সংস্কার প্রচেষ্টা পরিচালিত হবে এটাই জাতীয় প্রত্যাশা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জনগণ আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি : তারেক রহমান

বাসস
বাসস
শেয়ার
জনগণ আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি : তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘একটি পরিবর্তনের জন্য জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন দিয়েছে বলেই স্বৈরাচার মাফিয়া বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। এখন জনগণের ইস্যুগুলো নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত। এটাই রাজনীতি।

আসুন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সকলে মিলে কাজ করি।’

তারেক রহমান আজ রবিবার রাজধানীর পুরনো পল্টনে ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে লন্ডন থেকে ‘ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
 
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ছিলো তখন গণতন্ত্রের পক্ষের সকল দলগুলো পলাতক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে রাজপথে ছিলাম। সেই সকল গণতন্ত্রমনা দলগুলো একসঙ্গে মিলে ২ বছর আগে জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিলাম।

কারণ, আমরা দেখেছিলাম পলাতক স্বৈরাচার কিভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছিল। সবচেয়ে প্রথমেই যেটা ধ্বংস করেছিল সেটা হলো দেশের নির্বাচনব্যবস্থা।’ 

পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশের সকল সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল; সেগুলো ফের মেরামত করতে হবে। কারণ, আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে দেশের জনগণ।

রাষ্ট্রের এই কাঠামোগুলো যদি আমরা মেরামত করতে না পারি দেশটাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারব না। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের চারপাশে সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। সকলকে সম্মান রেখেই বলতে চাই; অনেকেই সংস্কার নিয়ে অনেক কিছুই বলছেন। বাংলাদেশের সবকিছুতে যে সংস্কার প্রয়োজন সেটি সবচেয়ে আগে আমাদের দল বিএনপি বলেছে।

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল লাখ-লাখ মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। এরপর বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করেছে অনেকেই। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জনমনের সমর্থন ছিল বলেই মাফিয়া স্বৈরাচারকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। এই যে জনগণ রাজপথে বেরিয়ে এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশে এসে দাড়িঁয়েছে, সবাই মনে করেছে একটা পরিবর্তন জরুরি, এটাই নতুন দেশ গঠনের স্বপ্নকে তরান্বিত করে।’

সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আলোচনা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন ব্যক্তি কতোবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছি। সংস্কারের যে বিষয়গুলো নিয়ে মিডিয়া গরম সেই বিষয়গুলো পরিবর্তন বা পারিমার্জন হলে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলো উপকৃত হবে। কিন্তু দিন শেষে যারা আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি সেই জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো নিয়ে আমাদের কি কথা বলা উচিৎ না? অবশ্যই উচিৎ। কারণ, তারাই (জনগণ) আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায়, হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে পৌঁছানোর জন্য অসুস্থ্য আপনজনকে নিয়ে কতোক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য। সেই এ্যাস্বুলেন্সটি কতো দ্রুত এসে ওই অসুস্থ মানুষটিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেবে সেটাই নিশ্চিত করা রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব। দেশের জনগণ এটাই প্রত্যাশা করে। তাই আসুন আমরা সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা শুরু করি।’

মন্তব্য

আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া।

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

রবিবার রাতে মোহাম্মদপুরে এ মিছিল করে দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

আরো পড়ুন
সেনাপ্রধানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না : জিল্লুর রহমান

সেনাপ্রধানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না : জিল্লুর রহমান

 

মিছিলের পর সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসেন।

তিনি বলেন, আ. লীগ পালিয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলাপ নেই। যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় আগামীদিনে তাদের সঙ্গে আমাদের লড়াই হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে ভালো বলে কিছুই নেই। কাজেই জুলাই গণহত্যাসহ গত ১৫ বছরে করা আওয়ামী লীগের সকল অপরাধের বিচার করতে হবে।

দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন কিংবা এ সংক্রান্ত আলোচনা ছাত্র-জনতা মানবে না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘অপরাধে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা হচ্ছে’

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘অপরাধে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা হচ্ছে’
ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব হাজী জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের নামের তালিকা হচ্ছে এবং কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাকর্মীরা বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় নির্দেশনায় দিয়ে গেছেন।’

রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বাকশীমূল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে এতিম শিশুদের সাথে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন
‘বিএনপির বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে’

‘বিএনপির বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে’

 

হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, তারা (কেন্দ্রীয় নেতারা) বলে গেছেন বিএনপির কেউ যদি চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, লুটপাট, মাদক, মাটিকাটাসহ অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে তাহলে তাদের নামের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারাম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে।’

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বাকশীমূল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম ও বুড়িচং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রহিম খান লিটন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দেশ-বিদেশের যারা নির্বোধ তারা আমার কথা বুঝবে না : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশ-বিদেশের যারা নির্বোধ তারা আমার কথা বুঝবে না : মির্জা আব্বাস
ফাইল ছবি

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘দেশে কিংবা বিদেশে যারা নির্বোধ আছে, তারা আমার কথা বুঝবে না। আমি বলেছি, এই সরকার যে সংস্কার লিখে দেবে, আমরা সেগুলো কারেকশন করবো। রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ঐকমত্যে আসব, তারপরেই আমরা সেটাকে মানবো। এটাকে বিকৃত করে ওরা লিখেছে আমি নাকি কিছুই মানি না।

রবিবার বিকালে পুরানা পল্টনের তোপখানা রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে প্রয়াত ফটো সাংবাদিকদের স্মরণ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।  

আরো পড়ুন
৯ এপ্রিল থেকে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু

৯ এপ্রিল থেকে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি বলে সত্য কথা স্বাধীনভাবে বলতে পারবো না? এটা হতে পারে না। আপনারা যারা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলেন, তা আমরা অর্জন করে দিয়েছি। জেলে থেকে পঁচে-পঁচে, নিজের পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়ে, সেই অধিকারটা অর্জন করে দিয়েছি।

দীর্ঘ সময় আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি, কারাগারে কাটিয়েছি, একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি। আজ এই সময়ে এসে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে নানা বাহানা করছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। দেশবাসীকে তাদের প্রতি সজাগ থাকতে হবে।’

সত্য প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের কাজ মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে উচ্চ কণ্ঠে কথা বলাই প্রকৃত সাংবাদিকতা।

দেশে থেকে কারা ষড়যন্ত্র করে এবং দেশের বাইরে থেকেও কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, দেশকে কারা পেছনে নিয়ে যেতে চায়; সেসব কুশীলবদের নাম গণমাধ্যমে তুলে ধরুন, জাতিকে জানান।’

অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মো. দেলোয়ার হোসাইন। আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ বি এম রফিকুর রহমান প্রমুখ।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ