রাজশাহীর বাঘায় বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের অপপ্রচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আম চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলু, সদস্যসচিব আশরাফ আলী মলিন, বাঘা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি, বিএনপির নেতা মুখলেছুর রহমান মুকুল, বাঘা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ, উপজেলা যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম শফি, বাঘা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তহিদুল ইসলাম পলান, থানা ছাত্রদল সদস্য সচিব পলাশ সরকার প্রমুখ।
আরো পড়ুন
রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ইউক্রেনে নিহত ময়মনসিংহের ইয়াসিন
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলু বলেন, ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় জামায়াতের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাউসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজিব আহমেদ মন্ডলকে কুপিয়ে জখম করেছে। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবিতে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াত শিবিরের অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষিাভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
এদিকে ‘বিএনপির নামধারী সন্ত্রাসী’ কর্তৃক নিরীহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী পৃথক কমসূচি পালন করে।
গতকাল বুধবার মোটরসাইকেল শোডাউন, মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা।
আরো পড়ুন
এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি অযৌক্তিক : অভিভাবক ঐক্য ফোরাম
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস আলী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা জিন্নাত আলী, সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াতের নেতা অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস আলী বলেন, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন সেবাগ্রহীতারা ইউনিয়ন পরিষদের কর্তা ব্যক্তিদের দ্বারা বিভিন্ন ধরনের অন্যায় দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। এর প্রতিবাদে ২০ মার্চ মানববন্ধন করায় সেখানে অতর্কিত হামলা করা হয়।
এর জের ধরে ৩০ মার্চ বাউসা ইউনিয়নের ১ নম্বর দীঘা ওয়ার্ড ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি সৌরভ আহম্মেদের উপর হামলা করা হয়। এবং শিবির কর্মী মারুফ হোসেন, মুন্না আলী ও ফয়সাল হোসেনকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে যখম করা হয়। এ ছাড়া বাউসা বাজারে জামায়াত সমর্থিত মিজানুর রহমান ও রুহুল আমিনের ওষধের দোকান, মিজানুর রহমানের সার ও কীটনাশকের দোকান, জহুরুল ইসলামের জুতা স্যান্ডের দোকান, রোহানের স-মিলে এবং ইমারত শ্রমিক টুটুল হোসেনের দোকানে হামলা করে ভাঙচুর এবং ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন বিএনপি সমর্থিতরা।