ভূমি দস্যুতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসা ও চোর চক্রের বিচারের দাবিতে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরুইল ইউনিয়নের ফকিরের বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। রবিবার (৬ এপ্রিল) গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে চিহ্নিত চক্রের বিচার দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার মধ্যনগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত হোসেন আলীর ছেলে জলিল (৩৬), ফায়জুল হক (৪৮) মো. খলিল মিয়া (৩৮) ও লিটন মিয়াসহ ১০/১২জনের একটি চক্র মধ্যনগর ও মহাবৈ গ্রামের কমপক্ষে ১৫ জন নিরীহ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়। পরে ওই সব জমি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছাড় দেয়।
তাদের কথা মতো টাকা না দিলে জমির চাষাবাদ বন্ধসহ নিজেদের আয়ত্তে রেখে দেয়। এছাড়াও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এলাকার সাধারণ লোকজনকে মারপিটসহ নানাভাবে লাঞ্ছিত করে। বিশেষ করে গবাদিপশু, ইজিবাইকের ব্যাটারি ও কৃষকের টাকা ক্রয় করা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোনো সমাধান আসেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্তরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী ছিলেন। বর্তমানে তারা পলাতক থাকলেও তাদের পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীর নেওয়া জমি দখল ছাড়ছেন না।
ভুক্তভোগীরা জানায়, কমপক্ষে ৩৩ কাঠা ফসলি জমি গত প্রায় ১৭ বছর ধরে পতিত রয়েছে। চাষাবাদ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা খুন করার হুমকি দেয়।
অনেকে মারধরের শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। কেউ কেউ সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে এলাকা ছাড়লেও এখন ফিরে আসলে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার করতে পারছে না।
অভিযুক্ত জলিল জানান, তিনি সন্ত্রাসী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। এলাকার অনেকের কাছে তিনি টাকা পান। দিতে না পারায় টাকার সমপরিমাণ জমি দখলে নেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া অনেকেই তাকে মারধর করেছে। ওইসব লোকেরা ভয়ে এখন তাদের জমিতে আসে না। তিনি দখল করে রাখেননি।
এ বিষয়ে সিংরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিষয়টি ফয়সালা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে না নেওয়াই শ্রেয়।