২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে মৃত ৫০ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ২০০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার ঢাকার জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এদিন সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করেন।
এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়, পরে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরো পড়ুন
স্মৃতিসৌধে আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, জনতার ধাওয়া খেয়ে দৌড়
অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কোনো বিনিময় হয় না। মুক্তিযোদ্ধারা যারা বেঁচে আছেন, তারা আমাদের সম্পদ। তারা আমাদের মাথার তাজ। মুক্তিযোদ্ধাদের নিঃস্বার্থ ত্যাগে আমাদের দেশ গঠিত হয়েছে।
আপনারা (মুক্তিযোদ্ধারা) যে দেশপ্রেম নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন; সেখানে কোন স্বার্থ ছিল না, এখনও নেই।'
আরো পড়ুন
কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, যথাসময়ে ট্রেন ছাড়ায় ভোগান্তি নেই
তিনি আরো বলেন, 'আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়। আমরা সম্মানী বা ভাতা যাই দিই না কেন, ঋণের বিনিময় এটা হতে পারে না। আপনাদের স্বাধীনতা, সংগ্রামের কারণে চাকরিতে আসীন হতে পেরেছি।
যদি স্বাধীন বাংলাদেশ না হতো, তাহলে বিসিএসের সূচনা হতো না। শুধু একটা বিষয়, অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। সেগুলোর সূচনা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের কারণে।'
উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, 'আমাদের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননার ব্যাপারে কোনো কিছু লিপিবদ্ধ নেই। এখনি উপযুক্ত সময়, সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের লিপিবদ্ধ করুন। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন করুন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা করুন। ভুয়া মুক্তিযুদ্ধদের বের করুন। কীভাবে করবেন, আমরা জানি না।'
আরো পড়ুন
শ্রাবন্তীকে অশালীন স্পর্শের চেষ্টা যুবকের, মারতে উদ্যত হন অভিনেত্রী
ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের সহকারি কমিশনার শোয়েব শাত ইল ইভান এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার এবং এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত নওশীনেরর সঞ্চালনায় ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফুয়ারা খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধার এ বি এম মাহবুবুর রহমান জাহাঙ্গীরের মেয়ে সাবিরা মাহবুব, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, শফিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।