খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসী আস্তানায় শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও যৌথবাহিনী। এ সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় হয়েছে। ঘটনার সময় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দুষ্কৃতকারীদের প্রায় ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে ১১ জনকে গ্রেপ্তারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রবিবার (৩০ মার্চ) ভোররাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে কেএমপির সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আজম খান বলেন, নগরীর সোনাডাঙ্গার আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের মিটিং হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১২টার পর অভিযান শুরু হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও সম্ভাব্য বাড়িকে টার্গেট পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পাল্টা গুলি ছোড়ে।
প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা অভিযান চলে। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ঝাপিয়ে পড়েও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে
লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।
এতে কয়েকজন পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নৌবাহিনীর উপশম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ঠিক কি পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে তা জানাতে পারেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনটি পিস্তল, একটি একনলা শটগান, একটি কাটা বন্ধুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি এবং সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে যাদেরকে পুলিশী প্রহরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তারা হলেন, নগরীর সদর থানাধীন মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হান্নান শেখের ছেলে শেখ পলাশ (৩৩), বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী এলাকার আহমদ খার ছেলে মো. আরিফুল (২৭),
সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা এলাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলাম (৩৫), রূপসা উপজেলার বাগমারা এলাকার ইজাজ শেখের ছেলে ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), সদর থানাধীন মুসলমানপাড়া ক্রস রোডের বাসিন্দা মৃত. শরীফ মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩), সদর থানাধীন বাগমারা মেইন রোডের বাসিন্দা মাসুদ আলম জয়নালের ছেলে ইমরানুজ্জামান (৩৩), নিরালা পার্শ্ববর্তী মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে ইমরান (৩৫), সোনাডাঙ্গা থানাধীন পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা আ. রাজ্জাকের ছেলে রিপন (৩৮), বানরগাতী এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে সৈকত রহমান (২৭), একই এলাকার আশরাফ আলী সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৩৫) ও মো. রমিজুল হাওলাদারের ছেলে গোলাম রব্বানী (২৬)।