ঢাকা, বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬

স্ত্রীসহ নামাজরত অবস্থায় হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্ত্রীসহ নামাজরত অবস্থায় হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত
ছবি: কালের কণ্ঠ

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার সালাহ আল বারদায়েল নামে এক নেতা নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৩ মার্চ) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি তাঁবুতে স্ত্রীসহ নামাজরত অবস্থায় তারা নিহত হন। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।

হামাস নেতাদের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নূর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বারদায়েলের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে নামাজরত অবস্থায় খান ইউনিসে বারদায়েলের তাঁবুতে মিসাইল হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে সালাহ আল বারদায়েল ও তার স্ত্রী শহীদ হন। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বারদায়েল ও তার শহীদ স্ত্রীর রক্ত, মুক্তি ও স্বাধীনতার যুদ্ধে সৈনিকদের শক্তি জোগাবে।

সন্ত্রাসী শত্রুরা যোদ্ধাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
আজ হাসপাতাল ছাড়ছেন পোপ ফ্রান্সিস

আজ হাসপাতাল ছাড়ছেন পোপ ফ্রান্সিস

 

সম্প্রতি ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা, হাসপাতাল, স্কুল এবং মসজিদে হামলা শুরু করেছে।

এর পর থেকে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে সংঘর্ষ স্পষ্টভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকবে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : মস্কো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকবে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : মস্কো
জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি : এএফপি

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রটি একটি রাশিয়ান স্থাপনা ছিল এবং এর নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেন বা অন্য কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করা অসম্ভব। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মন্তব্য করেছে। মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, যৌথভাবে কেন্দ্রটি পরিচালনা করা গ্রহণযোগ্য নয় কারণ স্টেশনের ভৌত এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে।

এতে বলা হয়েছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলটি আংশিকভাবে রাশিয়ান বাহিনী নিয়ন্ত্রিত করে।

এটি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের মধ্যে একটি, যে অঞ্চলটি ইউক্রেনে মস্কো পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের সাত মাস পরে অনুষ্ঠিত গণভোটের ভিত্তিতে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল। এরপর প্রেসিডেন্টের একটি ডিক্রি আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেশনটিকে রাশিয়ার সম্পত্তিতে যোগ করেছিল। 

পশ্চিমা দেশগুলো এই গণভোটকে প্রতারণা বলে উড়িয়ে দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার পারমাণবিক খাতে স্টেশনটি ফিরিয়ে আনা একটি সাফল্য।

জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টটি ইউক্রেন বা অন্য কোনও দেশের নিয়ন্ত্রণে হস্তান্তর করা অসম্ভব।’

আগ্রাসনের শুরুতে রাশিয়ান বাহিনী স্টেশনটি দখল করে নেয় এবং তারপর থেকে প্রতিটি পক্ষই নিয়মিতভাবে অন্য পক্ষকে এই প্লান্টে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ করে আসছে। ছয়টি চুল্লিসহ ইউরোপের বৃহত্তম এই প্ল্যান্টে আক্রমণের  ফলে নিরাপত্তার হুমকিতে পড়ছে।

আরো পড়ুন
সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যার অভিযোগ

সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যার অভিযোগ

 

সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যার অভিযোগ

যদিও প্ল্যান্টটি এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সেখানে পর্যবেক্ষক মোতায়েন করেছে।

যেমনটি তারা সকল ইউক্রেনীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে করে থাকে। 

ইউক্রেন স্টেশনটিকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার এই অধিগ্রহণকে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এই মাসে তার ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষ ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। কথোপকথনের সময় তিনি বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় সহায়তা করতে পারে অথবা এর মালিকানা পেতে পারে।

জেলেনস্কি বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ইউক্রেনীয় জনগণের।

তিনি আরো জানান, তিনি এবং ট্রাম্প বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সম্ভাব্য মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যার অভিযোগ
ছবিসূত্র : আরএসএফের শেয়ার করা ফুটেজ থেকে সংগৃহীত/ বিবিসি।

সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের একটি বাজারে বিমান হামলায় শত শত মানুষকে হত্যার জন্য সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সুদানের গৃহযুদ্ধে উভয় পক্ষের নির্যাতনের নথিভুক্তকারী জরুরি আইনজীবী গোষ্ঠী বলেছে, তুর'রা বাজারে বোমা হামলা একটি ‘ভয়াবহ গণহত্যা’।  যার ফলে শত শত আহতও হয়েছে।

সেনাবাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।

পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে বাজারে মৃতদেহগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশগুলো চেনা যাচ্ছে না। হামলায় মার্কেটের বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মার্কেটের ধ্বংসাবশেষ থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে।
 

সেনা-অধিকৃত এল-ফাশার শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২১ মাইল) উত্তরে অবস্থিত এই বাজারে হামলায় নিহতের সংখ্যা বা সঠিক তারিখ বিবিসি নিশ্চিত করতে পারেনি। দারফুরের একটি কর্মী গোষ্ঠী ‘দারফুর ইনিশিয়েটিভ ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস’ গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে। একে তারা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক বোমা হামলা বলে অভিহিত করেছে। 

আরো পড়ুন
মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

 

একজন সামরিক মুখপাত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, তারা কেবল বৈধ শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির নৃশংস গৃহযুদ্ধে যুদ্ধ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বোমা হামলা এবং গোলাবর্ষণে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু তীব্র হয়েছে।

সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আরএসএফ উভয়ের বিরুদ্ধেই বারবার বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আরএসএফ দারফুরে ড্রোন মোতায়েন করেছে, কিন্তু সেনাবাহিনীর হাতে যুদ্ধবিমান রয়েছে এবং তারা নিয়মিতভাবে অঞ্চলজুড়ে আরএসএফ অবস্থানগুলোতে হামলা চালায়। সেনাবাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একটি আধাসামরিক গোষ্ঠী, যা দারফুরের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। 

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, দুর্ভিক্ষ এবং ক্ষুধা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লড়াইয়ে কমপক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

তবে আরএসএফ দারফুরে গণহত্যা চালাচ্ছে এমন প্রমাণ অস্বীকার করেছে। যার মধ্যে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং ‘জাতিগত নির্মূল’ করার জন্য আরব নয় এমন নারীদের ধর্ষণ অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘের মতে, সুদান বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর
ছবি : এএফপি

ইউক্রেনে সার্বিক যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে একমত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে, সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। তার আগে ইউক্রেনের সঙ্গেও আলোচনা হয় মার্কিনিদের।

সেখান থেকেই কৃষ্ণ সাগর গিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না করার বিষয়ে পৃথকভাবে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

যদিও বৈঠক চলাকালেও একে-অপরের ওপর ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছিল মস্কো ও কিয়েভ।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার রোধ করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষই।’

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেন।

এসব হামলার কারণে এক পর্যায়ে ক্রিমিয়ার নৌঘাঁটি থেকে বেশ কিছু জাহাজ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় মস্কো।

ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে রাশিয়া আক্রমণ চালালেও এখনো ওডেসা অঞ্চলের প্রধান তিনটি সমুদ্রবন্দর থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে শস্য, লোহা ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে যাচ্ছে কিয়েভ।

তবে যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান রপ্তানি কেন্দ্র মাইকোলাইভ বন্দর এখনো বন্ধ আছে।

এ কারণেই চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে নৌ ও আকাশপথে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মন্তব্য

৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা
সংগৃহীত ছবি

প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন জাপানি এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অবশেষে তাঁকে ক্ষতিপূরণসহ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

৮৯ বছর বয়সী ইওয়া হাকামাতাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ২১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ক্ষতিপূরণ প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি।

হাকামাতার আইনজীবীদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জাপানের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারি মামলার জন্য এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ।

১৯৬৮ সালে হাকামাতা তাঁর বস, বসের স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত বছর নতুন করে মামলাটি পর্যালোচনা করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।

হাকামাতার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ৪৭ বছর কারাগারে থাকার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

বিচারক কুনি কোশি সোমবার ওই ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন এবং স্বীকার করেন যে, হাকামাতা অত্যন্ত গুরুতর মানসিক ও শারীরিক কষ্ট ভোগ করেছেন।

হাকামাতাকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ প্রদান করবে জাপান সরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এটিকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

হাকামাতার মামলা জাপানের দীর্ঘতম ও অন্যতম আলোচিত বিচারিক ঘটনা। ২০১৪ সালে তাঁর মামলাটি পুনরায় বিচারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তখনই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই মামলাটি যারা তদন্ত করেছিলেন, তাঁরাই হাকামাতাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে ফাঁসিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।

এ অবস্থায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর শিজুওকার একটি আদালতে বিচারক হাকামাতাকে খালাস দিলে, সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষ ‘বানজাই’ (হুররে) বলে উল্লাস প্রকাশ করেন।

তবে মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনের সেই শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি হাকামাতা।

এই মামলা জাপানের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে পুনঃবিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগের বিষয়ে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ