<p>কমপক্ষে ৩ বার রক্ত দান করেছেন এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানিয়েছে কোয়ান্টাম। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ সম্মাননা জানানো হয়।</p> <p>অনুষ্ঠানে ৩ বারের দানে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন এমন রক্তদাতাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেওয়া হয়। </p> <p>কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে তরুণ স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক এ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আলোচকরা।</p> <p>আলোচকরা জানান, নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা রক্তদাতার সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিটের বেশি রক্ত দিয়ে সেবা দিতে পারার জন্যে কোয়ান্টাম ল্যাবের পক্ষ থেকে সকল স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষ থেকে ২৬ বার রক্তদানকারী আলী মুর্তজা এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত নিয়মিত রক্তগ্রহণকারী সানজিদা আক্তার মুন্নী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।</p> <p>প্রসঙ্গত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষ নিয়মিত চার মাস অন্তর অনায়াসেই রক্ত দান করতে পারেন। এতে রক্তাদাতার শারীরিক ক্ষতির কোনো আশঙ্কা তো নেই; বরং তা রক্তদাতার শারীরিক সুস্থতাকেই বাড়িয়ে দেয়। </p>