কক্সবাজারে জাফর আলম নামে এক মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় আট মাস আগে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মামলার আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
গত বছরের ৪ আগস্ট কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৭৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় ৫২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) এনামুল হক নামের এক ছাত্র প্রতিনিধি বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বাদী এনামুল হকের স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের বাঁশখালী হলেও তিনি বর্তমানে কক্সবাজারে বসবাস করছেন।
মৃত জাফর আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাবা জাফর আলম ঈদগাঁও উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৬ জুন তার অপারেশন হয়। এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেলে তিনি মারা যান। অথচ তার নাম মামলার আসামির তালিকায় দেখে আমরা হতবাক।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, ‘এমন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত করে মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হবে।
’
এদিকে মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাকে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের আরো ৫২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।