ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক, কেএফসি-বাটার দোকান ভাঙচুর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক, কেএফসি-বাটার দোকান ভাঙচুর
সিলেটে ইসরাইলি পণ্য দাবি করে কেএফসিতে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন জনতা। এসমব সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে দেশে ইসরায়েলি পণ্য সরবরাহকারী গ্রুপ ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি ও সেভেন আপের মতো কিছু পণ্যের আউটলেটে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সারা বিশ্বে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচি হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

কক্সবাজার

‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি রেখে কক্সবাজার শহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেল জোন সড়কের কাছে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার মালিক ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএফসি ও পিৎজা হাটের আউটলেটে ভাঙচুর চালায়।

 বিক্ষুব্ধ জনতা ‘এগুলো ইসরায়েলের দোসর’ বলে উল্লেখ করেন। এ সময় সেভেন আপের সাইনবোর্ড দেখেও ভাঙচুর চালানো হয়।

মিছিল শেষে কলাতলি গোল চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা এখন থেকে ইসরায়েল ও ইসরায়েলের দোসরদের পণ্যসামগ্রীও বয়কটের ঘোষণা দেন। কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি, সেভেন আপের মতো কিছু ইসরায়েলি পণ্যের বাংলাদেশি সরবরাহকারী ট্রান্সকম গ্রুপ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ইসরায়েলের এমন অমানবিক কর্যক্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের চুপ থাকা লজ্জাজনক। আজ থেকে ইসরায়েল সম্পৃক্ত সব পণ্য বয়কট করা হবে।’

তারা আরো বলেন, ‘সেই সঙ্গে যত দিন পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে না, তত দিন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনতা।’

সিলেট

সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসিতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে সেখানে দুই দফা হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

এ সময় কেএফসিতে থাকা কোমল পানীয় দুতলা থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। পরে সেগুলো ফাটানো হয়।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে সিলেটে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে।

বগুড়া

বগুড়ায় ইসরায়েলি পণ্য বাটা শোরুমসহ দেশটির কোমল পানীয় রাখা দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) শহরের সাতমাথা এলাকায় ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে সকালে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় ফুঁসে ওঠে তৌহিদি ছাত্র-জনতা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঈনুদিন জানান, বিক্ষোভ মিছিল থেকে দু-একজন বাটার শোরুমের কাচে ঢিল ছুড়ে মারে। এতে কিছু কাচ ভেঙে যায়। তবে সার্বিক পরিবেশ শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বরিশাল 

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশালে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা দেওয়া কেএফসির বরিশাল ব্রাঞ্চে ভাঙচুর চালান। ছাত্র-জনতা কেএফসির কার্যক্রম বরিশাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায়।

সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি শুরু হয়। সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে কেএফসির সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান নেয়। তারা অভিযোগ করেন, কেএফসি ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা করে। যে অর্থের একাংশ যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনতা কেএফসি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানায়। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা কেএফসির সামনের সড়কে জোহরের নামাজ আদায় করেন। একইস‌ঙ্গে মোনাজাতে গাজাবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। 

বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী প্রতিষ্ঠানটির ছাদে উঠে কেএফসির লোগো ভেঙে ফেলেন। পাশাপা‌শি ব্যানার নিয়ে যান। এছাড়া দেয়ালে বয়কট কেএফসি লিখে দেন তারা। 

তারা রেস্টুরেন্টটির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পরে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বরিশালে কেএফসির একমাত্র শাখাটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধরা কেএফসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। কেএফসির লোগো ভেঙে ফেললেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

চট্টগ্রাম

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সোমবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এসব সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এ সময় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় পিৎজা হাট ও কেএফসিতে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে প্রতিষ্ঠান দুটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে যায়। এ ছাড়া মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কম্পানির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মিছিলটি নাসিরাবাদ অতিক্রম করার পরপরই সানমার ওশান সিটির পাশে থাকা কেএফসিতে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করে তারা। এতে রেস্তোরোর কাচ ভেঙে যায়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় থাকা পিৎজা হাটের একটি শাখার সামনের কাঁচাও ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভে আসা মানুষজন। এরপর জিইসি মোড়ে অবস্থিত হোটেল জামানে কোকা কোলার সাইনবোর্ড থাকায় সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে হোটেলটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে তারা পিৎজা হাটেও ভাঙচুর চালায়।

অন্য আরেক মিছিল থেকে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমার সাইনবোর্ড, বাটার সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া নগরীর কাজির দেউড়ী মোড় থেকে জামালখান অভিমুখী আরেকটি মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কম্পানির ফ্রিজ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্রিজে থাকা পেপসি, সেভেন আপসহ বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ছিটিয়ে দেয়।

খুলনা

খুলনায় ইসরায়েল বিরোধী মিছিল থেকে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের কেএফসি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কেএফসি থেকে ইসরায়েলি পণ্য ও বিভিন্ন কোমল পানীয় বের করে রাস্তায় এনে ভেঙে ফেলে। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ময়লাপোতাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল যেতে থাকে শিববাড়ি মোড়ের দিকে। এ সময় ময়লাপোতা থেকে একাধিক মিছিল যাওয়ার সময় কে বা কারা কেএফসিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে অন্যান্যরাও হামলা করে। এ সময় মিছিলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা চেষ্টা করেও হামলা থেকে কেএফসিকে রক্ষা করতে পারেননি। এক পর্যায়ে কেএফসির মধ্য থেকে কোমল পানীয় বের করে এনে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় রাস্তা পানিময় হয়ে যায়। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে যেতে থাকে।

গাজীপুর

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও ভাঙচুর করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রাজবাড়ী মাঠ এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় ইসরায়েলের বিচারের দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। 

এদিকে নগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল থেকে একটি বাটা শো রুম ও খাবার হোটেলে হামলা ও ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।

জানা যায়, দুপুর ৩টার দিকে গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে মুসলিম তাওহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে প্রতিবাদী নানা স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় ইসরায়েলি সব ধরনের পণ্য বয়কটের বয়কটের ঘোষণা দেন তারা। মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করার সময় মসজিদ মাকেটের একটি বাটা শোরুমের হামলা চালায়। শোরুমের শার্টার বন্ধ করে দেওয়া হলে বিক্ষোভকারীরা শোরুমের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। পরে তারা পাশের তৃপ্তি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে হামলা করে সেভেনআপ, কোকাকোলা ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করে।

কুমিল্লা 

কুমিল্লা নগরীর কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর রাণীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ কেএফসি বন্ধ করে চলে যায়। বন্ধ অবস্থায় সন্ধ্যায় ৬টার দিকে একদল যুবক কেএফসি ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা কেএফসিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলায় উঠে ভাঙচুর করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে কেএফসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে সেখানে গিয়ে হামলাকারী কাউকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

[নিউজটি তৈরি করতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছনে কালের কণ্ঠর জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা।]

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে প্রভাব পড়বে না

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে প্রভাব পড়বে না
ফাইল ছবি

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, এই ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির মাধ্যমে ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি পণ্য যেত। এখন যে এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের রপ্তানিসক্ষমতাকে আমরা বাড়িয়ে তুলতে পারব।

গতকাল যশোর শহরের টাউন হল ময়দানে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এ মেলার আয়োজন করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। যশোরে এক সময় প্রতি বছর শিল্প ও বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হতো। কিন্তু নানা কারণে ১২ বছর এ মেলা হয়নি।
এর আগে সকালে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। শহরের আইটি পার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের কনফারেন্স রুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সব স্তরের কর্মীকে নতুন উদ্যোমে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় এবং আমানত সংগ্রহে জোর দিতে হবে।

ঋণ আদায়ে কর্মীদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার নির্দেশনাও দেন তিনি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদ। এ ছাড়া ব্যাংকটি পরিচালনা পর্ষদের স্বতন্ত্র পরিচালক জুলকার নায়েন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার সরকার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রইস উদ্দীনসহ খুলনা অঞ্চলের ২০টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, অপরেশন্স ম্যানেজার ও আটটি উপশাখার ব্যবস্থাপক উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

মির্জাপুরে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাপুরে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান রানাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগে জানা গেছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া রেল গেট বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আব্দুল মান্নানকে উদ্ধার করে জামুর্কীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

আহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, অনলাইন জুয়া, জমি দখল, দুর্নীতিও অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আব্দুল মান্নান রানা স্থানীয় একটি জনসভায় বক্তব্য দেন। সমাবেশের আগে ও পরে কয়েকটি স্থানে জমি দখলের চেষ্টা চালায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। আব্দুল মান্নান রানা নিরীহ মানুষের পক্ষ নিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদ করেন। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন মহলটির সদস্যরা।

মান্নানের ওপর হামলা চালাতে সুযোগ খুঁজতে থাকেন তারা। শনিবার দুপুরে আব্দুল মান্নান রেল ক্রসিং এলাকায় ব্যক্তিগত অফিসে বসেছিলেন। এসময় স্বল্প মহেড়া গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে পাপন মিয়া, আজমত মিয়ার ছেলে আলিফ মিয়া, আবু মিয়ার ছেলে যুবরাজ মিয়া ওই অফিসে গিয়ে মান্নানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লোহার পাইপ ও রড দিয়ে মান্নানকে পিটিয়ে আহত করে।
এসময় মান্নান দৌড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আব্দুল মান্নান রানা বলেন, জমি দখল ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। তিনি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অভিযুক্ত আলিফ মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান রানা ৫ আগস্টের পর থেকে মাটি কাটাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তিনি এলাকায় একজন অত্যাচারী মানুষ। এ ছাড়া তিনি আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এজন্য তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

কুমিল্লা ক্লাবের ফারুক আহমেদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
কুমিল্লা ক্লাবের ফারুক আহমেদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

ইসরাইলের বর্বর হামলায় পরিবার পরিজন হারানো ফিলিস্তিনের গাজার অভুক্ত ও অসহায় শতাধিক শিশু ও নারীকে উন্নত খাবার ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিলভার ডেভলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ। 

সম্প্রতি সশরীরে মিসরে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ মানবিক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে ইতিমধ্যেই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) এ মানবিক কর্মযজ্ঞের বিষয়টি নিয়ে কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়াতেও  অধ্যাপক ফারুক আহমেদের একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিলভার ডেভলাপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত কাজে ফিলিস্তিন ও মিসরে যান।

সেসময় তিনি গাজায় বর্বর ইসরায়েলিদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং নারকীয় তাণ্ডব ও হামলার দৃশ্য সচক্ষে অবলোকন করে রীতিমত হতচকিত হয়ে যান।

পরে ইসরাইলের নারকীয় বোমা হামলায় গাজার স্বজন হারানো অসহায়, অভুক্ত শতাধিক নারী ও শিশুর পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাবার ও সামর্থ অনুযায়ী অর্থ নিয়ে পাশে দাঁড়ান এই ফারুক আহমেদ।

এসময় তিনি মিসরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি তিন ছাত্রের। সার্বিক সহযোগিতায় মিসরের একটি অভিজাত হোটেলে বাড়িঘর ও পরিবার পরিজন হারা ওইসব শিশু ও নারীদেরকে তিনি নিয়ে আসেন।

সেখানে তাদের সকলের জন্য উন্নত রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেন। খাবার শেষে ফারুক আহমেদ অসহায় ওইসব নারী ও শিশুদের হাতে তার সামর্থ অনুয়ায়ী নগদ অর্থও তুলে দেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দেশে ফিরে কুমিল্লা ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে অধ্যাপক ফারুক আহমেদ তার এ মানবিক সেবাদানের বিষয়টি তুলে ধরে তাদেরকেও গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

এসময় কুমিল্লা ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি আহমেদ শোয়েব সোহেল ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপুসহ কুমিল্লা ক্লাবের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি হলফ করে বলতে পারি, বিবেকবান কোন সুস্থ মানুষ বর্বর ইসরাইলের প্রায় প্রতিদিনের নারকীয় হামলায় পরিবার পরিজন হারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়া গাজাবাসীদের দুর্দশা স্বচক্ষে দেখলে কোনো মানুষ সুস্থ থাকতে পারবেন না। তাই আমি বিত্তবান ও হৃদয়বান বাংলাদেশিদেরকে সামর্থ অনুযায়ী ফিলিস্তিনের পাশে এখনই দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।’

এসময় কুমিল্লা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শোয়েব সোহেল তার সহকর্মী, ক্লাবটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদের এমন মানবিক কর্মযজ্ঞের ভূয়সী প্রশংসা করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি বৃহৎ মানবিক কাজ। বিশেষ করে মিসরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আমাদের বাংলাদেশি তিন ছাত্রের সহযোগিতায় ফারুক ভাই তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে সেখানকার বাবা মা হারা শতাধিক শিশু ও স্বামী হারা নারীদের জন্য যেই প্রশংসনীয় কাজটুকু করে এসেছেন সেটি সত্যিই অনুকরণীয়।’

তিনি আরো বলেন, একদিনের জন্য হলেও অভুক্ত অসহায় শিশু ও নারীদের উন্নত খাবারের ব্যবস্থাসহ কিছু নগদ অর্থও তাদের হাতে তুলে দিয়ে একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে গোটা দুনিয়ায় তিনি এসময়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসেছেন।

সেজন্য ফারুক ভাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

চা-বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
চা-বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা-বাগান থেকে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছেন বন বিভাগের লোকজন। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নালুয়া চা-বাগানের চা শ্রমিকের বাড়ি থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়।

সাতছড়ি বন্য প্রাণী রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালুয়া চা-বাগানের একজন শ্রমিক শনিবার সকালে একটি লজ্জাবতী বানর দেখতে পান। বানরটি পথ হারিয়ে বন থেকে নালুয়া চা-বাগানে ঢুকে পড়ে।

পরে ওই শ্রমিক কৌশলে বানরটি ধরে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। হবিগঞ্জ বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাতছড়ি রেঞ্জ অফিসে এ খবর পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সাতছড়ি বন কর্মকর্তারা নালুয়া চা-বাগানে ওই শ্রমিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করেন।

উদ্ধার করা বানরটির বয়স ছয় থেকে সাত বছর হবে।

একে একটি পূর্ণবয়স্ক বানর হিসেবে ধরা যায়। বন্য প্রাণী গবেষকদের সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন লজ্জাবতী বানরকে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। লজ্জাবতী বানর লাজুক বানর নামেও পরিচিত। এটি দেশের ক্ষুদ্রতম বানর-জাতীয় প্রাণী।
ইংরেজিতে এটিকে বেঙ্গল স্লো লরিস বা নর্থান স্লো লরিস বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। নিশাচর এই প্রাণী বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনের বাসিন্দা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ